মোঃ জাকিরুল্লাহ পাতাঃ
এসেছিলেন দেশ সেরা এথলেটিক্সের স্প্লিনটার। হয়ে গেলেন দেশ সেরা ফুটবলার। বলা যাই রেকর্ডের বরপুত্র আসলাম। বিজে এমসি র হয়ে শুরু, আবাহনী হয়েই শেষ। স্টপার ফুলব্যাক হয়ে শুরু।
প্রয়াত ফুটবল গুরু জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কার প্রাপ্ত প্রশিক্ষক আব্দুর রহিম তাহার মাঝে স্ট্রাইকারের গুনাবলি খুজে পান। সেই যে শুরু গল করার নেশা, আর পিছন ফিরে তাকাতে হইনি। গলের পরে গোল করে গেছেন অনন্য রেকর্ড। ফুটবলের সোনালী সময়ের নেতৃত্ব দিয়েছেন সাবেক চ্যাম্পিয়ন দল বিজে এমসি ।
ঐ সময়ের জনপ্রিয় দল ভিক্টোরিয়াকে । আবাহনিকে দুইবার নেতৃত্ব দিয়েছেন ১৯৮৭-৮৮ সালে।মাঝে মোহামেডানে খেলাছিলেন দুই বছর। ঢাকা ফুটবল লীগে এককভাবে সর্বচ্চ পাঁচবার গোলদাতা। যে রেকর্ড আর কাহার নেই। জাতীয় দলের সরবচ্চ এককভাবে ২৩ গোল এই রেকর্ড আর কাহার নেই।
আরও পড়ুনঃ দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক ড. মাহমুদুর রহমানের মায়ের মৃত্যুতে দোয়া মাহাফিল
পারশপ্রতিম দেশ ভারতের বিক্ষ্যাতক্লাব ইস্টবেঙ্গল হয়েও খেলেছেন। ব্রাজিল, জার্মানি, ইটালি, আর্জেন্টিনা, ফ্রান্সের ফুটবলারদের স্বপ্ন থাকে বিশ্বকাপ ট্রফি হাতে নেওয়ার। বাংলাদেশের ফুটবলারদের স্বপ্ন থাকে জাতীয় ক্রীড়া পুরষ্কার, ক্রীড়া লেখক সমিতির ভোটে নির্বাচিত সেরা ফুটবলারের।
বিশ্ব ফুটবলের মৃত পেলে, বেকেন বাওয়ার, ম্যারাডোনা , মিশেল প্লাতিনি যুগে যুগে আসেনা , একবারই আসে। বাংলাদেশেও কাজী সালাহ উদ্দিন, এনায়েত, মেজর অবঃ হাফিজ উদ্দিন, শেখ মোঃ আসলাম তাহারাও বাংলাদেশে একবারই আসে। একবার বিশ্বকাপ বাছাই পর্বের ম্যাচে কায়সার হামিদ করনার কিক নেন খর্বাকৃতির সাব্বির কে লক্ষ্য করে।
সুঠাম দীর্ঘদেহী লাফিয়ে উঠে গোল করেন। কঠোর পরিস্রম নিবিড় অনুশীলনে ফ্রি কিকে গোল , পেনাল্টি শট, দর্শনীয় হেডে গোল, শূনে উঠে ব্যাকভালিতে গোল করার অনুশীলন চালিয়ে যেতেন। একবার ফেডারেশন কাপ ফুটবলের পর স্বদেশী প্রশিক্ষক আশরাফ ভাই সাংবাদিকদের বলেছিলেন- মোহামেডানের রঞ্জন প্রথমবার, দ্বিতীয়বার ঘেঁষে চোদ্দটি সর্ট নিয়েছিলেন, একটাও গোল হইনি।
আবাহনীর আসলাম চারটে সুযোগ পেয়েছিলেন হেডে এবং ভলিতে চারটি গোলই করেন। গোলপোস্টে গোল সবাই করতে পারে না। আসলাম ভাইয়ের নিজস্ব প্রতিভা ছিল । এখনকার ফুটবলার গন জানেনা, শেখার চেষ্টাও করে না। কিভাবে শূনে উঠে ব্যাকভলিতে গোল, দর্শনীয় হেডে গোল করতে হয়।
সিঙ্গাপুরের সাথেও খেলায় দশটি কর্নার কিক পেয়েও একটি ও কাজে লাগাতে পারেনি আমাদের ফুটবলারগণ। খেলোয়াড়ি জীবনে আসলাম ভাই ছিলেন অত্যন্ত সুশৃঙ্খল, মিষ্টভাষী, নির অহংকারী। আসলাম ভাইয়ের সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনায়
মোঃ জাকিরুল্লাহ পাতা
ক্রীড়া সাংবাদিক
দৈনিক বাংলার সংবাদ,
সাধারন সম্পাদক
ক্রীড়া জগত পাঠক ফোরাম
ঢাকা জেলা।