নিজস্ব প্রতিবেদক:
সেবার মহাযজ্ঞে আলোকিত চৌদ্দগ্রাম অর্ধশত শিশুর খৎনা ও ৪০ জনের বিনামূল্যে ছানি অপারেশন স্থানীয়দের প্রশংসায় ভাসল ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প।
কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার আলকরা ইউনিয়নের ধোপাখিলা ও পদুয়া উচ্চ বিদ্যালয়ে দুই দিনব্যাপী এক অনন্য স্বাস্থ্যসেবা কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আরও পড়ুনঃ আন্তর্জাতিক সমুদ্র চলাচল সংস্থায় পুন:নির্বাচনে বাংলাদেশের প্রার্থিতা ঘোষণা
মাসুদা ইন্টারন্যাশনাল ইসলামিক ট্রাস্ট ফর চ্যারিটি -এর আর্থিক সহযোগিতায় এবং ড্রিমার্স কনসালটেশন এন্ড রিসার্চ -এর সার্বিক ব্যবস্থাপনায় আয়োজিত এই ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পে প্রায় ৫ হাজার নারী-পুরুষ বিনামূল্যে চিকিৎসাসেবা ও প্রয়োজনীয় ওষুধ পেয়েছেন।
পাশাপাশি, ৫০ জন শিশুর সুন্নতে খৎনা সম্পন্ন করা হয়েছে, যা এলাকাবাসীর মধ্যে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে।
বিশেষ চিকিৎসাসেবা ও পরীক্ষার ব্যবস্থা
এই ক্যাম্পে শুধু সাধারণ চিকিৎসাই নয়, নানা ধরনের ডায়াগনস্টিক পরীক্ষারও ব্যবস্থা করা হয়েছিল। এর মধ্যে— ৪০০+ রোগীর আল্ট্রাসোনোগ্রাফি, ৮০০+ রোগীর ইসিজি, ডায়াবেটিস, রক্ত ও ইউরিন টেস্ট এছাড়াও, ভার্ড কামাল চক্ষু হাসপাতাল-এর উদ্যোগে চোখের সমস্যায় আক্রান্ত রোগীদের বিনামূল্যে চিকিৎসা দেওয়া হয় এবং ৪০ জন ছানি রোগীকে আগামী বুধবার বিনামূল্যে অপারেশন করা হবে।
গণ্যমান্য ব্যক্তিদের উপস্থিতি ও সহযোগিতা চিকিৎসা শিবিরের উদ্বোধন করেন চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. পেয়ার আহম্মদ।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন— ড. সালা উদ্দিন আফসার, (নবীনগর সরকারি কলেজের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিভাগের প্রধান) সৈয়দ একরামুল হক হারুন, (বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও সমাজসেবক) ওবায়দুল হক মজুমদার, (সাবেক অতিরিক্ত পুলিশ সুপার) মাস্টার মোঃ ইয়াছিন, (পদুয়া সুফিয়া রহমান উচ্চ বিদ্যালয়ের এডহক কমিটির সভাপতি) জামাল হোসেন শামীম, (মাসুদা ইন্টারন্যাশনাল ইসলামিক ট্রাস্ট ফর চ্যারিটির বাংলাদেশ প্রতিনিধি)।
এছাড়াও স্থানীয় শিক্ষক, সমাজসেবক ও গণ্যমান্য ব্যক্তিরা এই কার্যক্রমকে সফল করতে অগ্রণী ভূমিকা রাখেন।
সারা দেশের জন্য অনুকরণীয় উদ্যোগ:
এই ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প শুধু চৌদ্দগ্রামবাসীর জন্যই নয়, সারা দেশের জন্য একটি অনুকরণীয় মডেল। স্বাস্থ্যসেবা থেকে বঞ্চিত মানুষের দোরগোড়ায় চিকিৎসা পৌঁছে দেওয়ার এই মহৎ উদ্যোগ সামাজিক দায়বদ্ধতা ও মানবতার এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে।
”সেবাই ধর্ম, সেবাই মানবতা”—এই ধারণাকে সামনে রেখে মাসুদা ইন্টারন্যাশনাল ইসলামিক ট্রাস্ট ফর চ্যারিটি ও ড্রিমার্স কনসালটেশন এন্ড রিসার্চের এমন উদ্যোগ ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে বলে আশা প্রকাশ করেন আয়োজকরা।