শনিবার, ২২ নভেম্বর ২০২৫, ০৯:২৩ পূর্বাহ্ন
Headline :
বাংলাদেশ জোট মুখপাত্র হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন বাংলাদেশ সর্বজনীন জোটের চেয়ারম্যান মোঃ আবুল হাসেম ন্যাশনাল ইউনিটি কাউন্সিল(এনইউসি) এর মহাসচিব বিদ্যুৎ চন্দ্র বর্মনের বাণী: মানবতার মূর্ত প্রতীক: *অধ্যাপক ড. আলহাজ্ব মোঃ শরীফ আব্দুল্লাহ হিস সাকী শিক্ষাবিদ ও মানবতাবাদী এক অনন্য সমন্বয়* -ড. এ আর জাফরী বাংলাদেশ সর্বজনীন জোটে মূল চিন্তাশক্তি হিসেবে আবির্ভূত প্রধান উপদেষ্টা ফরহাদ মাজহার বগুড়া গাবতলী স্টেশনের রেলওয়ে কর্মচারীকে মারপিট করে আহত করে ২২ বছর পর ভারতের বিপক্ষে ঐতিহাসিক জয় – দক্ষিণ এশিয়ার ফুটবলে নতুন সম্ভাবনার দিগন্তে বাংলাদেশ ময়মনসিংহে পলাতক আসামী গেপ্ততার করেছে র‍্যাব ১৪ যুক্তরাষ্ট্র ঐক্য পরিষদের বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত চাঁপাইনবাবগঞ্জ ৫৩ বিজিবির অভিযানে ইয়াবাসহ আটক ১ বগুড়ার গাবতলী উপজেলার বিএনপিরভারপ্রাপ্তচেয়ারম্যান তারেক রহমানের ৬১তম জন্মদিন উপলক্ষে বিশেষ দোয়া মাহফিল

শৈবাল বিচে কিশোর গ্যাং ইনসাফ বাহিনীর ত্রাস!

Reporter Name / ১৩ Time View
Update : শনিবার, ৫ জুলাই, ২০২৫

কক্সবাজার প্রতিনিধিঃ

পর্যটননগরী কক্সবাজারের শৈবাল বিচ পয়েন্ট এখন আতঙ্কের নাম হয়ে উঠেছে এক কিশোর গ্যাং নেতার কারণে। হোটেল শৈবাল সংলগ্ন এলাকায় “ইনসাফ” নামের এক কিশোর গ্যাং লিডার এবং তার বাহিনী দীর্ঘদিন ধরে বেপরোয়া কার্যকলাপ চালিয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

কিশোর গ্যাং ইনসাফ: কে এই ইনসাফ?

স্থানীয়দের ভাষ্য অনুযায়ী, ইনসাফ একজন উঠতি বয়সী যুবক, যিনি নিজেকে “লিডার” পরিচয়ে পরিচিত করেন। প্রথম দিকে কিছু ছেলেকে সঙ্গে নিয়ে বিচ এলাকায় আড্ডা দিতেন তিনি। ধীরে ধীরে সেই আড্ডা রূপ নেয় সংঘবদ্ধ গ্যাংয়ে। বর্তমানে তার বাহিনীতে রয়েছে ১০-১৫ জন কিশোর, যাদের বয়স ১৪ থেকে ১৮ এর মধ্যে।

ইভটিজিং, ছিনতাই, আর অসামাজিক কার্যকলাপ

স্থানীয় বাসিন্দা ও পর্যটকদের অভিযোগ, ইনসাফ বাহিনী শৈবাল বিচ পয়েন্টে প্রতিনিয়ত নারীদের উত্যক্ত করা, মোবাইল ও ব্যাগ ছিনিয়ে নেওয়া, হোটেল গেটে চাঁদাবাজি এবং পর্যটকদের ভয়ভীতি দেখিয়ে অর্থ আদায়ের মতো কাজ করছে। অনেক পর্যটক এসব হয়রানির কারণে ওই অঞ্চল এড়িয়ে চলছেন।

আরও পড়ুনঃ বাংলাদেশ মাতৃভূমি দল এর পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন হাজী হালিম রাজ

অসহায় প্রশাসন, নির্বিকার হোটেল কর্তৃপক্ষ স্থানীয় প্রশাসনের কাছে একাধিকবার অভিযোগ করেও মেলেনি কার্যকর কোনো পদক্ষেপ। অভিযোগ আছে, ইনসাফের পরিবার প্রভাবশালী হওয়ায় পুলিশের অনেকেই মুখ খুলতে চান না। হোটেল শৈবাল ও আশপাশের হোটেলগুলোর কর্মচারীরা পর্যন্ত মুখ খোলেন না ভয়ে।

শিশু-কিশোরদের বিপথে ঠেলে দিচ্ছে এই গ্যাং একের পর এক কিশোরকে গ্যাংয়ে যুক্ত করছে ইনসাফ বাহিনী। স্কুল-কলেজের ছাত্রদের মাদক ও অর্থের লোভ দেখিয়ে নিজের দলে টেনে নিচ্ছে সে। ফলে কক্সবাজারের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম মারাত্মক ঝুঁকিতে।

স্থানীয়দের দাবী: এখনই ব্যবস্থা নিন স্থানীয় এক প্রবীণ ব্যক্তি বলেন, “শুধু বিচ নয়, আমাদের পুরো এলাকাটাই যেন ইনসাফের দখলে। এখনই যদি প্রশাসন ব্যবস্থা না নেয়, তাহলে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হয়ে উঠবে।”

পর্যটননগরী কক্সবাজারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করছে এ ধরনের কিশোর গ্যাংয়ের উত্থান। দ্রুত প্রশাসনিক ও সামাজিক হস্তক্ষেপ ছাড়া এই সংকট থেকে উত্তরণ অসম্ভব। ইনসাফ বাহিনীর বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ এবং স্থানীয় যুবকদের সুষ্ঠু পথে ফিরিয়ে আনা এখন সময়ের দাবি।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category