শনিবার, ২২ নভেম্বর ২০২৫, ০৭:৩০ পূর্বাহ্ন
Headline :
বাংলাদেশ জোট মুখপাত্র হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন বাংলাদেশ সর্বজনীন জোটের চেয়ারম্যান মোঃ আবুল হাসেম ন্যাশনাল ইউনিটি কাউন্সিল(এনইউসি) এর মহাসচিব বিদ্যুৎ চন্দ্র বর্মনের বাণী: মানবতার মূর্ত প্রতীক: *অধ্যাপক ড. আলহাজ্ব মোঃ শরীফ আব্দুল্লাহ হিস সাকী শিক্ষাবিদ ও মানবতাবাদী এক অনন্য সমন্বয়* -ড. এ আর জাফরী বাংলাদেশ সর্বজনীন জোটে মূল চিন্তাশক্তি হিসেবে আবির্ভূত প্রধান উপদেষ্টা ফরহাদ মাজহার বগুড়া গাবতলী স্টেশনের রেলওয়ে কর্মচারীকে মারপিট করে আহত করে ২২ বছর পর ভারতের বিপক্ষে ঐতিহাসিক জয় – দক্ষিণ এশিয়ার ফুটবলে নতুন সম্ভাবনার দিগন্তে বাংলাদেশ ময়মনসিংহে পলাতক আসামী গেপ্ততার করেছে র‍্যাব ১৪ যুক্তরাষ্ট্র ঐক্য পরিষদের বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত চাঁপাইনবাবগঞ্জ ৫৩ বিজিবির অভিযানে ইয়াবাসহ আটক ১ বগুড়ার গাবতলী উপজেলার বিএনপিরভারপ্রাপ্তচেয়ারম্যান তারেক রহমানের ৬১তম জন্মদিন উপলক্ষে বিশেষ দোয়া মাহফিল

মুহাম্মাদ (ﷺ): মানুষ, নবী এবং রাসূল হিসেবে এক সত্তা

Reporter Name / ৮ Time View
Update : বৃহস্পতিবার, ১০ জুলাই, ২০২৫

ডাঃ এম, জি, মোস্তফা মুসাঃ

মুহাম্মাদ (ﷺ): মানুষ, নবী এবং রাসূল হিসেবে এক সত্তা

ভূমিকা: ইসলাম কেবল কিছু আচার ও ইবাদাতের নাম নয়, বরং এটি একটি পূর্ণাঙ্গ জীবনব্যবস্থা, যার ভিত্তি স্থাপিত হয়েছে কুরআন এবং নবী মুহাম্মাদ (ﷺ)-এর সুন্নাহর ওপর। নবী মুহাম্মাদ (ﷺ)-এর জীবন ও চরিত্র মুসলিমদের জন্য সর্বোত্তম আদর্শ, যা কুরআনের শিক্ষা ও নৈতিকতার জীবন্ত প্রতিফলন।

মুহাম্মাদ (ﷺ) একাধারে মানুষ, নবী এবং রাসূল। তাঁর প্রতিটি কথা, কাজ এবং নীরব সমর্থন ইসলামের গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশনার অংশ। এই প্রবন্ধে মুহাম্মাদ (ﷺ)-এর তিনটি সত্তা—মানুষ, নবী এবং রাসূল—এর সম্পর্ক ও গুরুত্ব বিশ্লেষণ করা হয়েছে, যাতে বোঝা যায় কেন কুরআনের পাশাপাশি তাঁর সুন্নাহকেও সমানভাবে গ্রহণ করা অপরিহার্য। আল্লাহ আমাদের সকলকে সঠিক বোঝাপড়া ও রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর সুন্নাহ মেনে চলার তাওফিক দান করুন। আমিন।

১.মানুষ হিসেবে মুহাম্মাদ (ﷺ): মুহাম্মাদ (ﷺ) একজন মানুষ ছিলেন, যিনি সমাজের সকল স্তরের মানুষের সাথে মিশতেন। কুরআনে বলা হয়েছে: ‘বলুন, আমি তো তোমাদেরই মতো একজন মানুষ, তবে আমার প্রতি ওহী নাযিল হয়’ (সুরা কাহাফ, ১৮:১১০)। আল্লাহ বলেন: বলুন, ‘আমি তো তোমাদের মতোই একজন মানুষ, আমার প্রতি ওহী নাযিল হয় যে, তোমাদের ইলাহ একমাত্র ইলাহ।

