কুমিল্লা প্রতিনিধিঃ
সম্প্রতি কয়েকটি অনলাইন ও প্রিন্ট মিডিয়ায় “বেপোরোয়া মনোহরগঞ্জে এক বিএনপি নেতা!” শিরোনামে যে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে, তা আমার দৃষ্টিগোচর হয়েছে। উক্ত সংবাদের সম্পূর্ণ মিথ্যা, ভিত্তিহীন, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং আমার ব্যক্তিগত ও রাজনৈতিক মান-সম্মান ক্ষুন্ন করার অসৎ উদ্দেশ্যে পরিবেশিত হয়েছে।
সংবাদে আমাকে বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িয়ে যে তথ্য উপস্থাপন করা হয়েছে, তার কোনো সুনির্দিষ্ট প্রমাণ নেই এবং এসব অভিযোগ সম্পূর্ণ কাল্পনিক ও উদ্দেশ্য প্রণোদিত। সংবাদে উল্লেখ করা হয়েছে যে, আমার বিরুদ্ধে একাধিক জিডি রয়েছে, ত্রাণ আত্মসাতের মামলা হয়েছে এবং ১০ বছরের সাজা দেওয়া হয়েছে—এসব তথ্য বাস্তবতার সঙ্গে মিল নেই এবং আইনি প্রক্রিয়ায় এসব অভিযোগ আমি নাকচ বা মোকাবেলা করেছি/করছি।
আমি একজন রাজনৈতিক কর্মী হিসেবে দীর্ঘদিন ধরে গণতান্ত্রিকভাবে আমার দায়িত্ব পালন করে আসছি। আমার বিরুদ্ধে এ ধরনের মিথ্যা ও ভিত্তিহীন সংবাদ প্রচার শুধুমাত্র আমাকে রাজনৈতিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করার অপচেষ্টা। এই সংবাদ প্রকাশের মাধ্যমে আমার সামাজিক, পারিবারিক ও রাজনৈতিক সম্মান মারাত্মকভাবে ক্ষুণ্ন হয়েছে, যা আমি দৃঢ়ভাবে প্রত্যাখ্যান করছি।
আমার এলাকার কিছু ভূমিদস্যু ও কুচক্রী মহল—যারা ছনুয়া গ্রামের মরহুম সামছুল হকের মেয়ে লতিফা বেগম ও ফাতেমা বেগমের প্রায় চল্লিশ বছরের দখলীয় সম্পত্তি জোরপূর্বক ও হুমকি-ধামকির মাধ্যমে দখলে নেওয়ার অপচেষ্টা চালাচ্ছে—তাদের অন্যায় কার্যকলাপের প্রতিবাদ করায় তারা এখন আমার বিরুদ্ধে পরিকল্পিতভাবে অপপ্রচার চালাচ্ছে। মূলত তাদের স্বার্থে আঘাত লাগায় তারা নানা কুৎসিত প্রচারণা ও ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে।
আমি সংশ্লিষ্ট পত্রিকা/মিডিয়া কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করছি, আমার এই প্রতিবাদলিপি যথাযথভাবে এবং সমান গুরুত্ব দিয়ে প্রকাশ করবেন।
নিবেদক:
শাহ আলম মেম্বার
সদস্য, মনোহরগঞ্জ উপজেলা বিএনপি,
সদ্য বিলুপ্ত সভাপতি, ঝলম উওর ইউনিয়ন বিএনপি।
গ্রাম: ছনুয়া, ইউনিয়ন: ঝলম উত্তর
উপজেলা: মনোহরগঞ্জ, জেলা: কুমিল্লা।