ডাঃ রাজিব আহমেদঃ
কথিত করোনা টিকা গ্রহণের কারণে আপনার শারীরিক সমস্যা যেটাই হোক না কেন, এক সপ্তাহের প্রাকৃতিক চিকিৎসায় রক্তের দূষণ কমানোর প্রক্রিয়া শুরু করা সম্ভব..! মনে রাখবেন- চিকিৎসা মাফিয়ারা (তাঁদের ব্যবসায়িক স্বার্থে) যে রোগকে যত জটিল বলে আমাদের সামনে উপস্থাপন করে, তার তত সহজ প্রাকৃতিক সমাধান রয়েছে। পবিত্র কোরআন ও হাদিসের আলোকে দেহকে জীবাণুমুক্ত কার্যকর উপায় নিম্নরূপ :-
ঘরে বসে নিজ দায়িত্বে চিকিৎসা শুরুর প্রথম তিনদিন সূর্যোদয় থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত এক ঘণ্টা পরপর হালকা কুসুম গরম পানির সঙ্গে লেবুর রস, ভিনেগার আর যৎসামান্য প্রাকৃতিক মধু মিশিয়ে পান করতে থাকুন। সারাদিনের মধ্যে মাত্র এক-দু’বার এক গ্লাস বিভিন্ন সবুজ পাতার (তুলসী পাতা, পুদিনা পাতা, লেটুসপাতা, ধনেপাতা ইত্যাদি ব্লেন্ড করে) রস পান করতে পারেন। এর বাইরে অন্য কোনোকিছু ছুঁয়েও দেখবেন না (খাওয়া তো দূরের ব্যাপার)। বিশেষ এই পানীয় অবশ্যই মাটির সমতলে বসে (দুই হাতে গ্লাস ধরে) কুলি করতে করতে কমপক্ষে তিন বা ততধিক শ্বাসে (ঢোকে) পান করবেন।
আরও পড়ুনঃ গরিব অসহায় মানুষের হাতে গরু-ছাগল, সেলাই মেশিন ও চারা তুলে দিলেন বান্দরবান জেলা পরিষদ
প্রথম তিনদিনের জলচিকিৎসার জন্য জমজম কূপের পানি যোগাড় করতে পারলে খুব ভালো হয়। নিদেনপক্ষে পাহাড়ি ঝর্ণার পানি অথবা সরাসরি বৃষ্টি থেকে ধারণকৃত পানি যোগাড় করবেন এবং সেই পানি কাঁসা বা মাটির কলসে সংরক্ষণ করবেন। কলসটি মাটির হলে তাতে এক টুকরো তামা ভিজিয়ে রাখবেন।
চতুর্থ দিন সকালে ঘুম থেকে জেগে এক গ্লাস পানি পান করার পর খানিকক্ষণ হাঁটাহাঁটি করে এসে প্রাকৃতিক জীবন্ত খাবারের রংধনু (সাত রঙের) নাস্তা খেতে পারেন। অথবা আপনার ওজন যত কেজি, কেজি প্রতি ১০ গ্রাম হিসেবে দেশীয় মৌসুমি ফল খেয়ে পেট ভরুন।
তবে টক আর মিষ্টি ফল একসঙ্গে খাওয়া যাবে না (অন্তত আধা ঘণ্টা বিরতি দিয়ে খাবেন)। একমুঠো পঞ্চ-বাদাম (কাজু, আখরোট, পেস্তা, কাঠ, দেশি চীনা) আগের রাতে পানিতে ভিজিয়ে রেখে খেতে পারেন। অথবা কুমড়ো বীজ, সূর্যমুখী বীজ, অঙ্কুরিত ডাল বীজ ইত্যাদি একমুঠো পরিমাণে খাবেন। এরপর এক কাপ গ্রিন টি অথবা লেবু-হলুদ-গোলমরিচের চা পান করবেন।
আরও পড়ুনঃ গরিব অসহায় মানুষের হাতে গরু-ছাগল, সেলাই মেশিন ও চারা তুলে দিলেন বান্দরবান জেলা পরিষদ
বেলা ১১টার দিকে তোকমা দানা, চিয়া বীজ, তিষি, তুলসী বীজ, ইসুবগুলের ভুষি (যেগুলো হাতের নাগালে পাওয়া যায়) অগ্রিম ভিজিয়ে রেখে এক গ্লাস খেতে পারেন। অথবা এক গ্লাস পাকা চালকুমড়া/কচি লাউয়ের রস (সঙ্গে একটা আমলকি) পান করতে পারেন।