আরও পড়ুনঃ সরাইলে ময়না হত্যা মামলায় ইমাম ও মোয়াজ্জিম কে রিমান্ডে

সুতরাং তোমরা তাঁরই দিকে স্থিরভাবে চল এবং তাঁর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা কর’ সুরা আল-ফুস্সিলাত, ৪১:৬)। কুরাইশরা বলত, কেন একজন ফেরেশতা পাঠানো হয়নি। জবাবে আল্লাহ বলেন: বলুন, ‘আমার রব্ব পবিত্র, আমি তো একজন মানুষ রাসূল’ (সুরা আল-ইসরা, ১৭:৯৩)। আল্লাহর বাণী: ‘মানুষ কি বিস্মিত হয়েছে যে, তাদের মধ্য থেকে একজন মানুষের প্রতি আমরা ওহী প্রেরণ করেছি’ (সুরা ইউনুস, ১০:২)।

এই আয়াতগুলো প্রমাণ করে, নবী মুহাম্মাদ (ﷺ) ছিলেন একজন মানুষ, তবে আল্লাহ তাঁকে নবুয়ত ও রিসালাতের দায়িত্ব দিয়ে বিশেষ মর্যাদা দিয়েছেন। তাঁর মানুষের সত্তা ও নবুওত — উভয়ই ইসলামের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।

মানুষ হিসেবে তাঁর ব্যক্তিগত জীবন ছিল, তিনি পরিবার ও বন্ধুদের সাথে সময় কাটিয়েছেন, ব্যবসা করেছেন, সমাজে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করেছেন এবং সাধারণ মানুষের মতো বিভিন্ন পরিস্থিতির সম্মুখীন হয়েছেন। তবে তাঁর জীবন আল্লাহর নির্দেশনার আলোয় পরিচালিত ছিল।

২.নবী হিসেবে মুহাম্মাদ (ﷺ): নবী হলেন সেই ব্যক্তি, যিনি আল্লাহর কাছ থেকে ওহী লাভ করেন। মুহাম্মাদ (ﷺ) নবী হিসেবে আল্লাহর পক্ষ থেকে ওহী গ্রহণ করেছেন এবং প্রথমেই তা নিজ জীবনে বাস্তবায়ন করেছেন। এরপর উম্মতকে সেই নির্দেশ পালনের আহ্বান জানিয়েছেন।

তাঁর নবুওত কেবল জ্ঞানের বাহক নয়, বরং তিনি ছিলেন কুরআনের জীবন্ত উদাহরণ, যিনি ন্যায়বিচার, নৈতিকতা এবং আল্লাহর বিধান বাস্তবায়নে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছেন। আল্লাহ বলেন ‘হে নবী, আমরা তোমাকে প্রেরণ করেছি সাক্ষী, সুসংবাদদাতা, সতর্ককারী এবং আল্লাহর দিকে আহ্বানকারী হিসেবে, তাঁর অনুমতিক্রমে এবং আলোকময় প্রদীপরূপে’ (সুরা আহযাব, ৩৩:৪৫-৪৬)। এখানে মুহাম্মাদ (ﷺ)-কে নবী হিসেবে বলা হয়েছে।

৩.রাসূল হিসেবে মুহাম্মাদ (ﷺ): রাসূল শব্দের অর্থ ‘বার্তাবাহক’। নবী যেমন ওহী গ্রহণ করেন, রাসূল সেই ওহী মানুষের কাছে পৌঁছে দেন। মুহাম্মাদ (ﷺ) ছিলেন নবী এবং রাসূল উভয়ই। তাঁর মাধ্যমে আল্লাহর শেষ বার্তা—কুরআন—সমগ্র মানবজাতির কাছে পৌঁছেছে। আল্লাহ বলেন: ‘যে ব্যক্তি রাসূলের আনুগত্য করলো, সে আসলে আল্লাহরই আনুগত্য করলো’ (সুরা নিসা, ৪:৮০)।

