এম বাদল খন্দকার( বিশেষ প্রতিনিধি)ঃ
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলায় চারজন ইউপি চেয়ারম্যান আত্মগোপনে রয়েছেন, কিন্তু তারা আত্মগোপনে থাকলেও পরিষদ চালাচ্ছেন অদৃশ্য ইশারায়। এতে ইউনিয়ন পরিষদগুলোতে নাগরিক সেবা ব্যহত হচ্ছে।
আত্মগোপনে থাকা চেয়ারম্যানরা হলেন – পানিশ্বর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান (মিস্টার), অরুয়াইল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া, শাহজাদাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আছমা বেগম ও শাহবাজপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান খায়রুল হুদা চৌধুরী বাদল। এসব চেয়ারম্যানরা হাসিনা সরকারের আমলে দাপটের সাথে বিশেষ সুবিধা নিয়েছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
এছাড়াও ৫ আগস্টের পর তাদের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে। অভিযোগ আছে, এসব চেয়ারম্যান দায়িত্বশীল দফতর ও কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করে পলাতক থেকেও পরিষদের কর্মকান্ড চালিয়ে বিশেষ সুবিধা ভোগ করছেন, কিন্তু সাধারণ নাগরিকেরা সেবা পেতে ঘাটে ঘাটে দূর্ভোগ পোহাচ্ছে।
আরও পড়ুনঃ গাইবান্ধায় মাদকদ্রব্যের অপব্যবহার ও অবৈধ পাচারবিরোধী আন্তর্জাতিক দিবস পালিত
এদিকে ইউনিয়ন পরিষদগুলোতে প্যানেল চেয়ারম্যান থাকলেও বর্তমানে উন্নয়ন কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে আত্মগোপনে থাকা চেয়ারম্যানদের ইশারায় – এমনটাই জানিয়েছেন চার ইউনিয়ন পরিষদের ইউপি সদস্য অনেকে। ফলে প্যানেল চেয়ারম্যানের উপস্থিতি থাকলেও সেবা নিতে গিয়ে ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন ইউনিয়নবাসী।
এছাড়া, ইউনিয়ন পরিষদের আয়-ব্যয়ের হিসাব পরিচালিত হতো চেয়ারম্যানদের নামের ব্যাংক হিসাবে। তারা অনুপস্থিত থাকায় ইউনিয়নের আয়ের টাকা ব্যাংকে জমা দেওয়া গেলেও উত্তোলন করতে বেগ পেতে হচ্ছে। ফলে উন্নয়ন কার্যক্রম অনেকটা স্থবির হয়ে পড়েছে বলে জানিয়েছেন ইউপি সচিবরা।
পরিষদের সেবা কার্যক্রম বিষয়ে সেই চার ইউনিয়ন পরিষদে দায়িত্বে থাকা চারজন সচিবের সাথে কথা হয় আমার, তারা জানিয়েছেন চেয়ারম্যানরা নাশকতা মামলায় গ্রেপ্তার এড়াতে আত্ম গোপনে আছেন, তাই পরিষদে আসেন না। পরিষদের কাজকর্মে স্বাক্ষর লাগলে দু’একজন মেম্বার গিয়ে কাগজপত্রে চেয়ারম্যানদের স্বাক্ষর নিয়ে আসেন। চেক বইয়ে স্বাক্ষর করাতে বিভিন্ন জায়গায় ছুটাছুটি করতে হয় চেয়ারম্যানের খোঁজ পেতে।
ইউপি সচিবরা আরও বলেন, চেয়ারম্যানদের অনুপস্থিতিতে আমাদের নানা সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে। দ্রুত সমাধান না হলে ইউনিয়ন পরিষদের কার্যক্রম সম্পূর্ণরূপে অচল হয়ে পড়বে।
ইউনিয়নের সার্বিক পরিস্থিতি সম্পর্কে অবগত হয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন সরাইল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও)।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ইউএনও মো: মোশারফ হোসাইন বলেন, শাহবাজপুর ইউপি চেয়ারম্যান ও শাহজাদাপুর ইউপি চেয়ারম্যান অফিস করেন না বিষয়টি আমি অবগত। আমরা দ্রুত পদক্ষেপ নিচ্ছি।