লেখক সাংবাদিক আনোয়ার হোসেনঃ
*সেক্যুলার* (Secular) শব্দের অর্থ হলো:
*ধর্ম থেকে পৃথক বা নিরপেক্ষ* — অর্থাৎ, রাষ্ট্র বা সমাজ পরিচালনায় *ধর্মের কোনো প্রভাব থাকবে না*, ধর্ম ব্যক্তিগত ব্যাপার মাত্র।
—
✅ সেক্যুলারিজম কী বলে:
– ধর্ম থাকবে শুধু ব্যক্তিগত জীবনে
– রাষ্ট্র, শিক্ষা, আইন, রাজনীতি— সবকিছু *ধর্মবিহীনভাবে পরিচালিত হবে*
– সব ধর্মকে সমানভাবে দেখা হবে (তবে বাস্তবে অনেক সময় ধর্মবিদ্বেষী হয়ে পড়ে)
—
❌ ইসলামের দৃষ্টিতে সেক্যুলারিজম:
*সেক্যুলারিজম ইসলামবিরোধী*, কারণ:
1. ইসলাম শুধু ব্যক্তিগত ধর্ম নয় — এটি *সম্পূর্ণ জীবনব্যবস্থা*: ব্যক্তিগত, সামাজিক, রাজনৈতিক, আইন, বিচার সব কিছুতেই ইসলামের নির্দেশনা আছে।
2. কুরআন বলে:
> *”তারা কি আল্লাহর পরিবর্তে অন্য বিধান চায়?”*
(সূরা মায়িদাহ ৫:৫০)
3. ইসলাম রাষ্ট্র, আইন, সমাজ—সবকিছুতে *আল্লাহর বিধান অনুসরণ* করতে বলে।
—
📌 তাহলে সেক্যুলারিজম কি জায়েজ?
*না, সেক্যুলারিজমে বিশ্বাস রাখা বা প্রচার করা ইসলামে জায়েজ নয়।*
এটি:
– আল্লাহর বিধান থেকে বিচ্যুতি
– দ্বীনকে শুধু মসজিদে সীমাবদ্ধ করার মতবাদ
– শিরক বা কুফর পর্যন্ত পৌঁছাতে পারে, যদি কেউ আল্লাহর আইন অস্বীকার করে
—
🚫 সতর্কতা:
অনেকে মনে করেন “সেক্যুলার মানে সব ধর্মের প্রতি সহনশীলতা” —
→ *ইসলামও অন্য ধর্মকে সহ্য করতে বলে*, তবে *আল্লাহর হুকুম বাদ দিয়ে* ধর্মনিরপেক্ষতা গ্রহণ করতে বলে না।
—
✅ মুসলিমের পথ:
– ইসলাম মানেই আল্লাহর আইন মানা
– ইসলামে *ধর্ম এবং রাষ্ট্র আলাদা নয়*
– – মুসলমান হিসেবে আমাদের চিন্তা ও শাসনব্যবস্থাও ইসলামভিত্তিক হওয়া উচিত
—
*সারসংক্ষেপ:*
*সেক্যুলারিজম একটি ইসলামবিরোধী মতবাদ।*
এতে বিশ্বাস রাখা বা রাষ্ট্রে তা প্রতিষ্ঠা করা *ইসলামে জায়েজ নয়*, বরং গুরুতর গুনাহ এবং কখনো *কুফর*ও হতে পারে।
*⇒ মুসলমানের পথ: ধর্মীয়ভাবে, সামাজিকভাবে, রাজনৈতিকভাবে— সবকিছুতে ইসলাম অনুসরণ করা।*