মোঃ মোস্তফা জামাল ভুঁইয়াঃ
মুসলিম জাতিসত্তা এবং ১৯০৫ সালই হল বাংলাদেশের ভিত্তি মূল, পর্ব ০৯
বিষয় :- সভ্যতা সম্পর্কিত আলোচনা।
ইবনে খালদুন সভ্যতাকে বেদুইনী সভ্যতা ও নগর সভ্যতা এই দুইটি ভাগে বিভক্ত করেছেন। বেদুইনী সভ্যতা বা নগর সভ্যতা উভয় সভ্যতায় আছাবিয়াতের প্রভাব বিদ্যমান। বেদুইনী সভ্যতায় এক গোত্র অপর গোত্রের আক্রমণ থেকে বাঁচার জন্য গোত্র পতির নেতূত্বে এক পতাকা তলে সমবেত হয় ।
পাঠক, আপনি আফ্রিকার হাবশী, জান্জী ও বার্বার জনগোষ্ঠীর বিভিন্ন বেদুইন গোত্রের মধ্যে এই গোত্রপ্রীতির প্রভাব এখনো লক্ষ্য করবেন।
এবার আসা যাক, নগর সভ্যতার মধ্যে গোত্রপ্রীতির প্রভাব। নগর সভ্যতার বিভিন্ন স্তর রয়েছে। নগর রাষ্ট্র, সাম্রাজ্য। উভয়ের মধ্যে গোত্র প্রীতি বিদ্যমান ছিল। প্রাচীনকালে এই গোত্র প্রীতি ছিল ব্যাক্তি ও পরিবার কেন্দ্রিক। বর্তমানে রাজতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থায় এই ব্যাক্তি ও পরিবার কেন্দ্রিক গোত্র প্রীতি দেখা যায়।
আরও পড়ুনঃ সাঘাটায় সেনাবাহিনীর অভিযানে অবৈধ ড্রেজার মেশিন জব্দ সহ গ্রেফতার ৬
বর্তমান হ্যান্টি্টন সভ্যতার দ্বন্দ্ব নামক একটি নতুন ধারনা প্রদান করেছেন। তিনি সভ্যতার দ্বন্দ্ব বলতে মূলত ধর্মীয় জনগোষ্ঠীর অস্তিত্ব ও স্ঘাতকে বুঝিয়েছেন। তবে এই সভ্যতার দ্বন্দ্ব মধ্যযুগেও ছিল, উদাহরণ স্বরূপ ক্রুসেড যুদ্ধ যা মুসলিম ও খ্রিস্টান ধর্মের অনুসারীদের মধ্যে কয়েক শতাব্দী যাবৎ অব্যাহত ছিল।
১০৯৯ সালে ক্রূসেডারদের যে ঐক্য সেটা ছিল ধর্ম কেন্দ্রীক। আবার প্রতিরোধ ছিল ধর্ম কেন্দ্রীক । অর্থাৎ বূহৎ দুই সভ্যতা অর্থাৎ খ্রিস্টান ও ইসলামী সভ্যতার দ্বন্দ্ব।
আধুনিক যুগে ভারত ও পাকিস্তান নামক রাষ্ট্র গঠন সভ্যতার দ্বন্দ্বের একটি উদাহরণ। এই পাকিস্তানের ভিত্তি মূল ছিল ১৯০৫ যার সূত্র ধরে ১৯০৬ সালে মুসলিম লীগ গঠন এবং মুসলিম লীগের নেতূত্বে পাকিস্তান গঠিত হয়। এবং পাকিস্তানের সূত্রে বর্তমান বাংলাদেশ। তাই ১৯০৫ হল বাংলাদেশের ভিত্তি মূল।
চলমান, তারিখ —-০৭.০৭.২০২৫ ইং
মোঃ মোস্তফা জামাল ভূঁইয়া
চেয়ারম্যান
প্যান ইসলামিক মুভমেন্ট বাংলাদেশ।