শনিবার, ২২ নভেম্বর ২০২৫, ০৮:৪৭ পূর্বাহ্ন
Headline :
বাংলাদেশ জোট মুখপাত্র হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন বাংলাদেশ সর্বজনীন জোটের চেয়ারম্যান মোঃ আবুল হাসেম ন্যাশনাল ইউনিটি কাউন্সিল(এনইউসি) এর মহাসচিব বিদ্যুৎ চন্দ্র বর্মনের বাণী: মানবতার মূর্ত প্রতীক: *অধ্যাপক ড. আলহাজ্ব মোঃ শরীফ আব্দুল্লাহ হিস সাকী শিক্ষাবিদ ও মানবতাবাদী এক অনন্য সমন্বয়* -ড. এ আর জাফরী বাংলাদেশ সর্বজনীন জোটে মূল চিন্তাশক্তি হিসেবে আবির্ভূত প্রধান উপদেষ্টা ফরহাদ মাজহার বগুড়া গাবতলী স্টেশনের রেলওয়ে কর্মচারীকে মারপিট করে আহত করে ২২ বছর পর ভারতের বিপক্ষে ঐতিহাসিক জয় – দক্ষিণ এশিয়ার ফুটবলে নতুন সম্ভাবনার দিগন্তে বাংলাদেশ ময়মনসিংহে পলাতক আসামী গেপ্ততার করেছে র‍্যাব ১৪ যুক্তরাষ্ট্র ঐক্য পরিষদের বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত চাঁপাইনবাবগঞ্জ ৫৩ বিজিবির অভিযানে ইয়াবাসহ আটক ১ বগুড়ার গাবতলী উপজেলার বিএনপিরভারপ্রাপ্তচেয়ারম্যান তারেক রহমানের ৬১তম জন্মদিন উপলক্ষে বিশেষ দোয়া মাহফিল

পুলিশী সহায়তায় মেরিনার্স ফুড এন্ড এগ্রো লিমিটেডের মালামাল লুট করার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ / ৯ Time View
Update : সোমবার, ১১ আগস্ট, ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

পুলিশী সহায়তায় মেরিনার্স ফুড এন্ড এগ্রো লিমিটেডের মালামাল লুট করার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ভুক্তভোগীরা। রাজধানীর প্লটনের মেহেরবা প্লাজায় এ সংবাদ সম্মেলন করা হয়। এতে অভিযোগ করা হয় পাবনার আমিনপুরে স্থানীয় থানার ওসি’র প্রত্যক্ষ সহায়তায় মেরিনার্স ফুড এন্ড এগ্রো লিমিটেডের মালামাল লুটের অভিযোগ উঠেছে প্রতিষ্ঠানটির ডিরেক্টর মোঃ শামীম আহমেদের বিরুদ্ধে।

এসময় শ্রমিক-কর্মচারীরা তাদের পাওনা বেতন-ভাতার দাবি জানালে তাদের মারধর ও মিথ্যা মামলায় হয়রানি ভয়-ভীতি দেখানো হয় বলে অভিযোগ করেন শ্রমিক নেতা শেখ নাসির উদ্দিন।তারা জানান, শামীম আহমেদ কোম্পানির বাকী ৪জন ডিরেক্টরদের নিয়ে কখনো কোন মিটিং না করে একক সিদ্ধান্ত নেন কোম্পানির একক স্বৈরাচার নিয়ন্ত্রণে পরিচালিত করছেন, অন্য ডিরেক্টরদের সাথে তিনি কখনোই কোম্পানির জবাবদিহিতা করেন না।

কোম্পানির অন্য ডিরেক্টর দের স্বাক্ষর নকল ও জাল করে অবৈধভাবে জানা অজানা শতাধিক মানুষের কাছ থেকে কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করেন বলে অভিযোগ করা হয় সংবাদ সম্মেলনে।

পাবনার আমিনপুরে স্থানীয় থানার ওসি’র প্রত্যক্ষ সহায়তায় মেরিনার্স ফুড এন্ড এগ্রো লিমিটেডের মালামাল লুটের অভিযোগ উঠেছে প্রতিষ্ঠানটির ৫ ডিরেক্টরের একজন মোঃ শামীম আহমেদের বিরুদ্ধে। এসময় শ্রমিক-কর্মচারীরা তাদের পাওনা বেতন-ভাতার দাবি জানাতে তাদের মারধর ও মিথ্যা মামলায় হয়রানি ভয়-ভীতি দেখানো হয় বলে অভিযোগ করেছেন শ্রমিক নেতা শেখ নাসির উদ্দিন।

