যশোর প্রতিনিধিঃ
যশোরের শার্শা উপজেলার বাগআঁচড়া ইউনিয়নের সামটা গ্রামের ভালনারেবল উইমেন বেনিফিট(ভিডব্লিউবি) এর আওতায় উপকারভোগী সাজেদা খাতুন ও সাবিকুন নাহার নামে দু মা মেয়ের কার্ডের চাউল উঠিয়ে গত ২ বছর ধরে আত্মসাত করে আসছে বলে অভিযোগ উঠেছে ওই ওয়ার্ডের আওয়ামিলীগের সভাপতি লিয়াকত আলীর বিরুদ্ধে।
অভিযুক্ত লিয়াকত আলী সামটা গ্রামের সোয়ারাব আলী মুন্সির ছেলে। তিনি ৯ নং ওয়ার্ড সামটা আওয়ামীলীগের সভাপতি।
জানাগেছে,গত ২ বছর আগে অভিযুক্ত লিয়াকত আলী সামটা গ্রামের আসহায় গোলাম হোসেন গোপালের স্ত্রী সাজেদা খাতুন ও তার মেয়ে সাবিকুন নাহারের নামে দুটো ভিডব্লিউবি এর চালের কার্ড করে দেয়। যখন ই ওই কার্ডে তারা চাউল উঠিয়ে বাড়িতে নিয়ে আসে লিয়াকত তাদের কাছ থেকে অর্ধেক চাল নিজের জন্য নিয়ে নেয়।এভাবে গত দু বছর সে চাল এ অসহায় পরিবের চাল আত্মসাত করে আসছে।
রোববার ওই মা মেয়ের কাছ থেকে পূনরায় ৬ বস্তা চাল ছিনিয়ে নিলে তার প্রতিবাদ করলে স্থানীরা পুলিশকে খবর দেয়। পরে পুলিশ এসে অভিযুক্ত লিয়াকতের ঘরে তল্লাশি চালিয়ে ১২ বস্তা চাল উদ্ধার করে তাদের ফেরত দেয়। এ সময় জনতা ওই আওয়ামীগ নেতাকে আটক করে দৃষ্টান্তমূলক শান্তির জন্য আন্দোলন শুরু করলে পুলিশ জনতাকে শান্ত করে।
আরও পড়ুনঃ নদী ভাঙ্গন আতংকে দিশেহারা চাতলপাড়বাসী
আওয়ামী লীগ নেতা লিয়াকতের স্ত্রী জানান, গোলাম হোসেন গোপালের স্ত্রী সাজেদা খাতুন ও তার মেয়ে সাবিকুন নাহার লিয়াকতের চাতালে কাজ করে আসছে কয়েক বছর ধরে তাদের কাছে লিয়াকত ৯০ হাজার টাকা পাবে বলে অভিযোগ করেছে লিয়াকতের স্ত্রী। সাত মাইল রাশেদের চাতাল থেকে অগ্রিম টাকা দিয়ে তাদেরকে চাতালে নিয়ে এসেছি। এখন টাকা না দেয়ার তালবাহানা করছে । আর এই নাটক সাজিয়েছে।
শার্শা থানায় ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কেএম রবিউল ইসলাম জানান,বিষয়টা বাগআঁচড়া ইউনিয়ন পরিষদের প্রশাসক দ্বায়িত্ব। তার পর ও খবর পেয়ে পুলিশ পাঠিয়ে চাল উদ্ধার করে ওই অসহায় পরিবারকে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে।এখন যদি এ ব্যাপারে ইউনিয়ন পরিষদের প্রশাসক বা ওই পরিবার থেকে থানাশ কোন অভিযোগ করে তাহলে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে বলে তিনি জানান।