ব্যুরো চীফ সাতক্ষীরাঃ
গত ২৯/০৫/২০২৪ তারিখ বুধবার বেলা আনুমানিক ১০.০০ ঘটিকার সময় পৌরসভা ৭ নং ওয়ার্ডের ইটাগাছা মানিকতলায় ধারালো অস্ত্র দ্বারা ছোট ভাইকে হত্যা চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে আপন বড় ভাই, ভাবি,ভাইপো,ও ভাইপোর স্ত্রীর বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় গুরুতর আহত হয়ে আশংঙ্খাজনক অবস্থায় সাতক্ষীরা মেডিকেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছে একই এলাকার আবু বক্বর সিদ্দিকীর ছোট ছেলে শাহজাহান আলী। এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর ছেলে মোঃ সাগর হোসেন বাদী হয়ে সাতক্ষীরা সদর থানায় এজাহার দায়ের করেছেন।
মামলায় যাদের আসামী করা হয়েছে, ইটাগাছা মানিকতলার ১) মোঃ নাজিম হোসেন(৩৪), পিতা-মুনছুর আলী সরদার, ২) লুৎফান নেছা(৫০), স্বামী-মুনছুর আলী সরদার, ৩) আগুরা খাতুন (২০), স্বামী-মোঃ নাজিম হোসেন, ৪)মুনছুর আলী সরদার(৫৮), পিতা-আবু বক্কার সরদার,
এজহার সুত্রে জানা যাই, ২৯/০৫/২০২৪ তারিখ বুধবার বেলা আনুমানিক ১০.০০ ঘটিকার সময় ভ‚ক্ত ভোগী শাহজাহান আলীর চলাচলের পথে আসামীদের কাপড় টানানোর দড়ি থাকায় চলাচলের বিঘনো ঘটার কারনে শাহজাহান আলী দড়িটি সরানোর কথা বলিলে আসামীগন শাহজাহান আলীর উপর ক্ষিপ্ত হইয়া এবং পূর্ব শত্রুতার জের ধরিয়া হাতে ধারাল দা, বটি লোহার শ্যাবল ইত্যাদি সঙ্গে নিয়ে শাহজাহান আলীর বাড়ীর ভিতরে অনাধিকার প্রবেশ করে তার ছেলে বাড়িতে না থাকার সুবাধে আসামীগন শাহাজান আলী (বাবু) (৫০),কে একা পাইয়া অকথ্য ভাষায় গালি গালাজ করতে থাকে। কথাকাটাকাটির এক পর্যায়ে আসামীরা শাহজাহান আলীর উপর ঝাপিয়ে পড়ে, এবং এলোপাতাড়ি কিলঘুষি . লোহার রড দিয়ে মারপিট করিয়া, শাহজাহান আলীর শরীরের বিভিন্ন স্থানে গুরত্বর নীলাফোলা ও রক্তাক্ত জখম করে। ২,৩ ও ৪নং আসামীর হুকুমে ১নং আসামী শাহজাহান আলীকে হত্যা করার উদ্দেশ্যে তাহার হাতে থাকা ধারালো দা দিয়ে শাহজাহান আলীর ঘাড়ে পিঠে ও বুকে কোপ মারিয়া গুরুত্বর কাটা রক্তাক্ত জখম করে। ২ ও ৩নং আসামী হত্যা করার উদ্দেশ্যে হাতে থাকা ধারালো বটি ও হেসু দিয়ে শাহজাহান আলীর শরীরের বিভিন্ন স্থানে কোপ মারিয়া গুরুত্বর – রক্তাক্ত জখম করে। ৩নং আসামী হত্যা করার উদ্দেশ্যে হাতে থাকা ধারাল হেসু দিয়ে শাহজাহান আলীর গলাই কোপ মারিতে গেলে শাহজাহান আলী ডান হাত দিয়ে ঠেকাইলে ডান হাতের আঙ্গুলে লাগিয়া গুরুত্বর কাটা রক্তাক্ত জখম করে। ৪নং আসামী হত্যা করার উদ্দেশ্যে তাহার হাতে থাকা লোহার রড দিয়ে শাহজাহান আলীর মাথায় সহ তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে বেধড়োক মারপিট করিয়া গুরুত্বর নীলাফোলা ও রক্তাক্ত জখম করে। আসামীগনের জখম করার কারনে শাহজাহান আলীর শরীরের সর্ব মোট আনুমানিক ৩০ টি সেলাই যুক্ত। শাহজাহান আলীর ডাক চিৎকার করিলে আসামীগন শাহজাহান আলীকে ভয়ভীতি ও তার পরিবারবর্গদের প্রান নাশ করার হুমকি প্রদান ও বালিশের তলায় রক্ষিত ৬০,০০০/-(ষাট হাজার) টাকা নিয়ে ঘটনা স্থল ত্যাগ করে।