শনিবার, ২২ নভেম্বর ২০২৫, ০৬:৫৪ পূর্বাহ্ন
Headline :
বাংলাদেশ জোট মুখপাত্র হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন বাংলাদেশ সর্বজনীন জোটের চেয়ারম্যান মোঃ আবুল হাসেম ন্যাশনাল ইউনিটি কাউন্সিল(এনইউসি) এর মহাসচিব বিদ্যুৎ চন্দ্র বর্মনের বাণী: মানবতার মূর্ত প্রতীক: *অধ্যাপক ড. আলহাজ্ব মোঃ শরীফ আব্দুল্লাহ হিস সাকী শিক্ষাবিদ ও মানবতাবাদী এক অনন্য সমন্বয়* -ড. এ আর জাফরী বাংলাদেশ সর্বজনীন জোটে মূল চিন্তাশক্তি হিসেবে আবির্ভূত প্রধান উপদেষ্টা ফরহাদ মাজহার বগুড়া গাবতলী স্টেশনের রেলওয়ে কর্মচারীকে মারপিট করে আহত করে ২২ বছর পর ভারতের বিপক্ষে ঐতিহাসিক জয় – দক্ষিণ এশিয়ার ফুটবলে নতুন সম্ভাবনার দিগন্তে বাংলাদেশ ময়মনসিংহে পলাতক আসামী গেপ্ততার করেছে র‍্যাব ১৪ যুক্তরাষ্ট্র ঐক্য পরিষদের বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত চাঁপাইনবাবগঞ্জ ৫৩ বিজিবির অভিযানে ইয়াবাসহ আটক ১ বগুড়ার গাবতলী উপজেলার বিএনপিরভারপ্রাপ্তচেয়ারম্যান তারেক রহমানের ৬১তম জন্মদিন উপলক্ষে বিশেষ দোয়া মাহফিল

ডুমুরিয়ায় বিধবা নারী ও তপু বিশ্বাস সবজি চাষে স্বাবলম্বী

Reporter Name / ৭ Time View
Update : সোমবার, ২৩ জুন, ২০২৫

শেখ মাহতাব হোসেন, ডুমুরিয়া খুলনাঃ

খুলনার‌ জেলার  ডুমুরিয়া উপজেলার খর্নিয়া ইউনিয়নের বামুন্দিয়া গ্রামের একজন সফল সবজি চাষী বিধবা নারী  তপু বিশ্বাস । বামুন্দিয়া গ্রামের পিচ ঢালা রাস্তার পাশে  স্বামীর রেখে যাওয়া ৪০শতক জমিতে সবজি চাষ করে আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী হয়েছেন। স্বামী মারা যাওয়ার পর তিনি সংসারে বড় ধরনের ভূমিকা রাখছেন।

তপু বিশ্বাস বলেন, এক সময় সংসারের কাজকর্ম শেষ করার পর অলস বসে সময় কাটাতাম। বাড়ীর পাশে‌ স্বামীর রেখে যাওয়া এক খন্ড জমিতে পটল চাষ করে বছরের ২লক্ষ টাকা  আয় করেন।

আরও পড়ুনঃ তেল আবিব এবং মধ্যাঞ্চলীয় নেস জিয়োনায় ইরানের ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা, আহত ৮৬

বিধবা নারী সকালে ঘুম থেক উঠে পটল খেতে যেয়ে পরাগন করতে হয়। পটল লতানো প্রকৃতির উদ্ভিদ, তাই বাঁশের আনুভূমিক মাচা ও রশি দিয়ে তৈরি উলম্ব মাচায় পটল চাষ লাভজনক হয়ে থাকে। পটল একটি চাহিদাসম্পন্ন ও উচ্চ ফলনশীল সবজি। এখানকার মাটি পটল চাষের জন্য খুবই উপযোগী।’

এই সবজি চাষ সম্প্রসারণ করা গেলে, কৃষি অর্থনীতিতে বিরাট পরিবর্তন আসবে বলে মনে করছেন তিনি।

এই না নারী  কৃষক নিজের পরিবারের প্রয়োজন মিটিয়ে বাজারে সবজি বিক্রি করে ভালো লাভ করেন। তখন আমার মনে একটি জেদ কাজ করলো যে পুরুষরা পারলে আমি পারবো না কেন। তখন আমার বাড়ীর পাশে‌ একজনের পরামর্শ নিয়ে শুরু করি সবজি চাষ।

তিনি আরো বলেন, আমি নিজেই সার, বীজ বপন করি, পানি সেচ দেওয়া থেকে শুরু করে ফসলের রক্ষণাবেক্ষণের সব কাজ নিজেই করি। সবচেয়ে বড় বিষয় হলো আমি নিজের খেতে বিষমুক্ত সবজি উত্পাদন করে নিজের পরিবারকে খাওয়াতে পারছি। কারণ বর্তমানে বাজারের প্রতিটি সবজিতেই দেওয়া থাকে মাত্রারিক্ত সার ও কীটনাশক যা মানুষের জন্য খুবই ক্ষতিকর।

আমি নিজেদের প্রয়োজন পূরণ করে স্থানীয় বাজারে এই সবজি বিক্রি করে বছরে প্রায় বছর ২লকক্ষ টাকা আয় করছি। সেই অর্থ দিয়ে নিজের সন্তানদের পড়ালেখার খরচ যোগানসহ অন্যান্য চাহিদা পূরণ করতে পারছি। আজ আমার দেখাদেখি আশেপাশের অনেক নারীরা এই সবজি চাষ করে স্বাবলম্বী হওয়ার চেষ্টা করছে।

আমার কাছে পরামর্শ নিতে এলে আমি তাদেরকে সার্বিক সহযোগিতা ও তাদেরকে উদ্বুদ্ধ করি। তবে পৃষ্ঠপোষকতা পেলে আমি আমার এই সবজি চাষের পরিসরটাকে আরো বৃদ্ধি করতে চাই। তিনি কৃষি বিভাগ থেকে কোন সহযোগিতা পাননি।

 


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category