লেখক সাংবাদিক আনোয়ার হোসেনঃ
সময়টা ছিলো ১৯৭৮ সাল। নির্বাচনী প্রচারে প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান গিয়েছিলেন গোপালগঞ্জে। কিন্তু গোপালগঞ্জ তাঁকে স্বাগত জানায়নি। মঞ্চে ওঠার আগেই স্থানীয় জনগণের তীব্র প্রতিক্রিয়া ও প্রতিরোধের মুখোমুখি হন তিনি। পরিস্থিতি এতটাই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে যে, তাঁকে সেনাবাহিনীর হেলিকপ্টারে করে তাৎক্ষণিকভাবে খুলনায় সরিয়ে নেওয়া হয়। এই ঘটনা তখন সামরিক বাহিনীর মধ্যেও চাঞ্চল্যের জন্ম দেয়।
স্বৈরশাসক এইচএম এরশাদ চেয়েছিলেন গোপালগঞ্জে ঢুকতে। পুরো রাষ্ট্রযন্ত্র এবং সেনাবাহিনী নিয়ন্ত্রণে থাকা সত্ত্বেও তিনি গোপালগঞ্জে ঢোকার সাহস পাননি। চেষ্টা করেও সফল হননি। গাড়ি ঘুড়িয়ে দেওয়া হয় নিরাপত্তা বেস্টনি করে। গোপালগঞ্জ আওয়ামী লীগ ছাড়া সবার জন্য ছিলো এক অদৃশ্য দেওয়াল।
আরও পড়ুনঃ শিবগঞ্জে বিনামূল্যে বই ও রাস্তার ধারে গাছ লাগিয়ে আনন্দ পাই বই প্রেমিক নাহিদ
এখন দেখছি, সেই জায়গায় হাসনাত আবদুল্লাহ একটা লাঠি হাতে, গোখরো সাপের মতো ফোসফোস করতে করতে বারবার এগিয়ে যাচ্ছে……..
এটাই ইতিহাসের নির্মম ব্যঙ্গ। যেখানে জিয়া ও এরশাদ গণরোষে গোপালগঞ্জ থেকে ফেরত যান, সেখানে তারুণ্যের শক্তি শো ডাউন দিয়ে এসেছে।
তাঁদের এ্যাপ্রিশিয়েট করা উচিৎ। এরা তো সাহস করে গেছে এবং গোপালগঞ্জের মাটিতে দাঁড়িয়ে বুক ফুলিয়ে গলা ফাটিয়ে “মুজিববাদ মুরদাবাদ” শ্লোগান দিয়ে এসেছে।
অন্যান্য রাজনৈতিক দল ১৬ বছর যাওয়ার সাহসই করে নাই, দখল বাজি, চান্দা-ধান্ধায়ই আছে। এতটুকু সাহস ও হয় নাই।
যারা উপহাস করছেন তারা উপহাস করার আগে গোপালগঞ্জের মাটিতে গিয়ে বলে এসো, “মুজিববাদ মুর্দাবাদ”।