শনিবার, ২২ নভেম্বর ২০২৫, ০৬:০৫ পূর্বাহ্ন
Headline :
বাংলাদেশ জোট মুখপাত্র হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন বাংলাদেশ সর্বজনীন জোটের চেয়ারম্যান মোঃ আবুল হাসেম ন্যাশনাল ইউনিটি কাউন্সিল(এনইউসি) এর মহাসচিব বিদ্যুৎ চন্দ্র বর্মনের বাণী: মানবতার মূর্ত প্রতীক: *অধ্যাপক ড. আলহাজ্ব মোঃ শরীফ আব্দুল্লাহ হিস সাকী শিক্ষাবিদ ও মানবতাবাদী এক অনন্য সমন্বয়* -ড. এ আর জাফরী বাংলাদেশ সর্বজনীন জোটে মূল চিন্তাশক্তি হিসেবে আবির্ভূত প্রধান উপদেষ্টা ফরহাদ মাজহার বগুড়া গাবতলী স্টেশনের রেলওয়ে কর্মচারীকে মারপিট করে আহত করে ২২ বছর পর ভারতের বিপক্ষে ঐতিহাসিক জয় – দক্ষিণ এশিয়ার ফুটবলে নতুন সম্ভাবনার দিগন্তে বাংলাদেশ ময়মনসিংহে পলাতক আসামী গেপ্ততার করেছে র‍্যাব ১৪ যুক্তরাষ্ট্র ঐক্য পরিষদের বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত চাঁপাইনবাবগঞ্জ ৫৩ বিজিবির অভিযানে ইয়াবাসহ আটক ১ বগুড়ার গাবতলী উপজেলার বিএনপিরভারপ্রাপ্তচেয়ারম্যান তারেক রহমানের ৬১তম জন্মদিন উপলক্ষে বিশেষ দোয়া মাহফিল

চাঁদ আল্লাহর সৃষ্টি ও নিদর্শন-

লেখক সাংবাদিক আনোয়ার হোসেনঃ  / ৮ Time View
Update : শনিবার, ২৬ জুলাই, ২০২৫

লেখক সাংবাদিক আনোয়ার হোসেনঃ

চাঁদ আল্লাহর সৃষ্টি ও নিদর্শন আল্লাহ তাআলা এ মহাবিশ্বের স্রষ্টা। এই পৃথিবী, আকাশ, গ্রহ-নক্ষত্র সবই তার সৃষ্টি। এগুলোর মধ্যে আল্লাহর বহু নিদর্শন ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে, যা তার অস্তিত্বের প্রমাণ বহন করছে।

আল্লাহ বলেন, নিশ্চয়ই নভোমণ্ডল ও ভূমণ্ডল সৃষ্টিতে এবং দিন ও রাতের পরিবর্তনে জ্ঞানীদের জন্য নিদর্শনাবলি রয়েছে। (সুরা আলে ইমরান: ১৯০)

চাঁদ আল্লাহর এক বিরাট সৃষ্টি ও নিদর্শন। কোরআনের বিভিন্ন আয়াতে আল্লাহ চাঁদের কথা বলেছেন।

আরও পড়ুনঃ সৌদি ছাত্র পরিষদ বগুড়ার ব্যতিক্রমী উদ্যোগে জেলার প্রথম ইসলামী সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা

চাঁদ ও সূর্যকে নিজের সৃষ্টি ও নিদর্শন উল্লেখ করে আল্লাহ বলেন, তাঁর নিদর্শনসমূহের মধ্যে রয়েছে রাত ও দিন, সূর্য ও চাঁদ। তোমরা না সূর্যকে সিজদা করবে, না চাঁদকে। আর তোমরা আল্লাহকে সিজদা কর যিনি এগুলো সৃষ্টি করেছেন, যদি তোমরা কেবলমাত্র তাঁরই ইবাদত কর। (সুরা হা মিম সিজদা: ৩৭)

চাঁদ ও সূর্য যেহেতু আল্লাহর একটি বিরাট ও দীপ্তিময় সৃষ্টি, মানুষ যেন ভুল করে চাঁদের উপাসনা শুরু না করে এ ব্যাপারেও সাবধান করা হয়েছে এ আয়াতে। এছাড়া কোরআনের অন্য দুটি আয়াতে আল্লাহ তাআলা চাঁদের শপথ করেছেন।

আল্লাহ বলেন, কখনো নয়, চাঁদের শপথ (সুরা মুদদাসসির: ৩২) চাঁদ-সূর্য আল্লাহ তায়ালার আশ্চর্য সৃষ্টি। তিনি পৃথিবীকে চাঁদ ও সূর্যের আলো দিয়ে মানুষের বসবাস উপযোগী করেছেন।

সূর্যের আলো ছাড়া পুরো পৃথিবী অন্ধকারে থাকত। রাতে দিয়েছেন চাঁদের আলো। কিন্তু তা সূর্যের আলোর মতো নয়। সূর্যের আলোর তেজস্বতা ও প্রখরতা চাঁদের আলোতে নেই।

