প্রফেসর ড. মোহাম্মদ আবু নাছের, ব্যুরো চীফ নোয়াখালী:
নোয়াখালীর দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ার চেয়ারম্যান ঘাটে পণ্য উঠানো নামানোর কাজে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টির অভিযোগে মানববন্ধন করছেন শ্রমিকরা।
বৃহস্পতিবার ( ৪ সেপ্টেম্বর ) দুপুরে চেয়ারম্যান ঘাটে বিআইডব্লিটিএ’র পল্টনের ওপর এ মানববন্ধন করা হয়।
আরও পড়ুনঃ সাংবাদিক হত্যা ও নির্যাতনের নিন্দা : ঢাকা প্রেসক্লাবের কঠোর প্রতিবাদ ও বিচারের দাবি
এ সময় শ্রমিকরা অভিযোগ করেন, চেয়ারম্যান ঘাট-নলচিরা নৌপথে চলাচলকারী এস.টি সৈবাল সি-ট্রাকের মাস্টার (চালক) আফজাল হোসেন সব সময় পল্টনের সাথে সি-ট্রাক রাখেন। এতে পণ্যবাহী নৌকাগুলোতে পণ্য উঠানোর সময় এবং নামানোর সময় শ্রমিকদের অনেক অসুবিধা হয়। মাঝে মাঝে দুর্ঘটনাও ঘটে।
শ্রমিকদের দাবি, যাত্রী উঠানোর সময় এবং নামারনার সময় ছাড়া সি-ট্রাক পল্টন থেকে দূরে নোঙর করে রাখলে কারো কোন সমস্যা হয় না। বিষয়টি সি-ট্রাকের চালক আফজাল হোসেনকে বুঝিয়ে বলা হলেও তিনি অলস সময়ে টি-ট্রাক পল্টনের বাইরে রাখতে রাজি নন।
মানববন্ধনে অংশগ্রহণকারী শ্রমিকরা বলেন, সি-ট্রাক পল্টনে এসে যাত্রী নামিয়ে দিয়ে ফাঁকে গিয়ে থাকতে পারে। আবার যাওয়ার সময় পণ্টনে এসে যাত্রী উঠাতে পারে। সি-ট্রাকের প্রতি আমাদের কোন ক্ষোভ নাই। আমরা শুধু আফজাল মাস্টার যে অনিয়মগুলা করে এটার জন্য আমরা প্রতিকার চাই। আমাদের দাবি হলে পল্টনটা খালি রাখা। তাহলে আমরা মাল লোড আনলোড করতে কোন প্রতিবন্ধকতায় পড়তে হয় না।
আরও পড়ুনঃ মধুপুরে এ্যাড. মোহাম্মদ আলীর নেতৃত্বে বিএনপি’র, ৪৭তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালিত
পরে একই অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন করেন চেয়ারম্যান ঘাটের ইজারাদার আমিনুল ইসলাম মতিন। তিনি বলেন, সি-ট্রাক এখানে আসবে যাত্রী নামাবে, যাত্রী উঠোবে। অলস সময়ে নদীতে নোঙর করে থাকবে এটাই রাখা নিয়ম। এ নিয়মটা বাস্তবায়ের জন্য আমরা জোর দাবি জানাচ্ছি। আমাদের সাথে সি-ট্রাকের কোন দ্বন্দ্ব নাই। ব্যক্তি আফজাল মাস্টারের সাথে দ্বন্দ্ব। সে সত্য মিথ্যার আশ্রয় নিয়ে প্রতিনিয়িত আমাদের বিরুদ্ধে, আমার বিরুদ্ধে প্রেপাগান্ডা করতেছে। আমরা ন্যায়সঙ্গত দাবি জানাচ্ছি।
অভিযোগ অস্বীকার করে আফজাল হোসেন জানান, নদীতে সি-ট্রাক নোঙর করা অনিরাপদ তাই ঘাটে পল্টনের সাথে রাখেন তিনি।