নিজস্ব প্রতিবেদক,
দেশের বর্তমান নির্বাচনী পরিস্থিতি ও কথিত “ভাগাভাগির ভোট পদ্ধতি”র তীব্র সমালোচনা করেছেন সাংবাদিক ও বাংলাদেশ সর্বজনীন দলের চেয়ারম্যান মোঃ আবুল হাসেম। তিনি অভিযোগ করে বলেন, ড. ইউনুস সরকার বিগত সরকারের “নির্বাচনী রোডেই” হাঁটছেন এবং গণতন্ত্রের নামে প্রহসনমূলক নির্বাচন আয়োজনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
এক বিবৃতিতে আবুল হাসেম বলেন, “কাউকে নির্বাচন থেকে বাহিরে রাখার কোন অধিকার আপনার নেই। জনগণের ক্ষমতা তাদের হাতে ফিরিয়ে দিন — নয়তো সুযোগ আর পাবেন না। দেশের মানুষ রক্ত দিতে জানে, জীবন দিতে জানে, কিন্তু তাদের ভোটের অধিকার কেউ কেড়ে নিতে পারবে না।”
তিনি বলেন, “বর্তমান নির্বাচন কমিশন আগের সরকারের পথে চলছে। এমন অন্যায় পদ্ধতি চলতে থাকলে জনগণকে রাজপথে নামতে বাধ্য করবেন আপনারাই। হনুমানের পাঞ্জায় আগুন লাগানোর মতো বিপজ্জনক কাজ থেকে বিরত থাকুন।”
আবুল হাসেম আরও দাবি করেন, নির্বাচনে অংশগ্রহণে বাধা দেওয়া হচ্ছে অনেক রাজনৈতিক দলকে, বিশেষত অনিবন্ধিত দলগুলোকে। তিনি বলেন, “আমি জোর দাবি জানাই — সকল অনিবন্ধিত রাজনৈতিক দলকে তাদের নিজ প্রতীকে নির্বাচন করার সুযোগ দিন। জনগণই সিদ্ধান্ত নেবে, কার মার্কা তারা পছন্দ করবে।”
চেয়ারম্যান হাসেম কঠোর ভাষায় বলেন, “আপনার বিতর্কিত উপদেষ্টাদের সম্পদের হিসাব প্রকাশ করুন। যারা অন্যের ঘর দখলের স্বপ্ন দেখে, তারাও যেন জনগণের সামনে তাদের সম্পদের বিবরণ দেয়। হত্যা, ধর্ষণ, চাঁদাবাজি — এসব অপরাধেরও হিসাব দিতে হবে। আমার মামলা এখনো শেষ হয়নি, তাই আপনারাও দায় এড়াতে পারবেন না।”
তিনি আরও বলেন, “আপনারা ভূল ট্রেনে উঠেছেন। মনে রাখবেন, জনগণ আর সুযোগ দেবে না। আমরা মরতে প্রস্তুত, তবে অধিকার আদায় করবই।”
আবুল হাসেমের এই বক্তব্যে রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে। তিনি স্পষ্ট করে দেন, বাংলাদেশ সর্বজনীন দল গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার, সুষ্ঠু নির্বাচন ও জনগণের ভোটাধিকারের আন্দোলনে শেষ পর্যন্ত মাঠে থাকবে।