আরও পড়ুনঃ দীঘিনালায় জেএসএস ও ইউপিডিএফের গোলাগুলিতে নিহত ৪

আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কোরআনের অসংখ্য জায়গায় চাঁদ-সূর্যের বর্ণনা দিয়েছেন। এক জায়গায় এসেছে, ‘আল্লাহ ওই সত্তা, যিনি সূর্যকে দীপ্তিমান এবং চাঁদকে আলোকময় বানিয়েছেন এবং তার জন্য মঞ্জিলসমূহ নির্ধারিত করেছেন, যাতে তোমরা বছরগুলোর সংখ্যা ও হিসাব জানতে পারো।

আল্লাহ এসব বস্তু অযথা সৃষ্টি করেননি, তিনি এই প্রমাণসমূহ বিশদভাবে বর্ণনা করেছেন ওইসব লোকের জন্য যারা জ্ঞানবান।’ (সুরা ইউনুস: ৫)

চাঁদের আলো নিয়ে কুরআনের আয়াত ও ইসলামী পণ্ডিতদের ব্যাখ্যা কুরআনে চাঁদের আলো কুরআনে সূর্য ও চাঁদের আলোর মধ্যে সুস্পষ্ট পার্থক্য করা হয়েছে।

সূর্যকে “সিরাজ” (سراج) বা দীপ্তিময় প্রদীপ এবং “দ্বীয়া” (ضياء) বা প্রজ্জ্বলিত আলো বলা হয়েছে, আর চাঁদকে “নূর” (نور) বা আলোকময় হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।

আরও পড়ুনঃ হেলাল প্রকৌশলী না ঠিকাদার? — এত প্রতিবাদ-প্রতিবেদন সত্ত্বেও নীরব প্রশাসন! তাহলে হেলালের খুঁটির জোর কোথায়?

প্রাসঙ্গিক আয়াত:

• সূরা ইউনুস (১০:৫):
هُوَ ٱلَّذِى جَعَلَ ٱلشَّمْسَ ضِيَآءًۭ وَٱلْقَمَرَ نُورًۭا وَقَدَّرَهُۥ مَنَازِلَ لِتَعْلَمُوا۟ عَدَدَ ٱلسِّنِينَ وَٱلْحِسَابَ ۚ
“তিনিই সেই সত্তা, যিনি সূর্যকে করেছেন তেজোদীপ্ত এবং চন্দ্রকে আলোকময় এবং তার তিথি নির্দিষ্ট করেছেন, যাতে তোমরা বছরগুলোর গণনা ও হিসাব জানতে পারো।”

• সূরা নূহ (৭১:১৬):
وَجَعَلَ ٱلْقَمَرَ فِيهِنَّ نُورًۭا وَجَعَلَ ٱلشَّمْسَ سِرَاجًۭا “এবং সেখানে চন্দ্রকে রেখেছেন আলোরূপে এবং সূর্যকে রেখেছেন প্রদীপরূপে।”

ইসলামী পণ্ডিতদের ব্যাখ্যা

• ইমাম ইবন কাসির (১৩০১-১৩৭৩ খ্রিস্টাব্দ) – (তাফসির ইবন কাসির, ১০:৫)
তিনি বলেন, “আল্লাহ সূর্যকে ‘ضياء’ (দীপ্তি) এবং চাঁদকে ‘نور’ (নূর) বলেছেন, কারণ চাঁদের আলো আসলে সূর্যের আলো থেকেই প্রতিফলিত হয়।”.

আরও পড়ুনঃ যারা ষড়যন্ত্র করছে তাদের ঐক্যবদ্ধ ভাবে প্রতিহত করতে হবে – সালাউদ্দিন বাবু

• ইমাম ফখরুদ্দিন আর-রাজি (১১৫০-১২১০ খ্রিস্টাব্দ) – (তাফসির আল-কবির, ১০:৫)
তিনি ব্যাখ্যা করেন, “কুরআন প্রকাশ করেছে যে, চাঁদের নিজস্ব আলো নেই, বরং এটি সূর্যের আলো প্রতিফলিত করে, যা আধুনিক বিজ্ঞানও নিশ্চিত করেছে।”

• ইমাম কুরতুবি (১২১৪-১২৭৩ খ্রিস্টাব্দ) – (আল-জামি লি-আহকামিল কুরআন, ১০:৫)
তিনি বলেন, “চাঁদ নিজে আলো সৃষ্টি করে না, বরং এটি সূর্যের আলো প্রতিফলিত করে। আর সূর্যকে ‘সিরাজ’ বলা হয়েছে, কারণ এটি নিজেই আলো উৎপন্ন করে।”

• আল-যামাখশারি (১০৭৫-১১৪৪ খ্রিস্টাব্দ) – (আল-কাশশাফ, ৭১:১৬)
তিনি বলেন, “কুরআনের ভাষাগত সৌন্দর্য অত্যন্ত নিখুঁত। চাঁদের আলোকে ‘নূর’ বলা হয়েছে, কারণ এটি মূলত প্রতিফলিত আলো। আধুনিক বিজ্ঞানও এটি প্রমাণ করেছে।”


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category