দুপুরে বাতাবি লেবু অথবা কাঁচা বাঁধাকপি/পেঁপে/আমড়া কুচি করে কেটে আদা-রসুন-পেঁয়াজ-কাঁচা হলুদ-সন্ধক/বিট লবণ-মরিচ-কাসুন্দি মাখিয়ে খাবেন। ফাঁকে ফাঁকে দিনভর লেবুর পানি (দিনে একবার মধুসহ) পান চলবে।
বিকেলে গরম মসলা ফুটিয়ে (অথবা গুঁড়ো মিশিয়ে) এক কাপ আদা/কালোজিরার চা পান করবেন।
সূর্যাস্তের আগে অল্প পরিমাণে খেজুর/কলা/কুল (বরই)/ডালিম (আনার)/ত্বীন/জলপাই/আঙুর (যে কোনো একটি বা দু’টি ফল) খাবেন।
প্রতিবেলায় খাবার খাওয়ার পর অন্তত ৪০ কদম হাঁটাহাঁটি করবেন।
প্রতিদিন নিমপাতা সিদ্ধ করা পানিতে পা চুবিয়ে ৪০ মিনিট বসে থাকবেন আর খালি পায়ে কাদামাটির ওপরে হাঁটবেন অথবা কিছুক্ষণ স্থির হয়ে দাঁড়িয়ে থাকবেন।
আরও পড়ুনঃ আশেকানে হক ভাণ্ডারী হারুয়ালছড়ি ৩নং শাখার উদ্যোগে বৃক্ষ রোপণ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত
চতুর্থ দিন থেকে প্রতিদিন সন্ধ্যায় এক কাপ সাজনা পাতা, কালোজিরা ও হলুদ মিশ্রিত চা অথবা গ্রিন/রোজেলা টি পান করতে পারেন। অথবা এক বাটি বিটের স্যুপ আদা-রসুন-গোলমরিচ সহকারে খাবেন।
শাকসবজি ও ফলমূলগুলো অবশ্যই প্রাকৃতিক পদ্ধতিতে আবাদকৃত (রাসায়নিক সার ও কীটনাশক-মুক্ত) হতে হবে। বাজার থেকে কেনা জিনিসের বিশ্বাস নাই!
চতুর্থ থেকে সপ্তম দিন পর্যন্ত একই নিয়মের পুনরাবৃত্তি চলবে। এ সময় আগুনের স্পর্শযুক্ত (রান্না করা) সর্বপ্রকার খাদ্যগ্রহণ থেকে সম্পূর্ণ বিরত থাকবেন। আবারো বলছি- বর্ণিত নিয়মের বাইরে অন্য কোনোকিছু ছুঁয়েও দেখবেন না (খাওয়া তো দূরের ব্যাপার)।
যাদের মুঠোভরে ড্রাগস সেবনের বদাভ্যাস এবং একদিন ড্রাগস সেবন না করলে মনে হয় কিছুই খাইনি, তাঁরা সান্ত্বনাস্বরূপ এক কৌটা spirulina ক্যাপসুল কিনে প্রতিদিন ২+২+২ নিয়মে খেতে পারেন!
কোনো অবস্থাতেই রাত জাগবেন না। এশার নামাজ আদায় করে ঘুমিয়ে যাবেন এবং তাহাজ্জুদের সময় বিছানা ছাড়বেন। ফজরের নামাজের পর হাঁটাহাঁটি করবেন (সম্ভব হলে দৌড়াবেন বা সাইকেল চালাবেন) এবং গায়ে সূর্যের নরম আলো লাগাবেন। নিমগাছের নিচে/পাশে বসে খানিকক্ষণ প্রাণায়াম/দমচর্চা/ইয়োগা করতে পারেন।
পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ জামাতে আদায়ের চেষ্টা করবেন। নামাজ ছাড়াও যথাসম্ভব ওযু অবস্থায় থাকবেন। ওযুভঙ্গের কারণ ঘটলে সঙ্গে সঙ্গে আবার ওযু করে নেবেন। বিশ্রামরত অবস্থায় মনে মনে সুরা ফাতিহা এবং সূরা নাস পাঠ করতে থাকবেন।
গোসল করবেন স্বাভাবিক তাপমাত্রার অথবা বরফ মিশ্রিত পানি দিয়ে। এর বাইরে সময় কাটাবেন মূলত মাতৃভা…