মোঃ এরশাদ আলী, রাঙ্গামাটি প্রতিনিধি :
রাঙ্গামাটির বনরূপায় জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনপিপি)র পথসভায় আহবায়ক নাহিদ ইসলাম বলেন, “৭২-এর সংবিধানে দেশের সকল জনগোষ্ঠীকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। পাহাড়ে জাতীয়তাবাদের নামে পাহাড়ি-বাঙালির মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করা হয়েছে।
এ বিভাজনের ফলে একটি মহল সুবিধা নিচ্ছে। তাই মুজিববাদী সংবিধান বাতিল করে, সকল জাতিগোষ্ঠীকে সমমর্যাদা দিয়ে নতুন একটি গণতান্ত্রিক সংবিধান তৈরির আহবান জানান।
২০ জুলাই (রবিবার) দুপুরে রাঙ্গামাটি শহরের এনসিপির কেন্দ্রীয় নেতারা এসে পৌঁছলে, জেলা শিল্পকলা একাডেমি চত্বর থেকে সড়ক প্রদক্ষিণ করে বনরূপা সিএনজি স্টেশন চত্বরে পদযাত্রা শেষে পথসভায় মিলিত হয়।
পথসভাকে ঘিরে রাঙ্গামাটি জেলা শহরজুড়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী মোতায়েন করা হয়। এতে শিক্ষার্থী ও পথচারীদের সাথে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বাক-বিতন্ডাও সৃষ্টি হয়।
আরও পড়ুনঃ শ্রীবরদীতে দুদকের আয়োজনে দুর্নীতিবিরোধী বিতর্ক প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত
এনসিপির রাঙ্গামাটি জেলার প্রধান সমন্বয়ক বিপিন জ্যোতি চাকমা সভাপতিত্বে পথসভায় বক্তব্য রাখেন, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্তা শারমিন, ডা. তাসনীম জারা, উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম, দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ,নাছির উদ্দীন পাটোয়ারী, এস এম সুজা উদ্দিন ও রুবাইয়া শ্রেষ্ঠা তংচংগ্যা প্রমুখ্য।
হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, “মুজিববাদী সংবিধানে জাতিসত্তার স্বীকৃতি না দিয়ে সবাইকে জোর করে বাঙালি বানানো হয়েছিল — যা ছিল অত্যন্ত দুঃখজনক।
সারজিস আলম বলেন, ” দুর্নীতিবাজদের বিচার করতে হবে। পার্বত্যাঞ্চলে সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ, দালালদের কোনো স্থান নেই। যে সংবিধানের ছত্রছায়ায় রাষ্ট্রীয় বাহিনী দিয়ে নাগরিককে গুম-খুন-হত্যা করা যায়, সেই সংবিধান আমরা বদলাবো”।