এম এ রউফ, কাতারঃ
হিংসা নিন্দা রাজনৈতিক বন্ধ করতে চাই। আসেন সবাই ঐক্যবদ্ধ ভাবে দেশের ও সকল নাগরিকের ভবিষ্যৎ উজ্জল লক্ষ্য করি।
রাজনীতি মানুষের কল্যাণে, দেশের রাজনীতিবিদরা যদি মানুষের কল্যাণের জন্য কাজ করে থাকেন, তাহলে তাদের মধ্যে কোন হিংসা নিন্দা থাকার কথা না, আমরা দেখতে পাই ,যখন যে দল ক্ষমতায় থাকে সে দল চলে গেলে ,পরবর্তী দল পূর্বের দলের হিংসা নিন্দা এতই ব্যস্ত থাকে ।
আরও পড়ুনঃ অনেক “রোগ” আসলে রোগ নয়, বরং স্বাভাবিক বার্ধক্য
এতে দেশেরপ্রকৃত সমস্যাগুলির প্রতি মনোযোগ ও দৃষ্টি আড়ালে চলিয়া যায়। রাজনীতি হইল দেশের মানুষের চলমান সমস্যার খোঁজ করা এবং ইহার ভুল নির্ণয় করা। দেশের মানুষের ইচ্ছা-আকাঙ্ক্ষা অনুযায়ী তাদের জন্য কাজ করা। দোষারোপ করিয়া সময় নষ্ট করা না করা।
ক্ষমতাসীনরা অতীতের শাসকদের ভুলত্রুটি লইয়া অধিক ব্যস্ত থাকিলে নিজেদের স্বীয় দায়িত্ব পালনে পিছাইয়া পড়িবার আশঙ্কা থাকে। দেশ টি ঝুঁকিপূর্ণ থাকে। ইহাতে জনমনে একপ্রকার হতাশা সৃষ্টি হয়।
সরকার পরিচালনায় ভুলত্রুটি হইতেই পারে; কিন্তু সেই ভুল শুধরাইবার সদিচ্ছা থাকিলেই হবে প্রকৃত নেতৃত্বের পরিচায়ক। নেতৃত্বের প্রকৃত মানদণ্ড হইল দায়িত্ব গ্রহণ এবং ভবিষ্যতের প্রতি দৃষ্টি রাখা। উন্নয়নের ক্ষেত্রে জনগণের ভূমিকাও গুরুত্বপূর্ণ।
আরও পড়ুনঃ সংরক্ষিত নারী আসন: নারী ক্ষমতায়ন না কি রাজনৈতিক অলঙ্কার?
নদী বা খাল দখল এবং দূষণের ক্ষেত্রে আমরা কেবল সরকারের উপর দোষ চাপাই; কিন্তু সাধারণ মানুষের ভূমিকাও উল্লেখযোগ্য। স্থানীয় জনগণের দায়িত্বহীনতা এবং উদাসীনতা পরিবেশের এই অবনতির জন্য দায়ী। জনগণকেও তাহাদের ভূমিকার প্রতি সচেতন হইতে হইবে।
বাংলাদেশের উন্নয়নের ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে হবে। দায়িত্ব পাওয়ার পরই যদি আমরা লূট পাট শুরু কি। একে অপরকে দোষারোপ করি দেশ উন্নয়ন করা সম্ভব না আমরা মনে করি। দোষ কোন জায়গায় সেখানে দোষের কথা বলতে হবে।
দেশব্যাপী অবকাঠামো উন্নয়ন, অর্থনীতির প্রসার এবং শিক্ষার উন্নয়ন দৃশ্যমান। ইহা যদি ধারাবাহিকভাবে বজায় থাকে, তাহা হইলে বাংলাদেশ একটি উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত হইতে বিলম্ব হইবে না। সকল নাগরিকের মৌলিক অধিকার ও বাক স্বাধীনতা দিতে হবে। একে অপরে সংগে ভালোবাসা তৈরি করতে হবে।
আমরা দেশপ্রেমিক
রেমিট্যান্স যোদ্ধা পরিবার
এম এ রউফ
কাতার