এই আয়াত প্রমাণ করে যে, আল্লাহ ও রাসূলের আনুগত্য একে অপরের সাথে অবিচ্ছেদ্যভাবে যুক্ত। কারণ রাসূল আল্লাহর বার্তাই মানুষের কাছে পৌঁছে দেন। আল্লাহ বলেন: ‘তোমাদের কাছে এসেছেন তোমাদের মধ্য থেকে একজন রাসূল। তোমাদের কষ্ট তাঁর কাছে কঠিন মনে হয়, তিনি তোমাদের মঙ্গলের জন্য অত্যন্ত ব্যাকুল, আর মুমিনদের প্রতি অত্যন্ত দয়ালু ও সদয়’ (সুরা তওবা, ৯:১২৮)।

আল্লাহ বলেন: ‘মুহাম্মাদ আল্লাহর রাসূল, আর যাঁরা তাঁর সঙ্গে আছেন, তারা কাফিরদের বিরুদ্ধে কঠোর এবং নিজেদের মধ্যে পরস্পর দয়ালু’ (সুরা আল-ফাতহ, ৪৮:২৯)। এই আয়াতগুলোতে আল্লাহ মুহাম্মাদ (ﷺ)-কে ‘রাসূল’ বলে পরিচিতি দিচ্ছেন।

আরও পড়ুনঃ পাঁচবিবিতে ভিজিএফের চাল বিতরণ

৪.কুরআনে নবী ও রাসূল হিসাবে মুহাম্মাদ (ﷺ): আল্লাহর বাণী: ‘মুহাম্মাদ তোমাদের পুরুষদের মধ্যে কোন একজনের পিতা নন, বরং তিনি আল্লাহর রাসূল এবং নবীদের সীলমোহর (শেষ নবী)’ (সুরা আল-আহযাব, ৩৩:৪০)। এ আয়াতে মুহাম্মাদ (ﷺ)-কে স্পষ্টভাবে রাসূল এবং নবী (নবীদের সীলমোহর) বলা হয়েছে।

অর্থাৎ তিনি একাধারে নবী ও রাসূল। আল্লাহর বাণী: ‘যারা অনুসরণ করে সেই রাসূল, উম্মী নবীর, যার লিখিত উল্লেখ রয়েছে নিজেদের তাওরাত ও ইনজিলে’ (সুরা আরাফ, ৭:১৫৭)। এখানে মুহাম্মাদ (ﷺ)-কে একসঙ্গে ‘রাসূল’ এবং ‘নবী’ বলা হয়েছে। তিনিই সেই উম্মী নবী যিনি পূর্ববর্তী গ্রন্থগুলোতেও বর্ণিত ছিলেন।

সারসংক্ষেপ: রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর দুটি পরিচয়: (ক). নবী: আল্লাহ তাঁর পক্ষ থেকে নবীর প্রতি ওহী গ্রহণ করেন। (খ). রাসূল: মুহাম্মাদ (ﷺ) রাসূল হিসাবে সেই ওহী মানুষের কাছে পৌঁছে দেন। এগুলো একে অপরের পরিপূরক। মুহাম্মাদ (ﷺ) নবী হিসেবেই আল্লাহর পক্ষ থেকে ওহী লাভ করেছেন এবং তিনি রাসূল হিসেবে সেই বার্তা সমগ্র মানবজাতির কাছে পৌঁছে দিয়েছেন।

৪.মুহাম্মাদ (ﷺ)-এর চরিত্র: কুরআনের প্রতিফলন: সা‘দ ইবন হিশাম (রহি.) নবী মুহাম্মদ (ﷺ)-এর চরিত্র সম্পর্কে আয়িশা (রা.)-কে জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেন: ‘তাঁর চরিত্রই ছিল কুরআন। তুমি কি কুরআন পড় না’? (সহীহ মুসলিম:৭৪৬)। এছাড়া আল্লাহ বলেন: ‘আর নিশ্চয়ই তুমি মহান চরিত্রের অধিকারী।”

(সুরা কলম, ৬৮:৪)। এই হাদীস ও আয়াত প্রমাণ করে, নবী মুহাম্মদ (ﷺ)-এর চরিত্রই কুরআনের বাস্তব রূপ। তাঁর আচরণ, কথাবার্তা, ন্যায়বিচার এবং নৈতিকতা সবই কুরআনের শিক্ষায় গড়ে ওঠা। তাঁর জীবন কুরআনের ‘জীবন্ত ব্যাখ্যা’। শিক্ষা ও উপদেশ: (ক). কুরআনের প্রতিফলন: মুহাম্মদ (ﷺ)-এর জীবন ও আচরণ কুরআনের নির্দেশনার বাস্তব উদাহরণ।

