শনিবার, ২২ নভেম্বর ২০২৫, ০৫:২১ পূর্বাহ্ন
Headline :
বাংলাদেশ জোট মুখপাত্র হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন বাংলাদেশ সর্বজনীন জোটের চেয়ারম্যান মোঃ আবুল হাসেম ন্যাশনাল ইউনিটি কাউন্সিল(এনইউসি) এর মহাসচিব বিদ্যুৎ চন্দ্র বর্মনের বাণী: মানবতার মূর্ত প্রতীক: *অধ্যাপক ড. আলহাজ্ব মোঃ শরীফ আব্দুল্লাহ হিস সাকী শিক্ষাবিদ ও মানবতাবাদী এক অনন্য সমন্বয়* -ড. এ আর জাফরী বাংলাদেশ সর্বজনীন জোটে মূল চিন্তাশক্তি হিসেবে আবির্ভূত প্রধান উপদেষ্টা ফরহাদ মাজহার বগুড়া গাবতলী স্টেশনের রেলওয়ে কর্মচারীকে মারপিট করে আহত করে ২২ বছর পর ভারতের বিপক্ষে ঐতিহাসিক জয় – দক্ষিণ এশিয়ার ফুটবলে নতুন সম্ভাবনার দিগন্তে বাংলাদেশ ময়মনসিংহে পলাতক আসামী গেপ্ততার করেছে র‍্যাব ১৪ যুক্তরাষ্ট্র ঐক্য পরিষদের বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত চাঁপাইনবাবগঞ্জ ৫৩ বিজিবির অভিযানে ইয়াবাসহ আটক ১ বগুড়ার গাবতলী উপজেলার বিএনপিরভারপ্রাপ্তচেয়ারম্যান তারেক রহমানের ৬১তম জন্মদিন উপলক্ষে বিশেষ দোয়া মাহফিল

আপনি কি অসুস্থ? দীর্ঘদিন যাবত রোগে ভুগছেন?

ডাঃ রাজিব আহমেদঃ  / ১০ Time View
Update : রবিবার, ২০ জুলাই, ২০২৫


ডাঃ রাজিব আহমেদঃ

আপনি কি অসুস্থ? দীর্ঘদিন যাবত রোগে ভুগছেন? চিকিৎসা ব্যবসায়ীদের দ্বারে দ্বারে ঘুরেও রোগ নিরাময় হয়নি? আপনার শারীরিক সমস্যা যেটাই হোক না কেন, মাত্র এক সপ্তাহের প্রাকৃতিক চিকিৎসায় যে কোনো জটিল রোগ থেকে মুক্তিলাভের প্রক্রিয়া শুরু করা সম্ভব..!

মনে রাখবেন- চিকিৎসা মাফিয়ারা (তাদের ব্যবসায়িক স্বার্থে) যে রোগকে যত জটিল বলে আমাদের সামনে উপস্থাপন করে, তার তত সহজ প্রাকৃতিক সমাধান রয়েছে। আপনি যে রোগেই আক্রান্ত হন না কেন, পবিত্র কোরআন ও হাদিসের আলোকে রোগমুক্ত হওয়ার সবচেয়ে কার্যকর উপায় নিম্নরূপ :-

ঘরে বসে নিজ দায়িত্বে চিকিৎসা শুরুর প্রথম তিনদিন সূর্যোদয় থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত এক ঘণ্টা পরপর হালকা কুসুম গরম পানির সঙ্গে লেবুর রস, ভিনেগার আর যৎসামান্য প্রাকৃতিক মধু মিশিয়ে পান করতে থাকুন। সারাদিনের মধ্যে মাত্র এক-দু’বার এক গ্লাস বিভিন্ন সবুজ পাতার

আরও পড়ুনঃ দোয়া মাহফিল,রাজিবপুর উপজেলা ছাত্রদলের

(তুলসী পাতা, পুদিনা পাতা, লেটুসপাতা, ধনেপাতা ইত্যাদি ব্লেন্ড করে) রস পান করতে পারেন। এর বাইরে অন্য কোনোকিছু ছুঁয়েও দেখবেন না (খাওয়া তো দূরের ব্যাপার)। বিশেষ এই পানীয় অবশ্যই মাটির সমতলে বসে (দুই হাতে গ্লাস ধরে) কুলি করতে করতে কমপক্ষে তিন বা ততধিক শ্বাসে (ঢোকে) পান করবেন।

