শনিবার, ২২ নভেম্বর ২০২৫, ০৬:৪৫ পূর্বাহ্ন
Headline :
বাংলাদেশ জোট মুখপাত্র হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন বাংলাদেশ সর্বজনীন জোটের চেয়ারম্যান মোঃ আবুল হাসেম ন্যাশনাল ইউনিটি কাউন্সিল(এনইউসি) এর মহাসচিব বিদ্যুৎ চন্দ্র বর্মনের বাণী: মানবতার মূর্ত প্রতীক: *অধ্যাপক ড. আলহাজ্ব মোঃ শরীফ আব্দুল্লাহ হিস সাকী শিক্ষাবিদ ও মানবতাবাদী এক অনন্য সমন্বয়* -ড. এ আর জাফরী বাংলাদেশ সর্বজনীন জোটে মূল চিন্তাশক্তি হিসেবে আবির্ভূত প্রধান উপদেষ্টা ফরহাদ মাজহার বগুড়া গাবতলী স্টেশনের রেলওয়ে কর্মচারীকে মারপিট করে আহত করে ২২ বছর পর ভারতের বিপক্ষে ঐতিহাসিক জয় – দক্ষিণ এশিয়ার ফুটবলে নতুন সম্ভাবনার দিগন্তে বাংলাদেশ ময়মনসিংহে পলাতক আসামী গেপ্ততার করেছে র‍্যাব ১৪ যুক্তরাষ্ট্র ঐক্য পরিষদের বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত চাঁপাইনবাবগঞ্জ ৫৩ বিজিবির অভিযানে ইয়াবাসহ আটক ১ বগুড়ার গাবতলী উপজেলার বিএনপিরভারপ্রাপ্তচেয়ারম্যান তারেক রহমানের ৬১তম জন্মদিন উপলক্ষে বিশেষ দোয়া মাহফিল

মসজিদের পাশে করাত কলের লাইসেন্স বাতিলের দাবি

গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধিঃ  / ৯ Time View
Update : শুক্রবার, ২৯ আগস্ট, ২০২৫

গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধিঃ

গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলার হাট ভরতখালী সরকারপাড়া আহলে হাদিস জামে মসজিদ কমিটির পক্ষ থেকে মসজিদের পাশে স্থাপিত আকন্দ ‘ছ’ মিলের লাইসেন্স বাতিলের দাবি জানানো হয়েছে। এ বিষয়ে কমিটির সদস্যরা প্রধান বন সংরক্ষক (ঢাকা) বরাবরে লিখিত আবেদন করেন।

আবেদনের প্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার রংপুর বিভাগীয় বন্যপ্রাণী ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ কর্মকর্তা স্মৃতি সিংহ রায় ঘটনাস্থলে তদন্ত কার্য সম্পন্ন করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ভারপ্রাপ্ত জেলা বন কর্মকর্তা এ.এইচ.এম শরীফুল ইসলাম ও সাঘাটা উপজেলার পরিবেশ ও বন বিভাগ কমিটির সদস্য সচিব মো. আব্দুল মান্নান।

অভিযোগে বলা হয়, ২০২৩ সালের ৬ জুন আকন্দ ‘ছ’ মিলকে লাইসেন্স প্রদান না করার জন্য জেলা প্রশাসকের নিকট আবেদন করা হলেও কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি। পরে ২০২৪ সালের ৫ মে মৃত বীর মুক্তিযোদ্ধা জয়নাল আবেদীন বিভাগীয় বন কর্মকর্তা রংপুর বরাবরে লিখিত অভিযোগ করেন। কিন্তু অভিযোগের পরও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।

আরও পড়ুনঃ এসআই(নিঃ) মোহাম্মদ বিল্লাল মিয়া পিবিআই চিফ কর্তৃক আর্থিকভাবে পুরস্কার পেলেন

অভিযোগকারীদের দাবি, করাত কল লাইসেন্স বিধিমালা ২০১২ অনুযায়ী মসজিদ-মাদ্রাসা ইত্যাদির ২০০ মিটারের মধ্যে কোনো করাত কল স্থাপন করা যাবে না। কিন্তু আকন্দ ‘ছ’ মিলটি মসজিদ থেকে মাত্র ৩২ মিটার দূরে অবস্থিত। এছাড়া এর পাশে রয়েছে মুক্তিযোদ্ধা জয়নাল আবেদীনের বসতবাড়ি।

তাদের অভিযোগ, জেলা বন কর্মকর্তা এ.এইচ.এম শরীফুল ইসলাম মণ্ডল অভিযোগ দায়েরের পরও করাত কল মালিক আমিনুল ইসলাম আকন্দকে ২০২৫ সালের লাইসেন্স (নং-১০/২০২৫) প্রদান করেছেন। এমনকি ২০২৫ সালের ৮ মে বিভাগীয় বন কর্মকর্তার কাছে মিথ্যা ও মনগড়া তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেছেন।

অভিযোগকারী রফিকুল ইসলাম বলেন, পাশেই প্রায় ২০ ফিট দূরে আমার বসতবাড়ি। মিলের শব্দদূষণে আমরা বসবাস করতে পারছি না। আমিও অভিযোগ দিয়েছি। তারা পরিবেশ ছাড়পত্র ছাড়াই শুধু অবস্থানগত ছাড়পত্র নিয়ে কিভাবে মিল চালাচ্ছেন, তা তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন।”

আরও পড়ুনঃ এসআই(নিঃ) মোহাম্মদ বিল্লাল মিয়া পিবিআই চিফ কর্তৃক আর্থিকভাবে পুরস্কার পেলেন

মসজিদ কমিটির অভিযোগ, আইন লঙ্ঘন করে প্রতিষ্ঠিত এ করাত কল থেকে পরিবেশ ও শব্দ দূষণের ঝুঁকি তৈরি হয়েছে। তাই পুনঃতদন্তপূর্বক মিলটির লাইসেন্স বাতিল করার দাবি জানানো হয়েছে।

এ বিষয়ে করাত কল মালিক আমিনুল ইসলাম আকন্দ বলেন, আমি নিয়মমাফিক লাইসেন্স নিয়ে মিল পরিচালনা করছি।

অন্যদিকে, রংপুর বিভাগীয় বন্যপ্রাণী ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ কর্মকর্তা স্মৃতি সিংহ রায় বলেন, তদন্ত করে সঠিক তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়া হবে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category