(খ). আদর্শ চরিত্র: কুরআনের নির্দেশনা অনুসরণে তাঁর জীবন আমাদের জন্য আদর্শ। (গ). নৈতিকতা ও আখলাক: কুরআনের নৈতিক শিক্ষা মুহাম্মদ (ﷺ) জীবনে বাস্তবায়ন করেছেন এবং উম্মতকে শিক্ষা দিয়েছেন।

৫.মানুষ, নবী এবং রাসূলের সত্তা বিভ্রান্তি: কিছু মানুষ মুহাম্মাদ (ﷺ)-এর মানুষ, নবী এবং রাসূল এই তিন সত্তাকে আলাদা করতে চায়। তারা মানুষ হিসেবে তাঁর কথাবার্তা ও কাজকে হাদীস ও সুন্নাহ হিসেবে মানতে চায় না। এই মতবাদ সাধারণত ‘হাদিসবিরোধী’ বা ‘কুরআনিস্ট’ মতাদর্শ থেকে উৎসারিত। তারা শুধুমাত্র কুরআন গ্রহণ করে, অথচ ইসলামের মূলধারা সুন্নাহকেও অপরিহার্য মনে করে।

বিশ্লেষণ: (ক). মানুষ হিসেবে মুহাম্মাদ (ﷺ): তিনি খেতেন, পান করতেন, পরিবার পালন করতেন, অসুস্থ হতেন এবং সমাজে দায়িত্ব পালন করতেন। তবে তাঁর প্রতিটি কাজ আল্লাহর নির্দেশনা অনুযায়ী ছিল। (খ). নবী ও রাসূল হিসেবে মুহাম্মাদ (ﷺ): তাঁর নবুয়ত ও রিসালাত একে অপরের সাথে সম্পৃক্ত।

আরও পড়ুনঃ মানবতার ফেরিওয়ালা অপু ফাউন্ডেশন এর আর্থিক সহযোগীতা প্রদান

তিনি ওহী গ্রহণ করতেন এবং তা মানুষের মধ্যে প্রচার করতেন। (গ). কুরআন ও সুন্নাহর সম্পর্ক: ইসলামের পূর্ণাঙ্গতা বোঝার জন্য কুরআনের পাশাপাশি সুন্নাহও অপরিহার্য। আল্লাহ বলেন: ‘আর রাসূল তোমাদের যা দিয়েছেন, তা গ্রহণ করো এবং যা থেকে বারণ করেছেন, তা থেকে বিরত থাকো’ (সুরা হাশর, ৫৯:৭)।

৬.সুন্নাতে-রাসূলের গুরুত্ব: ইসলামের অনেক বিধান যেমন সালাতের পদ্ধতি, যাকাতের হিসাব, সিয়াম ও হজ্জের রীতিনীতি কুরআনে সংক্ষিপ্তভাবে এসেছে, কিন্তু বিস্তারিত পাওয়া যায় রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর সুন্নাহ থেকে।

যারা কেবল কুরআন গ্রহণ করে এবং সুন্নাহ অস্বীকার করে, তারা ইসলামের পূর্ণতা থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। সুন্নাহ ছাড়া কুরআনের অনেক বিধানই অনুধাবন ও বাস্তবায়ন করা সম্ভব নয়। সুন্নাহই কুরআনের প্রাণ, যা কুরআনের শিক্ষা বাস্তব জীবনে প্রয়োগের পথ দেখায়।

আল্লাহর অনুমতিক্রমে ফিরিশতা-রাসূল হিসেবে জিবরীল (আ.) ‘কুরআন শিক্ষা কার্যক্রমের’ শিক্ষক হিসেবে মুহাম্মাদ (ﷺ)-কে কুরআনের পাঠ, বর্ণনা ও ব্যাখ্যা, আচরণ এবং ব্যবহারিক প্রয়োগবিধি শিক্ষা দেন (৫৩:৪)।

