“বাবা”-মাকসুদা সুলতানা ঐক্য
বাবা যদি না দেয় ঔরস
জন্মাবে না দেহ!
দশ মাস সে শিশু পেটে
রাখবে না আর কেহ।
প্রসব যদিও মা-ই করেন
বাবাও কম নয়!
প্রসুতির সব যত্ন তখন
বাবা’র হাতেই হয়।
বাবা নিজের ঘাম ঝরিয়ে
সংসার টা টানে!
সুখ ভুলে সে সন্তানকে
এই ধরাতে আনে।
মায়ের অবদানটা কেবল
সবার চোখে পরে;
বাবা’রা সব নিঃশব্দে
দায়িত্ব পালন করে।
মায়ের গহনা ভরি ভরি
আলমারিতে শাড়ি!
সন্তানেরও ভবিষ্যৎ টা
গুছিয়ে দেন ভারি।
নানান জাতের মেকাপ সাথে
পারফিউমের শিশি;
মায়ের জন্য কেনেন বাবা
খেটে দিবানিশি।
বাবা’র থাকে হাতে গোনা
কয়েক খানা জামা;
শার্ট প্যান্ট আর কূর্তী সহ
পাঞ্জাবী পায়জামা।
চাইলেই কি বাবা’রা সেই
আরাম নিতে পারে!
সংসার কে সুখী রাখার
দায় টা যে তার ঘাড়ে।
ঈদ পুজো বা বড় দিনে
বাবার বাজেট কম!
কারণ সবার সুখ কিনতে
বাবা’র যে যায় দম!
বাবা’র গায়ে নতুন পোশাক
যদিও কভু ওঠে;
জুতোটা সেই আগের কেনা
রঙ গিয়েছে চটে।
আরও পড়ুনঃ চিলমারীতে মিষ্টি কুমড়ার উপর মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত হয়েছে
বাবা’দের কি শখ বলতে
সত্যি কিছু থাকে!
বাবা’র শখকে কবর দিয়েই
সুখে রাখেন মা’কে।
স্ত্রী আর সন্তানেরা
ভালো থাকুক সবাই;
হোক যতোই কষ্ট বাবা’র
চাওয়া কেবল এটাই।
বাবা’দের নাম হয়না কভু
এতো কিছুর পরে!
সবাই তবু বলে কেবল
কষ্ট মা-ই করে!
বাবা নামের কলুরবলদ
জীবন কাটায় ভারে!
স্ত্রী সন্তান সংসার সব
টেনে নিয়ে ঘাড়ে।।