শনিবার, ২২ নভেম্বর ২০২৫, ০৮:৪৬ পূর্বাহ্ন
Headline :
বাংলাদেশ জোট মুখপাত্র হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন বাংলাদেশ সর্বজনীন জোটের চেয়ারম্যান মোঃ আবুল হাসেম ন্যাশনাল ইউনিটি কাউন্সিল(এনইউসি) এর মহাসচিব বিদ্যুৎ চন্দ্র বর্মনের বাণী: মানবতার মূর্ত প্রতীক: *অধ্যাপক ড. আলহাজ্ব মোঃ শরীফ আব্দুল্লাহ হিস সাকী শিক্ষাবিদ ও মানবতাবাদী এক অনন্য সমন্বয়* -ড. এ আর জাফরী বাংলাদেশ সর্বজনীন জোটে মূল চিন্তাশক্তি হিসেবে আবির্ভূত প্রধান উপদেষ্টা ফরহাদ মাজহার বগুড়া গাবতলী স্টেশনের রেলওয়ে কর্মচারীকে মারপিট করে আহত করে ২২ বছর পর ভারতের বিপক্ষে ঐতিহাসিক জয় – দক্ষিণ এশিয়ার ফুটবলে নতুন সম্ভাবনার দিগন্তে বাংলাদেশ ময়মনসিংহে পলাতক আসামী গেপ্ততার করেছে র‍্যাব ১৪ যুক্তরাষ্ট্র ঐক্য পরিষদের বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত চাঁপাইনবাবগঞ্জ ৫৩ বিজিবির অভিযানে ইয়াবাসহ আটক ১ বগুড়ার গাবতলী উপজেলার বিএনপিরভারপ্রাপ্তচেয়ারম্যান তারেক রহমানের ৬১তম জন্মদিন উপলক্ষে বিশেষ দোয়া মাহফিল

মুসলিম জাতিসত্তা এবং ১৯০৫ সালই হল বাংলাদেশের ভিত্তি মূল, পর্ব ০৭

মোঃ জামাল ভুঁইয়া / ১০ Time View
Update : শনিবার, ৫ জুলাই, ২০২৫

বিষয় :- সভ্যতার দ্বন্দ্ব ও মুসলিম জাতিসত্তা।

পাঠক, এই পর্বে আমি সভ্যতার দ্বন্দ্ব এবং মুসলিম জাতিসত্তা সম্পর্কে আলোচনা করব।

পাঠক, সভ্যতার দ্বন্দ্বের দূষ্টিকোন থেকে যদি দেখেন বৌদ্ধ ধর্ম কেন্দ্রীক বৌদ্ধ সভ্যতার দেশ হল বার্মা, ইসলামী সভ্যতা কেন্দ্রিক দেশ হল বাংলাদেশ এবং পৌত্তলিক প্রাধান্য সভ্যতার দেশ হল ভারত।

বলতে গেলে বা‌্লাদেশ হল দুইটি অমুসলিম সভ্যতার মধ্যে ইসলামী সভ্যতার ধারক একটি দেশ। বাংলাদেশ হল সভ্যতার দ্বন্দ্বের এক অনিবার্য পরিণতি। কারণ আমার জানামতে পূথিবীতে দুটি সভ্যতার মধ্যে তূতীয় একটি সভ্যতার অস্তিত্ব নেই।

আরও পড়ুনঃ শৈবাল বিচে কিশোর গ্যাং ইনসাফ বাহিনীর ত্রাস!
এই সভ্যতার দ্বন্দ্বের মূল ভিত্তি হল ১৯০৫ সালে মুসলিম স‌‌্খ্যাগরিষ্ট বে‌‌্গল আসাম প্রদেশের মাধ্যমে। কাজেই আপনি ১৯০৫ সালকে অস্বীকার করার কোন উপায় নেই।

মুসলিম জাতিসত্তার সাথে পার্থিব ও পরকালীন বিষয়াদি জড়িত। মুসলিম জাতিসত্তা ইসলামী সভ্যতার সাথে সম্পৃক্ত ।

রাষ্ট্র গঠনের সাথে জাতি সত্তার সম্পর্ক খুবই গভীর। আবার জাতিসত্তা একটি সভ্যতাকে রক্ষা করে। জাতি সত্তা না থাকলে সভ্যতা বিলুপ্তি ঘটে।

পাঠক, আপনি আজকের আরবদের গোলামীর ইতিহাস যদি পর্যালোচনা করেন, তাহলে দেখবেন যে তারা ষোড়শ শতকের প্রথম দিকে ডাচদের দ্বারা আগ্রাসনের শিকার হতে যাচ্ছিল, এমন সময় আরব নেতারা উম্মাহর ভিত্তিতে উসমানীয় সুলতান সেলিমকে তাদেরকে উদ্ধার করার করার জন্য আহ্বান করেন। উসমানীয় সুলতান তাদের ডাকে সাড়া দিয়ে তাদেরকে খ্রীষ্টানদের কবল থেকে উদ্ধার করে।

আবার আরবরা উম্মাহর কনসেপ্টকে বিসর্জন দিয়ে যখন আরব জাতীয়তাবাদের ভিত্তিতে খ্রীষ্টানদের সহায়তায় উসমানীয় খিলাফতকে পরাজিত করে একাধিক আরব রাষ্ট্র গঠন করে ইহুদি খ্রিস্টানদের গোলামে পরিনত হয়। এমনিভাবে যদি উম্মাহ অথবা মুসলিম জাতিসত্তাকে বাদ দিয়ে ভাষা ভিত্তিক, গোত্র ভিত্তিক জাতীয়তাবাদে বিশ্বাসী হলে মুসলমানদের জন্য গোলামী অনিবার্য।

কাজেই সভ্যতার দ্বন্দ্বে বিজয়ী মুসলিম জাতিসত্তার ভিত্তিতে যদি বাংলাদেশ মুসলিম জাতিসত্তা পরিত্যাগ করে ভাষা ভিত্তিক জাতীয়তাবাদের পতাকা ধারন করে তাহলে এদেশের অস্তিত্ব হারাবে ।

চলমান,

মোঃ মোস্তফা জামাল ভূঁইয়া
চেয়ারম্যান
প্যান ইসলামিক মুভমেন্ট বাংলাদেশ।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category