১১ আগস্ট ২০২৫ সোমবার রাজধানীর মেহেরবা প্লাজায় অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে মোঃ মাসুদ রানা এবং ফজলুল করিম মেরিনার্স ফুড এন্ড এগ্রো লিমিটেড( সি -১৭৪৮০২) এর ফাউন্ডার, ডিরেক্টর এবং শেয়ার হোল্ডার জানান, কোম্পানির সিডিউল টেন অনুযায়ী এই কোম্পানির মালিক পাঁচজন- ১. মোঃ শামীম আহমেদ, ২. মোঃ মাসুদ রানা, ৩. মোঃ ফজলুল করিম, ৪. মোঃ আব্দুল আওয়াল ও ৫. মোঃ ফাহাদুল আফসার চৌধুরী।

আরও পড়ুনঃ রাজাপুরে শ্রমিক ইউনিয়নের অফিস উদ্বোধন

তারা জানান শামীম আহমেদ কোম্পানির বাকী ডিরেক্টরদের নিয়ে কখনো কোন মিটিং করে সিদ্ধান্ত নেন না। কোম্পানি তিনি একক স্বৈরাচার নিয়ন্ত্রণে পরিচালিত করছেন।ডিরেক্টরদের সাথে তিনি কখনোই কোম্পানির জবাবদিহিতা করেন না,যার পরিপেক্ষিতে ইতিমধ্যে আমরা সংশ্লিষ্ট দপ্তরে ও

আর জেএসসিতে একটি অভিযোগ দাখিল করি ও প্রত্যেকটা ব্যাংককে একাউন্ট ফ্রিজ করার জন্য নোটিশ প্রদান করি। অতঃপর আমরা পল্লী বিদ্যুৎ কাশীনাথপুর শাখা, বিএসটিআই, পাবনা আমরা অভিযোগ দাখিল করি।

তারা আরও বলেন আমরা যখন কোম্পানিটা বন্ধ করেছি ঠিক তখনি শামীম আহমেদ অন্য অনেক গুলো কোম্পানি খুলেছেন যার মধ্যে মেরিনার্স বেকার্স এন্ড বেভারেজ লিমিটেড একটি। শামীম আহমেদ মেরিনারস ফুড এন্ড এগ্রো লিমিটেডের সম্পদ মেরিনার্স বেকারস এন্ড বেভারেজ লিমিটেডের নামে সম্পদ ট্রান্সফার করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হন, আমরা তাৎক্ষণাৎ বাধা প্রদান করি।

আরও পড়ুনঃ লামায় টাইফয়েড ঠিকাদান ক্যাম্পেইন ওরিয়েন্টেশন সভা অনুষ্ঠিত

শামীম আহমেদ আওয়ামী ফ্যাসিস্ট এর দোসর। শামীম গং ও আমিনপুর থানার ওসির হস্তক্ষেপে প্রশাসনের সহযোগিতায় ১০ আগস্ট ২০২৫ রবিবার দিনে-দুপুরে কোম্পানির শ্রমিকদের মারধর, ভয়-ভীতি প্রদর্শন ও অস্ত্রের মুখে শ্রমিকদের অধিকার বঞ্চিত করে এবং মেরিনার্স ফুড এন্ড এগ্রো লিমিটেডের মালিকদের সম্পদ ও মেশিনারিজ ক্রেন ও ট্রাক ব্যবহার করে প্রায় দুই কোটি টাকার মালামাল ডাকাতি ও লুট করে। এই ঘটনাটির পুরাটাই আমিনপুর থানার ঐ ওসির হস্তক্ষেপে সংঘটিত হয়েছে। আমরা তার সঠিক তদন্তপূর্বক বিচার দাবি করি।

সংবাদ সম্মেলনে শ্রমিক নেতা শেখ নাসির উদ্দিন বলেন, যেকোন কোম্পানী স্থানান্তর বা বন্ধ করতে হলে শ্রমিকদের ৩ মাস আগে নোটিশ দিয়ে অবগত করতে হয় এবং তাদের বকেয়া বেতন-ভাতাদি পরিশোধ করতে হয়। কিন্তু শামীম আহমেদ গং কোন নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করেই গায়ের জোরে মালামাল নিয়ে গিয়েছেন।

আর এ কাজে সহযোগিতা করেছেন প্রশাসনের দুর্নীতিবাজ কিছু কর্মকর্তা। আমরা শামীম আহমেদ ও আমিনপুর থানার ওসির বিচার দাবি করছি এবং অবিলম্বে শ্রমিক-কর্মচারীদের বকেয়া পরিশোধে সরকারের হস্তক্ষেপ কামনা করছি। অন্যথায় যেকোন অপ্রীতিকার পরিস্থিতির দায় সরকার ও শামীম আহমেদের ওপর বর্তাবে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category