প্রথম তিনদিনের জলচিকিৎসার জন্য জমজম কূপের পানি যোগাড় করতে পারলে খুব ভালো হয়। ‌ নিদেনপক্ষে পাহাড়ি ঝর্ণার পানি অথবা সরাসরি বৃষ্টি থেকে ধারণকৃত পানি যোগাড় করবেন এবং সেই পানি কাঁসা বা মাটির কলসে সংরক্ষণ করবেন। কলসটি মাটির হলে তাতে এক টুকরো তামা ভিজিয়ে রাখবেন।

চতুর্থ দিন সকালে ঘুম থেকে জেগে এক গ্লাস পানি পান করার পর খানিকক্ষণ হাঁটাহাঁটি করে এসে প্রাকৃতিক জীবন্ত খাবারের রংধনু (সাত রঙের) নাস্তা খেতে পারেন। অথবা আপনার ওজন যত কেজি, তত গ্রাম দেশীয় মৌসুমি ফল খেয়ে পেট ভরুন। তবে টক আর মিষ্টি ফল একসঙ্গে খাওয়া যাবে না।

আরও পড়ুনঃ বৃক্ষরোপণ অভিযান ও বৃক্ষমেলা সমাপনী জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদদের স্মরণে কর্মসূচি অনুষ্ঠিত

বেলা ১১টার দিকে তোকমা দানা, চিয়া বীজ, তিষি, ইসুবগুলের ভুষি অগ্রিম ভিজিয়ে রেখে এক গ্লাস খেতে পারেন। অথবা এক গ্লাস পাকা চালকুমড়া/কচি লাউয়ের রস (সঙ্গে একটা আমলকি) পান করতে পারেন।

দুপুরে বাতাবি লেবু অথবা কাঁচা বাঁধাকপি/পেঁপে কুচি করে কেটে আদা-রসুন-পেঁয়াজ-কাঁচা হলুদ-সন্ধক/বিট লবণ-মরিচ-কাসুন্দি মাখিয়ে খাবেন। ফাঁকে ফাঁকে দিনভর লেবুর পানি (দিনে একবার মধুসহ) পান চলবে।

বিকেলে গরম মসলা ফুটিয়ে (অথবা গুঁড়ো মিশিয়ে) এক কাপ আদা/কালোজিরার চা পান করবেন।

সূর্যাস্তের আগে অল্প পরিমাণে খেজুর/কলা/কুল (বড়ই)/ডালিম (আনার)/ত্বীন/জলপাই/আঙুর (যে কোনো একটি বা দু’টি ফল) খাবেন।

প্রতিবেলায় খাবার খাওয়ার পর অন্তত ৪০ কদম হাঁটাহাঁটি করবেন।

প্রতিদিন নিমপাতা সিদ্ধ করা পানিতে পা চুবিয়ে ৪০ মিনিট বসে থাকবেন আর খালি পায়ে কাদামাটির ওপরে হাঁটবেন অথবা কিছুক্ষণ স্থির হয়ে দাঁড়িয়ে থাকবেন।

চতুর্থ দিন থেকে প্রতিদিন সন্ধ্যায় এক কাপ সাজনা পাতা, কালোজিরা ও হলুদ মিশ্রিত চা অথবা গ্রিন/রোজেলা টি পান করতে পারেন। অথবা এক বাটি বিটের স্যুপ আদা-রসুন-গোলমরিচ সহকারে খাবেন।

আরও পড়ুনঃ PR পদ্ধতির নামে নতুন মেরুকরণ? জামায়াতের শক্তি-প্রদর্শন, বিএনপির দ্বিধা ও বিরোধী রাজনীতির সংকেত

শাকসবজি ও ফলমূলগুলো অবশ্যই প্রাকৃতিক পদ্ধতিতে আবাদকৃত (রাসায়নিক সার ও কীটনাশক-মুক্ত) হতে হবে। বাজার থেকে কেনা জিনিসের বিশ্বাস নাই!

চতুর্থ থেকে সপ্তম দিন পর্যন্ত একই নিয়মের পুনরাবৃত্তি চলবে। এ সময় আগুনের স্পর্শযুক্ত (রান্না করা) সর্বপ্রকার খাদ্যগ্রহণ থেকে সম্পূর্ণ বিরত থাকবেন। আবারো বলছি- বর্ণিত নিয়মের বাইরে অন্য কোনোকিছু ছুঁয়েও দেখবেন না (খাওয়া তো দূরের ব্যাপার)।

যাদের মুঠোভরে ড্রাগস সেবনের বদাভ্যাস এবং একদিন ড্রাগস সেবন না করলে মনে হয় কিছুই খাইনি, তাঁরা সান্ত্বনাস্বরূপ এক কৌটা spirulina ক্যাপসুল কিনে প্রতিদিন ২+২+২ নিয়মে খেতে পারেন!

