সাংবাদিক আনোয়ার হোসেনঃ
শিক্ষনীয় গল্পঃ
…..আমি অসুস্থ সবাই দোয়া করবেন চিন্তা করলাম কি দিয়ে এ বিশাল জনগণের কিছু হক আদায় করিতে পারি। তাই শিক্ষয়নীয় একটা গল্প পোস্ট করলাম
একদিন একটা গরীব ছেলে রাস্তায় হাঁটছিলো। সে তার লেখাপড়ার খরচ জোগাড় করার জন্য ঘরে ঘরে গিয়ে বিভিন্ন জিনিস বিক্রি করতো। ছেলেটার গায়ে ছিলো একটা জীর্ন মলিন পোষাক। সে ভীষণ ক্ষুধার্ত ছিলো। সে ভাবলো যে পরে যে বাড়ীতে যাবে,সেখানেগিয়ে সে কিছু খাবার চাইবে।
কিন্তু সে যখন একটা বাড়ীতে গেলখাবারের আশা নিয়ে,সে ঘর থেকে একজন সুন্দরী মহিলা বেরিয়ে এলেন। সে খাবারের কথা বলতে ভয় পেলো। সে খাবারের কথা না বলে শুধু এক গ্লাস জল চাইলো। মহিলা ছেলেটার অবস্থা দেখে বুঝলেন যে সে ক্ষুধার্থ। তাই তিনি ছেলেটাকে একটা বড় গ্লাসদুধ এনে দিলেন।
ছেলেটা আস্তে আস্তে দুধটুকু খেয়ে বলল” আপনাকে আমার কত টাকা দিতে হবে এই দুধের জন্য?” মহিলা বলল “তোমাকে কোন কিছুই দিতে হবে না। ছেলেটা বলল “আমার মা আমাকে বলেছেন কখনো করুণার দান না নিতে। তাহলে আমি আপনাকে মনের অন্তস্থল থেকে ধন্যবাদ দিচ্ছি।ছেলেটার নাম ছিলো স্যাম কেইলি ।
স্যাম যখন দুধ খেয়ে ঐ বাড়ি থেকে বের হয়ে এল, তখন সে শারীরিকভাবে কিছুটা শক্তি অনুভব করলো। স্যাম এর বিধাতার উপর ছিলো অগাধ বিশ্বাস। তাছাড়া সে কখনো কিছু ভুলতো না । অনেক বছর পর ঐ মহিলা মারাত্মকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়ল।স্থানীয় ডাক্তাররা তাকে সুস্থ করতে চেষ্টা করেও ব্যার্থ হল।
তখনতাকে পাঠানো হলো একটা বড় শহরের নামকরা হাসপাতালে। যেখানে দুলর্ভ ও মারাত্মক রোগ নিয়ে গবেষণা ও চিকিৎসা করা হয়। ডা: স্যামকেইলি কে এই মহিলার দায়িত্ব দেওয়া হলো। যখন ডাঃ স্যাম কেইলি শুনলেন যে মহিলা কোন শহর থেকে এসেছেন, তার চোখের দৃষ্টিতে অদ্ভুত একটা আলো যেন জ্বলে উঠলো ।
তিনি তাড়াতাড়ি ঐ মহিলাকে দেখতে গেলেন। ডাক্তারের এপ্রোন পরে তিনি মহিলার রুমে ঢুকলেন এবং প্রথম দেখাতেই তিনি মহিলাকে চিনতে পারলেন । তিনি মনে মনে সিদ্ধান্ত নিলেন যে, যেভাবেই হোক তিনি মহিলাকে বাঁচাবেনই । ঐ দিন থেকে তিনি ঐ রোগীর আলাদাভাবে যত্ন নেওয়া শুরু করলেন।
আরও পড়ুনঃ ৫ আগষ্ট চানখারপুল হত্যাকাণ্ডের মাস্টারমাইন্ড শাহ আলম মো: আখতারুল ইসলাম তৎকালীন এডিসি রমনা জোন
অনেক চেষ্টার পর মহিলাকে বাঁচানো সম্ভব হলো । ডাঃ স্যাম কেইলি হাসপাতালের একাউন্টেন্টকে ঐ মহিলার চিকিৎসার বিল দিতে বললেন, কারণ তার সাইনছাড়া ঐ বিল কার্যকর হবে না। ডাঃ স্যাম কেইলি ঐ বিলের কোণায় কি যেনো লিখলেন এবং তারপর সেটা ঐ মহিলার কাছে পাঠিয়ে দিলেন।
মহিলা ভীষণ ভয় পাচ্ছিলেন বিলটা খুলতে। কারণ তিনি জানেন যে এতো দিনে যে পরিমাণ বিল এসেছে তা তিনি সারা জীবনেও জীবনেও শোধ করতে পারবেন না। অবশেষে তিনি বিলটা খুললেন এবং বিলের পাশ দিয়ে লেখা কিছু কথা তার দৃষ্টি আকর্ষণ করলো ।
তিনি পড়তে লাগলেন “আপনার চিকিৎসার খরচ হলো পুরো এক গ্লাস দুধ।” এবং বিলের নিচের সাইন করা ছিলো ডাঃ স্যাম কেইলির নাম। মানুষকে সাহায্য করুন, যতটা আপনার পক্ষে সম্ভব। হয়তো এই অল্প সাহায্যের ফল হিসেবে আপনি এমন কিছু পাবেন যা কখনো আপনি চিন্তাই করেননি।