বান্দরবান জেলা প্রতিনিধিঃ
হরিণ তোয়া এলাকায় স্ত্রী পরকীয়ার ফাঁদে পড়ে স্বামী ও দুই টি কন্যা সন্তান ও ১টি পুত্র সন্তানকে ফেলে পালিয়ে যাওয়ার ঘটনা চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছে। তিনটি শিশুসন্তান রেখে ঘর ছাড়ার ঘটনায় পরিবার ভেঙে পড়ে, আর হতাশাগ্রস্ত স্বামী শেষমেশ ডিভোর্স দিয়ে সম্পর্কের ইতি টানতে বাধ্য হন।
জানা গেছে, মোছাম্মৎ শিউলি আক্তার, পিতা- নুরুল আমিন, মাতা ফিরোজা বেগম, সাং- পূর্ব আমিলাইষ, ৫নং ওয়ার্ড, থানা-সাতকানিয়া, জেলা চট্টগ্রাম। ২০২১ সাল থেকে শিউলি আক্তার নামে এই গৃহবধূর পরকীয়ার সম্পর্ক শুরু হয়।
স্বামী মো:বেলাল হোসেন, পিতা-ওমর আলী,মাতা-নুর আয়েশা বেগম,সাং-আনছুর আলীর বাড়ী,ডাকঘর- খাগরিয়া,থানা সাতকানিয়া, জেলা-চট্টগ্রাম।
হতভাগ্য স্বামী মো:বেলাল হোসেন, বারবার বিষয়টি মীমাংসার চেষ্টা করলেও স্ত্রী সাড়া দেননি। বরং ৩০জুলাই ২০২৫,বুধবার স্ত্রী আবারও ঘর থেকে পালিয়ে যান, রেখে যান নিজের তিনটি শিশু সন্তান।
আরও পড়ুনঃ গাবতলীতে প্রবাসীর স্ত্রীকে ধর্ষণ টিএমএসএস’র মাঠ কর্মী গ্রেফতার
প্রতিবেদক ঘটনার বিষয়ে সরজমিনে তদন্ত করতে ঘটনাস্থল সাতকানিয়া ছদহা বাইতুল ইজ্জত হরিণ তোয়া এলাকায় গিয়ে ঘটনার সত্যতা প্রমাণিত হয়। এই ঘটনায় হরিণ তোয়া এলাকার সমাজের নেতৃবৃন্দ যথাক্রমে মো: ইদ্রিস, মো: মিজবাহ, ও এলাকার অসংখ্য নারী পুরুষ শিউলি আক্তার পরকীয়ায় আসক্ত হয়ে পালিয়ে যাওয়ার বিষয়টির ব্যাপরারে সত্য বক্তব্য প্রদান করেন।
মানসিকভাবে ভেঙে পড়া মো.বেলাল স্ত্রীকে ফিরিয়ে আনার অনেক চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন। শেষমেশ তিনি ৮আগস্ট ২০২৫ ইং তারিখে ডিভোর্স লেটার পাঠিয়ে বৈবাহিক সম্পর্কের আনুষ্ঠানিক সমাপ্তি টানেন।
এদিকে তিনটি ছোট শিশুকে নিয়ে বেলাল এখন অসহায় জীবনযাপন করছেন। তিনি জানান, আমি সন্তানদের কথা ভেবে বহুবার ক্ষমা করেছি, কিন্তু আমার স্ত্রী শিউলি নিজের ইচ্ছা মতো জীবন বেছে নিয়েছে। বাধ্য হয়েই ডিভোর্স দিতে হয়েছে।
এ ঘটনায় স্থানীয়দের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। অনেকে নারীটির এমন দায়িত্বহীন আচরণের নিন্দা জানিয়ে সন্তানের ভবিষ্যৎ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।