শনিবার, ২২ নভেম্বর ২০২৫, ০৬:৩৭ পূর্বাহ্ন
Headline :
বাংলাদেশ জোট মুখপাত্র হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন বাংলাদেশ সর্বজনীন জোটের চেয়ারম্যান মোঃ আবুল হাসেম ন্যাশনাল ইউনিটি কাউন্সিল(এনইউসি) এর মহাসচিব বিদ্যুৎ চন্দ্র বর্মনের বাণী: মানবতার মূর্ত প্রতীক: *অধ্যাপক ড. আলহাজ্ব মোঃ শরীফ আব্দুল্লাহ হিস সাকী শিক্ষাবিদ ও মানবতাবাদী এক অনন্য সমন্বয়* -ড. এ আর জাফরী বাংলাদেশ সর্বজনীন জোটে মূল চিন্তাশক্তি হিসেবে আবির্ভূত প্রধান উপদেষ্টা ফরহাদ মাজহার বগুড়া গাবতলী স্টেশনের রেলওয়ে কর্মচারীকে মারপিট করে আহত করে ২২ বছর পর ভারতের বিপক্ষে ঐতিহাসিক জয় – দক্ষিণ এশিয়ার ফুটবলে নতুন সম্ভাবনার দিগন্তে বাংলাদেশ ময়মনসিংহে পলাতক আসামী গেপ্ততার করেছে র‍্যাব ১৪ যুক্তরাষ্ট্র ঐক্য পরিষদের বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত চাঁপাইনবাবগঞ্জ ৫৩ বিজিবির অভিযানে ইয়াবাসহ আটক ১ বগুড়ার গাবতলী উপজেলার বিএনপিরভারপ্রাপ্তচেয়ারম্যান তারেক রহমানের ৬১তম জন্মদিন উপলক্ষে বিশেষ দোয়া মাহফিল

বিদআত: ইসলামে নতুনত্বের অপকারিতা ও সতর্কতা

ডাঃ এম, জি, মোস্তফা মুসাঃ / ৭ Time View
Update : বৃহস্পতিবার, ১৪ আগস্ট, ২০২৫

বিদআত: ইসলামে নতুনত্বের অপকারিতা ও সতর্কতা

ভূমিকা: ইসলাম এমন একটি পূর্ণাঙ্গ জীবনব্যবস্থা যা আল্লাহ ও তাঁর রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর নির্দেশনা অনুসারে পরিচালিত। কুরআন ও সুন্নাহ এই জীবনব্যবস্থার মূল ভিত্তি। ইসলামে কোনো নতুন বিশ্বাস, ইবাদত, বা ধর্মীয় কাজকে মূল শিক্ষা ও অনুশীলনের বাইরে তৈরি করা হলে সেটিকে বিদআত বলা হয়। বিদআত অর্থ— “বিনা দালিলে আমল তৈরি করা”, অর্থাৎ কুরআন ও সহীহ সুন্নাহ থেকে প্রমাণ ছাড়া নতুন কোনো ধর্মীয় কাজ প্রবর্তন করা।

বিদআতের সংজ্ঞা ও প্রকৃতি:

বিদআত হলো এমন কোনো ধর্মীয় কর্ম বা বিশ্বাস, যা রাসূলুল্লাহ (ﷺ), তাঁর সাহাবীগণ এবং প্রাথমিক যুগের নেককার মুসলিমদের যুগে ছিল না, অথচ পরবর্তীতে তা ইসলামের অংশ হিসেবে চালু করা হয়।

বিদআত সাধারণত দু’ভাবে হয়:

(ক). আকীদায় বিদআত: নতুন বিশ্বাস বা ধারণা যুক্ত করা যা ইসলামী বিশ্বাসের অংশ নয়।

(খ). আমলে বিদআত: নতুন ইবাদত বা আমল প্রবর্তন যা রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ও সাহাবারা পালন করেননি।

আরও পড়ুনঃ মনোহরগঞ্জ উপজেলা বিএনপির দ্বি -বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত সভাপতি ইলিয়াছ পাটোয়ারী, সম্পাদক সরোয়ার জাহান ভূইয়া

রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর সতর্কবাণী
উক্ত চিত্রে উল্লেখিত হাদিসে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন: “তোমাদের মধ্যে যে আমার পরে জীবিত থাকবে, সে অনেক মতভেদ দেখতে পাবে। সুতরাং তোমরা আমার সুন্নাহ এবং আমার পরে সৎপথপ্রাপ্ত খলিফাদের সুন্নাহ আঁকড়ে ধরো; তা শক্তভাবে ধারণ করো। আর দীন নব উদ্ভাবিত কাজ থেকে সাবধান থেকো, কারণ প্রত্যেক নব উদ্ভাবিত কাজই বিদআত, আর প্রত্যেক বিদআতই গোমরাহি।” (সুনান আবু দাউদ, ৪৬০৭)

বিদআতের ক্ষতিকর দিক:

(ক). দ্বীনের বিশুদ্ধতা নষ্ট করে: বিদআত ইসলামের আসল রূপ বিকৃত করে দেয়।

(খ). সুন্নাহ থেকে দূরে সরিয়ে দেয়: নতুন কিছু প্রবর্তন করলে মানুষ ধীরে ধীরে রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর আসল শিক্ষা ভুলে যায়।

(গ). উম্মাহর মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করে: নতুন নতুন প্রথা মুসলিম সমাজে মতভেদ ও বিরোধ ডেকে আনে।

(ঘ). ইবাদতের অপচয়: আল্লাহ যে ইবাদতের নির্দেশ দেননি, তা পালন করলে সওয়াব পাওয়া যায় না, বরং গুনাহ হয়।

বিদআত থেকে বাঁচার উপায়:

(ক). কুরআন ও সহীহ হাদিস ভালোভাবে শিখে নেওয়া। (খ). আমল করার আগে প্রমাণ খুঁজে দেখা। (গ). ধর্মীয় বিষয়ে প্রাচীন যুগের সালাফে সালেহীনের পথ অনুসরণ করা। (ঘ). নতুন কোনো কাজ ইসলামে চালু হলে তা যাচাই করা।

আরও পড়ুনঃ রাজাপুরে দি হাঙ্গার প্রজেক্ট বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টরের সাথে পিএফজি এবং ওয়াইপিএজির মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত

উপসংহার: বিদআত ইসলামের মূল ভিত্তি ও বিশুদ্ধতাকে নষ্ট করে। এজন্য প্রতিটি মুসলমানের দায়িত্ব হলো কুরআন ও সুন্নাহ আঁকড়ে ধরা, নতুন উদ্ভাবিত ধর্মীয় কর্মকাণ্ড থেকে বিরত থাকা, এবং দ্বীনকে তার আসল রূপে সংরক্ষণ করা। রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর সতর্কবাণী অনুসারে আমাদের বুঝতে হবে— “প্রত্যেক বিদআতই গোমরাহি এবং প্রত্যেক গোমরাহির পরিণতি জাহান্নাম।” তাই ইসলামের বিশুদ্ধতা রক্ষার জন্য বিদআত থেকে বেঁচে থাকা অপরিহার্য।

আল্লাহ-হুম্মা সাল্লি, ওয়া সাল্লিম, ওয়া বারিক আ’লা মুহাম্মাদ; আল-হামদু লিল্লাহি রাব্বিল আ’লামীন।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category