শনিবার, ২২ নভেম্বর ২০২৫, ০৫:৩৫ পূর্বাহ্ন
Headline :
বাংলাদেশ জোট মুখপাত্র হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন বাংলাদেশ সর্বজনীন জোটের চেয়ারম্যান মোঃ আবুল হাসেম ন্যাশনাল ইউনিটি কাউন্সিল(এনইউসি) এর মহাসচিব বিদ্যুৎ চন্দ্র বর্মনের বাণী: মানবতার মূর্ত প্রতীক: *অধ্যাপক ড. আলহাজ্ব মোঃ শরীফ আব্দুল্লাহ হিস সাকী শিক্ষাবিদ ও মানবতাবাদী এক অনন্য সমন্বয়* -ড. এ আর জাফরী বাংলাদেশ সর্বজনীন জোটে মূল চিন্তাশক্তি হিসেবে আবির্ভূত প্রধান উপদেষ্টা ফরহাদ মাজহার বগুড়া গাবতলী স্টেশনের রেলওয়ে কর্মচারীকে মারপিট করে আহত করে ২২ বছর পর ভারতের বিপক্ষে ঐতিহাসিক জয় – দক্ষিণ এশিয়ার ফুটবলে নতুন সম্ভাবনার দিগন্তে বাংলাদেশ ময়মনসিংহে পলাতক আসামী গেপ্ততার করেছে র‍্যাব ১৪ যুক্তরাষ্ট্র ঐক্য পরিষদের বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত চাঁপাইনবাবগঞ্জ ৫৩ বিজিবির অভিযানে ইয়াবাসহ আটক ১ বগুড়ার গাবতলী উপজেলার বিএনপিরভারপ্রাপ্তচেয়ারম্যান তারেক রহমানের ৬১তম জন্মদিন উপলক্ষে বিশেষ দোয়া মাহফিল

হাসিনা অবৈধ, কিন্তু মুজিবের সংবিধান এখনো বৈধ—বাংলাদেশের জন্য অভিশাপ নাকি ষড়যন্ত্রের ফাঁদ?

সাংবাদিক মোহাম্মদ আলম। / ৮ Time View
Update : শনিবার, ২ আগস্ট, ২০২৫

সাংবাদিক মোহাম্মদ আলমঃ

বাংলাদেশের জনগণ আজও অবাক হয়ে প্রশ্ন করে—একজন প্রধানমন্ত্রী যিনি অবৈধভাবে ক্ষমতায় বসে আছেন, যার শাসন জনগণের ভোটে প্রতিষ্ঠিত নয়, তার সংবিধান কি ভাবে বৈধ থেকে যায়? এর মূল কারণ একটাই—মুজিবের বীজ এখনো বাংলাদেশে অটলভাবে রয়ে গেছে। সেই বীজই আজকের দিনের এই তামাশার মূল চালিকাশক্তি।

স্বাধীনতার নামে যে সংবিধান একসময় তৈরি হয়েছিল, সেটিই আজ ক্ষমতাসীনদের জন্য রক্ষাকবচে পরিণত হয়েছে। হাসিনা যতবারই জনগণের বিরুদ্ধে গণহত্যা চালাক, গণতন্ত্রের কণ্ঠরোধ করুক, বিচারহীন হত্যা আর নিপীড়নের রাজত্ব চালাক—তবুও সেই মুজিবের সংবিধান অক্ষত থেকে যায়। কেন?

আরও পড়ুনঃ প্রেস বিজ্ঞপ্তি

কারণ যারা মুজিবের পদাঙ্ক অনুসরণ করছে, তারা জানে এই সংবিধানই তাদের অবৈধ ক্ষমতার লাইসেন্স।আজ বাংলাদেশে প্রকৃত গণতন্ত্রের শেকড় কেটে ফেলা হয়েছে। জনগণের ভোটাধিকার কেড়ে নিয়ে একদলীয় শাসন চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে। অথচ দেশের আইন-আদালত এখনো সেই একই সংবিধানের শপথ নেয়, যে সংবিধান কখনোই জনগণের স্বাধীন ইচ্ছাকে প্রাধান্য দেয়নি।

প্রশ্ন একটাই কতদিন আমরা এই প্রহসন মেনে নেব? কতদিন মুজিবের বীজকে লালন করে আমাদের ভবিষ্যৎকে ধ্বংস হতে দেখব? প্রকৃত স্বাধীনতা তখনই আসবে, যখন জনগণের তৈরি সংবিধান দেশে কার্যকর হবে, মুজিবের রেখে যাওয়া অবৈধ ক্ষমতার ভিত্তি ভেঙে ফেলা হবে।

বাংলাদেশের মুক্তির জন্য শুধু একজন অবৈধ শাসককে সরানো যথেষ্ট নয়, মুজিবের রেখে যাওয়া সেই সংবিধানকেও ইতিহাসের আস্তাকুঁড়ে ফেলে দিতে হবে। না হলে প্রজন্মের পর প্রজন্ম একই শেকলে বন্দি থেকে যাবে।

 


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category