অথই নূরুল আমিনঃ
১. পিআর পদ্ধতি নির্বাচন হলো, সারাদেশের সকল ভোট একত্র করে গণনার পর দলীয় মার্কা এবং ভোট অনুপাতে আসন পাবে একেকটি রাজনৈতিক দল। বিশেষ করে যারা অংশ নিবে।
২. এখানে কথা থাকে ধরুন কোন আসনে একজন তুমুল জন প্রিয় নেতা সোয়া লাখ ভোট পেলেন। একই আসনে নিকটতম প্রার্থী ভোট পেলেন পঞ্চাশ হাজার। পিআর পদ্ধতিতে তিনিও এই আসনের এমপি হয়ে আসতে পারেন। নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্ত মতে।
তখনই এই আসনের সোয়া লক্ষ ভোটার ঐ এমপিকে অবাঞ্চিত ঘোষণা করে মিছিল করতে পারেন। এখানে সেই পঞ্চাশ হাজার ভোটার পরের দিন প্রতিবাদ সভা ডাকতে পারেন। তখনই বাধবে হট্টগোল সমগ্র আসন জুড়ে।
৩. পিআর পদ্ধতিতে এককভাবে কোন দল ক্ষমতায় আসা একেবারেই অনিশ্চিত। বতর্মান বাংলাদেশে। তাই ইচ্ছে না থাকা সত্বেও জোট গঠন করে ক্ষমতায় আসতে হবে। এখানে ক্ষমতাসীন দলের রাষ্ট্র চালাতে থাকবে একটা প্রতিবন্ধকতা।
৪. পিআর পদ্ধতিতে একক কোনো রাজনৈতিক দল বিরোধী দল হওয়া ও অনিশ্চিত। ছোট ছোট দলগুলো মিলে অনেকজন এমপি ছত্রভঙ্গ ভাবে বিরোধী হবে। যার ফলে সংসদ অধিবেশনে হট্টগোল লেগেই থাকবে।
আরও পড়ুনঃ বগুড়ার শেরপুরের ভবানীপুরে আওয়ামী লীগের ভূমিদস্যদের বিরুদ্ধে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত
৫. পিআর পদ্ধতিতে স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার কোনো সুযোগ নেই। যার ফলে স্বতন্ত্র প্রার্থীরা নির্বাচন থেকে বঞ্চিত হবেন।
৬. দেখা যায় বাংলাদেশের প্রতিটা আসনে বিভিন্ন দলের কমপক্ষে দশ থেকে বিশ জন লোক এমপি নির্বাচন করবে। এরকম মনোভাব নিয়ে সমাজের বহু ক্ষেত্রে তারা আপন মনে বিভিন্ন সেবামূলক কাজ চালিয়ে যান, যেমন মসজিদ মাদ্রাসা স্কুল কলেজে দান অনুদান। অসহায় গরিবদের মাঝে দান অনুদান।
এছাড়াও বৃক্ষরোপণ, টিউবওয়েল প্রদান অসহায় পরিবারের কন্যা বিয়ে অনুষ্ঠানেও দান অনুদান করে থাকেন। এরকম অসংখ্য সমাজ সেবা থেকে নেতারা বা শিল্পপতিরা দিনদিন সরে আসবেন। তার কারণ হলো পিআর নির্বাচন।
পিআর নির্বাচনে তার নিজ এলাকায় সকল ভোট পাওয়ার পরও তিনি এমপি নাও হতে পারেন। কারণ হলো যেহেতু একটি দলের সমগ্র ভোট গণনার পর প্রার্থী বাছাই করবেন নির্বাচন কমিশন। যাকে যেখানে দিবেন। তিনিই সেখানের এমপি। আশাকরি নির্বাচন কমিশন বিষয়টি ভেবে দেখবেন।
অথই নূরুল আমিন
কবি কলামিস্ট ও রাষ্ট্র বিজ্ঞানী