মোহাম্মদ আকাশ বান্দরবান জেলা প্রতিনিধি
বান্দরবানে সড়ক ও জনপদ বিভাগের সরকারি জায়গা থেকে ৩৫ লাখ টাকার ৯টি গাছ কেটে ফেলার অভিযোগ উঠেছে ।
৩০ বছর পুরোনো গাছগুলো কাটার ফলে বান্দরবান- কেরানিহাট সড়কের ওই অংশে ভাঙন সৃষ্টির সম্ভবনা রয়েছে বলে দাবি স্থানীয়দের।
৭নভেম্বর শুক্রবার সকালে বান্দরবান সদরের মেঘলা মৃত্তিকা অফিস সংলগ্ন এলাকায় জেলা শহরের বাজার এলাকার বাসিন্দা আশরাফ উল্লাহ বাচ্চু এই গাছগুলো কাটে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। সড়ক বিভাগের সীমানা পিলার ভেতরে হওয়ায় গাছগুলো ও জায়গা সড়ক বিভাগের।
স্থানীয়রা জানায়, বান্দরবান-কেরানিহাট মুল সড়কের পাশের মেঘলার মৃত্তিকা অফিস সংলগ্ন এলাকায় সড়ক ও জনপদ বিভাগের সরকারি জায়গায় অন্তত ৩০ বছরের পুরানো বেশ কিছু মেহগনি, গামারি ও কড়ই মূল্যবান গাছ ছিল। যা সড়কটি রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছিল। সে গাছ গুলো থেকে ৭ টি কেটে ফেলা হয়েছে। অপর দুইটি অর্ধেকের বেশি কাটা হয়েছে। এছাড়া গাছ কাটার আগে বন বিভাগের অনুমতিও নেয়নি তিনি। যা সরকারি গাছ লুটের সামিলের পাশাপাশি সড়কটিকেও হুমকিতে ফেলছে। এই ঘটনায় স্থানীয়দের বাঁধার মুখে পালিয়ে যায় অভিযুক্ত আশরাফুল্লাহ বাচ্চু ও গাছ কাটায় নিয়োজিত নিয়োজিত শ্রমিকরা।
স্থানীয়দের অভিযোগের প্রেক্ষিতে পু্লিশ প্রশাসন ও বন বিভাগের লোকজন ঘটনাস্থলে আসে এবং তারা স্থানীয়দের সাথে কথা বলে আইনি পদক্ষেপ গ্রহনের আশ্বাস প্রদান করেন।
এবিষয়ে অভিযুক্ত আশরাফ উল্লাহ বাচ্চু বলেন, যে গাছগুলো কাটা হয়েছে সেগুলো তার নিজের নামীয় জায়গা থেকে কাটা হয়েছে। তবে গাছ কাটার আগে বনবিভাগের পূর্বানুমতি নেয়া হয়নি।
বান্দরবান সদর থানার পুলিশ উপ-পরিদর্শক (এসআই) আলাউদ্দিন বলেন, সরকারি জায়গা থেকে গাছ কাটার খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। বনবিভাগ, সড়ক বিভাগের প্রতিনিধিদের সাথে আলোচনা স্বাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
সড়ক ও জনপথ বিভাগের সহকারী প্রকৌশলী অং শৈ প্রু মারমা বলেন, যে গাছ গুলো কাটা হয়েছে সেগুলো বান্দরবান সড়ক ও জনপদ বিভাগের সীমানার অভ্যন্তরীণ জায়গার গাছ।
বান্দরবান সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. সাখাওয়াত হোসেন বলেন, তদন্ত সাপেক্ষে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।