মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধিঃ
মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ায় বসুন্ধরা গ্রুপের মালিকানাধীন বসুন্ধরা টিস্যু পেপার মিলে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় প্রতিষ্ঠানটির প্রায় কোটি টাকার আর্থিক ক্ষতি হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাত সাড়ে ১১টার দিকে প্রতিষ্ঠানটির ইউনিট ৩-এ আগুন দেখতে পায় কর্মচারীরা। রাত দুইটার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে ফায়ার সার্ভিস।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী প্রতিষ্ঠানটির কর্মচারী শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘রাত সাড়ে এগারটার পর প্রতিষ্ঠানটির ৩নং ইউনিট সংলগ্ন গ্যারেজে আগুন দেখতে পাই আমরা পরবর্তীতে সেটা ইউনিট-৩ তে ছড়িয়ে পড়ে। প্রতিষ্ঠানটির এই অংশে বিভিন্ন ধরনের ডায়াপার তৈরি করা হয়। প্রথমে কোম্পানির নিজস্ব কর্মীরা অগ্নি নির্বাপনের চেষ্টা করে পরবর্তীতে ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেওয়া হয়। রাত দুইটার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে’।
ঘটনার আরেক প্রত্যক্ষদর্শী আব্দুস সুবহান বলেন, ‘বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে এগারোটা থেকে থেকে রাত দুইটা পর্যন্ত আগুন জ্বলতে দেখি আমরা। এ ঘটনায় আমাদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। ভয়ে অনেকে এদিক-ওদিক ছোটাছুটি শুরু করে’।
আরও পড়ুনঃ বগুড়ার গাবতলীতে বসতবাড়ি ভাঙচুর, নারী আহত – আদালতে মামলা
বিষয়টি সম্পর্কে গজারিয়া ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার মো. ফিরোজ মিয়া বলেন, ‘রাত বারোটার পর আমরা খবর পাই। খবর পাওয়ার পরে ঘটনাস্থলে গিয়ে অগ্নি নির্বাপনের কাজ শুরু করে গজারিয়া ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট। পরবর্তীতে আশেপাশের এলাকা থেকে ফায়ার সার্ভিসের আরো দুটি ইউনিট অগ্নি নির্বাপনে যোগ দেয়। চারটি ইউনিট দেড় ঘণ্টা চেষ্টার পর রাত দেড়টার দিকে আগুন মোটামুটি নিয়ন্ত্রণে চলে আসে। রাত দুইটার দিকে সম্পূর্ণভাবে অগ্নি নির্বাপন কাজ শেষ হয়’।
ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে মুন্সীগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের উপ-সহকারী পরিচালক সফিকুল ইসলাম বলেন, ‘জায়গাটিতে তখন বিদ্যুৎ ছিল না। আর যেখানে আগুন লেগেছে সেখানে ধূমপান করা নিষিদ্ধ। কীভাবে আগুনের সূত্রপাত হল তা আমরা খতিয়ে দেখছি। প্রাথমিকভাবে ধারণা করছি ৫০ লক্ষ টাকার মত ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে’।
বিষয়টি সম্পর্কে গজারিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আনোয়ার আলম আজাদ বলেন, ‘খবর পাওয়ার পর আমরা ঘটনাস্থলে ছুটে যাই। আগুন নিয়ন্ত্রণে আসার পর পরিস্থিতি এখন স্বাভাবিক’।