কোনো অবস্থাতেই রাত জাগবেন না। এশার নামাজ আদায় করে ঘুমিয়ে যাবেন এবং তাহাজ্জুদের সময় বিছানা ছাড়বেন। ফজরের নামাজের পর হাঁটাহাঁটি করবেন (সম্ভব হলে দৌড়াবেন বা সাইকেল চালাবেন) এবং গায়ে সূর্যের নরম আলো লাগাবেন।

নিমগাছের নিচে/পাশে বসে খানিকক্ষণ প্রাণায়াম/দমচর্চা/ইয়োগা করতে পারেন। পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ জামাতে আদায় করার চেষ্টা করবেন। ‌ নামাজ ছাড়াও ওযু অবস্থায় থাকবেন। ওযুভঙ্গের কারণ ঘটলে সঙ্গে সঙ্গে আবার ওযু করে নেবেন। বিশ্রামরত অবস্থায় মনে মনে সুরা ফাতিহা এবং সূরা নাস পাঠ করতে থাকবেন।

গোসল করবেন স্বাভাবিক তাপমাত্রার অথবা বরফ মিশ্রিত পানি দিয়ে। এর বাইরে সময় কাটাবেন মূলত মাতৃভাষায় ধর্মগ্রন্থ ও মনীষীদের জীবনী পাঠ করে (প্রাণখুলে হাসার জন্য হাস্য-কৌতুকের বইও পড়তে পারেন)। প্রাকৃতিক চিকিৎসার পুরো সময়টুকু সামাজিক গণমাধ্যম অথবা টেলিভিশন থেকে নিরাপদ দূরত্ব বজায় রাখবেন।

সপ্তাহব্যাপী প্রাকৃতিক চিকিৎসা চলাকালে এক থেকে দুইবার whole body oil message therapy অথবা আকুপ্রেশার থেরাপি নিতে পারেন। এছাড়া একবার হিজমা করালে উপকারের মাত্রা বহুগুণ বেড়ে যাবে। অপেক্ষাকৃত জটিল রোগীদেরকে প্রতিদিন এনিমা করতে হবে।

আরও পড়ুনঃ সতেরো বছর বিপ্লবী পথ, অনেক হেটেছো ভাই!- মোঃ সুমন

উপরোক্ত দাওয়ার পাশাপাশি সুস্থতার বিশেষ নিয়তে দান করবেন (প্রতিদিন তিনজন অভুক্তকে খাওয়াতে পারেন) এবং প্রতি ওয়াক্তে নামাজ আদায়ের সময় দুই রাকাত অতিরিক্ত নফল নামাজ আদায় করে (দীর্ঘ সেজদায়) মহান আল্লাহতালার কাছে রোগমুক্তির প্রার্থনা করবেন। আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু-বান্ধবকেও আপনার সুস্থতা কামনা করে দোয়া করতে বলবেন। দোয়া ছাড়া অন্য কোনোকিছু আল্লাহর সিদ্ধান্তকে বদলাতে পারে না!

আল্লাহ প্রত্যেক বান্দাকে তাঁর অন্তরের বিশ্বাস অনুযায়ী প্রতিদান দেন। দোয়া করার সময় বান্দা যদি মহান সৃষ্টিকর্তার উপরে পূর্ণ আস্থা রাখতে পারে যে তাঁকে ফিরিয়ে দেওয়া হবে না, তাহলে রব ঠিকই তাঁর মনোবাঞ্ছা পূর্ণ করবেন। যার ইয়াক্বীনের জোর যত সুদৃঢ়, তাঁর দোয়া কবুলের তথা দ্রুত সুস্থতা ফিরে পাওয়ার সম্ভাবনা তত বেশি!

এক সপ্তাহের প্রাকৃতিক চিকিৎসা শেষ করার পর আপনার যেখানে মন চায় টেস্ট করিয়ে দেখতে পারেন। আপনার রোগ যেটাই হোক না কেন, জটিলতার মাত্রা কমতে শুরু করবে এবং শারীরিক পরিস্থিতির অভূতপূর্ব উন্নতি দেখে আপনি নিজেই চমকে উঠবেন!


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category