জামাল ভুঁইয়াঃ
মুসলিম জাতিসত্তা এবং ১৯০৫ সালই হল বাংলাদেশের ভিত্তি মূল, পর্ব ১০
বিষয় :- আছাবিয়্যাত ও সভ্যতা সম্পর্কিত আলোচনা।
পাঠক, আমি ইতিপূর্বে আছাবিয়্যাত এর প্রকূতি ও স্বরূপ সম্পর্কে আলোচনা করেছি । আছাবিয়্যাত ও সভ্যতার এর মধ্যে সূক্ষ্ম পার্থক্য রয়েছে। ইতিহাস পর্যালোচনা করলে দেখা যায় যে, অধিকাংশ রাষ্ট্র গঠনের ক্ষেত্রে আছাবিয়াত অপরিহার্য উপাদান, পক্ষান্তরে সভ্যতা রাষ্ট্র গঠনের ক্ষেত্রে অনেক সময় অপরিহার্য উপাদান নয় । একটি আদর্শিক রাষ্ট্র কখনো আছাবিয়্যাত এর ধারক বাহক হতে পারে না ।
একই সভ্যতার অধীনে আছাবিয়্যাত এর ভিত্তিতে একাধিক রাষ্ট্র গঠিত হয় এবং এই রাষ্ট্রগুলোর গঠনের মুলে ধর্ম বা কোন আদর্শ থাকে। একই সভ্যতার অধীনে ধর্ম এক হলে ও রাষ্ট্র গঠনের জন্য ভিন্ন আছাবিয়্যাত গ্রহণ করে। উদাহরণ স্বরূপ মধ্য প্রাচ্যের মুসলিম দেশ গুলো মুসলিম সভ্যতার অ্শ হলে ও রাষ্ট্র গঠনের ক্ষেত্রে তাদের মূল উপাদান ধর্ম নয় বরং স্থানীয় শাসকগোষ্ঠী বা অন্যবিধ গোত্র প্রীতি হল তাদের মূল উপাদান।
আরও পড়ুনঃ গাজীপুর মেট্রোপলিটন টঙ্গী পশ্চিম থানার এস আই আসাদুজ্জামানের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে
ইউরোপের দেশগুলো খ্রীষ্টান অধ্যুষিত হলেও ধর্মের শাখাগুলো যেমন অর্থোডক্স, ক্যাথলিক ও প্রোটেষ্টেটান প্রাথমিক ভাবে রাষ্ট্র গঠনের অন্যতম উপাদান। রাশিয়া অর্থোডক্স খ্রিস্টান, তাই রাশিয়ার মূল উপাদান হল অর্থোডক্স খ্রিস্টান ও রুশ ভাষা। ইউরোপীয় দেশগুলো বহু দিন ধর্মীয় শাখাগত আছাবিয়াতে বিশ্বাসী ছিল। আবার ইউরোপের কিছু দেশ আছাবিয়্যাত এর ভিত্তিতে গঠিত হয়েছে, যেমন সার্বিয়া।
পূর্ব এশিয়ার দেশগুলো বৌদ্ধ সভ্যতার অনুসারি হলেও ভাষা এবং পরিবারকেন্দ্রিক আছাবিয়্যাত বৌদ্ধ সভ্যতার অনুসারীদের ভিন্ন ভিন্ন দেশে বিভক্ত করেছে । বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্রের মূল ভিত্তি হল ১৯০৫ যা সভ্যতার দ্বন্দ্বের সাথে জড়িত। এদেশের মুল ভিত্তি আছাবিয়্যাত নয় , মূল ভিত্তি হল সভ্যতার দ্বন্দ্ব যার সূত্রপাত ১৯০৫ সালে শুরু হয়। আদর্শিক রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশকে কুরআন ও সুন্নাহর আইন তথা খিলাফত প্রতিষ্ঠা করা আবশ্যক।
চলমান, তারিখ —-০৮.০৭.২০২৫ ইং
মোঃ মোস্তফা জামাল ভূঁইয়া
চেয়ারম্যান
প্যান ইসলামিক মুভমেন্ট বাংলাদেশ।