বর্ষার অলিখিত প্রেম- আসাদুজ্জামান খান মুকুল
বর্ষার প্রথম ফোঁটা নামতেই মনে হলো–
তুমি দাঁড়িয়ে আছো একা, ছাতা ছাড়াই –
সিক্ত হয়েছে তোমার এলোকেশ, এতে খুঁজে পেয়েছি আমি হারানো শ্রাবণের ঘ্রাণ।
জানালার ধারে বসা দুপুরে, দেখি তুমি হেঁটে যাচ্ছো বৃষ্টির রেখায়–
কোনো হারানো কবিতার মতো, যার পঙ্ক্তি আমি মুখস্থ করতে পারিনি।
তুমি হয়তো বর্ষারই আরেক নাম, যাকে কোনোদিন পুরোপুরি ডাকা হয়নি কন্ঠ ভরে।
তোমার চোখে ছিল এমন একজল, যা শুধু মেঘের আয়নায় প্রতিফলিত হয়েছে চুপিচুপি।
সে জল পড়তো আমার বুকের জমিনে, অস্পষ্ট কোনো কান্নার সুরে।
তুমি চলে যাবার দিন আকাশটাও থেমে গিয়েছিল –ঘুমভাঙা পাখির মতো কেঁদেছিল সারারাত।
তোমার না থাকা এক দীর্ঘ শ্রাবণ, যেখানে সিক্ত হয়েছি শুধু আমি একা।
সেই বৃষ্টি স্নাত বাতাসে আজও তুমি ছুঁয়ে যাও– কখনো কানের পাশে, কখনো পেছনে দাঁড়িয়ে।
আমার হৃদয় এখন ছাতাহীন পথচারী, প্রতিটি ফোঁটায় খোঁজে ফিরে তোমার মুখচ্ছবি।
মাঠের ভিজে ঘাসে আমি খুঁজি– তোমার পায়ের রেখা, অথবা কোনো ছায়ার ছোঁয়া।
আরও পড়ুনঃ গজারিয়ায় অবৈধ চুনা কারখানার বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করেছে তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষের
যতবার বৃষ্টি নামে, আমি ভেবে চলি, এই বুঝি তুমি এলে, কাঁপা ভিজে গলায়।
তুমি অদৃশ্য হয়েও ফিরে আসো– প্রতিটি বৃষ্টির ফোঁটায়, প্রেমের শব্দ হয়ে।
আঙ্গুলের ডগায় জমে থাকা জল তুমি — যাকে না ছুঁয়েও প্রতিনিয়ত ছুঁয়ে থাকা যায়।
ভালোবাসা কি কখনো হারিয়ে যায়? না, সে তো বর্ষার মতো — আবার ফিরে আসে চুপচাপ।
তুমি এক অলিখিত চিঠি– যার ভাষা আমি বুঝি শুধু শ্রাবণের মৌণতায়।
আর আমি? তোমার অপেক্ষায় ভিজে থাকা এক নামহীন কবিতা।