আরও পড়ুনঃ কিশোরগঞ্জ ডিস্ট্রিক্ট এসোসিয়েশন ইউএসএ”রসসাতাশতম বার্ষিক চড়ুইভাতি অনুষ্ঠিত

মুহাম্মাদ (ﷺ) মানুষ-রাসূল হিসেবে নবী (নবুওয়াত) এবং রাসূলের (রিসালাতের) পদমর্যাদায় জিবরাঈল (আ.)-এর তত্তাবধানে মুহাম্মাদ (ﷺ) কুরআন, কুরআনের পাঠ, বয়ান-বর্ণনা ও ব্যাখ্যা, আচরণবিধি, ব্যবহারিক প্রয়োগবিধি এবং শিক্ষা-উপদেশ ওহী হিসেবে গ্রহণ করেন এবং সেই সকল ওহী-প্রাপ্ত শিক্ষা-উপদেশ তিনি সাহাবী (রা.)-দের শিক্ষা প্রদান করেন এবং ইসলামী শারি’য়াতের পূর্ণতা দান করেন।

মুহাম্মাদ (ﷺ) নবী এবং রাসূলের পদমর্যাদায় কুরআন শিক্ষা কার্যক্রমের অধীনে হুকুম-আহকাম, আদেশ, নিষেধ, বিধি-বিধান, শিক্ষা, উপদেশ, নিয়ম-নীতি, নৈতিকতা, মূল্যবোধসহ তাঁর সকল কথা-বক্তব্য (কাওলী সুন্নাহ), সকল কাজ-কর্ম (ফি’ইলী সুন্নাহ), সকল অনুমোদন এবং সমর্থন (তাকরীরী সুন্নাহ) – ‘সুন্নাতে-রাসূল’ হিসেবে উৎপত্তি লাভ করে।

আল্লাহর অশেষ অনুমতিক্রমে এই দুই সম্মানিত রাসূল, জিবরীল (আ.) এবং মুহাম্মাদ (ﷺ), কুরআন শিক্ষা কার্যক্রমের পূর্ণতা দান করেন এবং তাঁদের যৌথ এবং মিলিত সমষ্টি তথা কুরআনের পাঠ, বর্ণনা ও ব্যাখ্যা, আচরণ এবং ব্যবহারিক প্রয়োগ বিধির সম্মিলিত রূপ হল ‘সুন্নাতে-রাসূল’ এবং তা ওহী হিসাবে কুরআনের অবিচ্ছেদ্য অংশ রূপে প্রতিষ্ঠিত।

এই সুন্নাতে-রাসূল আল্লাহ কর্তৃক আনুমোদিত এবং জিবরাঈল (আ.) কর্তৃক প্রত্যায়তি। কুরআনকে বুঝতে হলে ‘সুন্নাতে-রাসূল’কে অবশ্যই বুঝতে হবে; কারণ, ‘সুন্নাতে-রাসূল’ ছাড়া সমাজে কুরআন বাস্তবায়ন করা সম্ভব নয়।

আরও পড়ুনঃ কবি এডভোকেট সুফিয়ান আহমদ চৌধুরী’র ৬৫তম জন্মবার্ষিকী ১৭ জুলাই বৃহস্পতিবার

উপসংহার: মানুষ, নবী এবং রাসূল হিসেবে মুহাম্মাদ (ﷺ)-এর তিন সত্তা পরস্পরের সাথে অঙ্গাঙ্গিভাবে যুক্ত এবং অবিচ্ছেদ্য। মুহাম্মাদ (ﷺ)-এর জীবন মুসলিমদের জন্য সর্বোত্তম আদর্শ।

ইসলামের পূর্ণাঙ্গতা বুঝতে হলে কুরআন এবং সুন্নাহ দুটোই মেনে চলা অপরিহার্য। কেবল কুরআন গ্রহণ করে সুন্নাহ অস্বীকার করা ইসলামের মৌলিক শিক্ষার বিপরীত। আল্লাহ আমাদের সকলকে সঠিক বুঝ এবং রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর সুন্নাহ অনুসরণের তৌফিক দিন। আমিন।

আল্লাহুম্মা সাল্লি আলা মুহাম্মাদ, ওয়া সাল্লিম, ওয়া বারিক আলাইহি। আলহামদু লিল্লাহি রাব্বিল আ’লামীন। (মূসা: ১০.০৭.২৫)


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category