জুলাই বিপ্লবের আবশ্যিকতা:- পর্ব ০৫
বিষয়:- মুসলমানদের স্বার্থ রক্ষার্থে জুলাই বিপ্লবের আবশ্যিকতা।
পাঠক, মুসলমানদের স্বার্থ বলতে মুসলমানদের ব্যাক্তিগত, সামষ্টিক ও রাষ্ট্রীয় আর্থিক স্বার্থকে বুঝায় । আওয়ামী লীগ তার জন্ম লগ্ন থেকেই মুসলমানদের স্বার্থকে হিন্দুত্ববাদীদের পদতলে সমর্পণ করে।
১৯৭১ সালে আওয়ামী লীগের সম্মতিক্রমে ভারতীয় বাহিনী বাংলাদেশ হতে লক্ষ কোটি টাকার মালামাল লুট করে নিয়ে যায়। মেজর জলিল বাধা দিলে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় আসলে আওয়ামী লীগের ছত্রছায়ায় ভারতীয় ব্যাবসায়ী শেয়ার মার্কেট লুটপাট করেছে । ভারতীয় শেয়ার ব্যাবসায়ী শেয়ার বাজার হতে হাজার হাজার কোটি টাকা লুটপাট নিয়ে যায়। হাসিনার আমলে এদেশ ছিল ভারতের অর্থনৈতিক কলোনী ।
২০০৯ এ ক্ষমতায় আসার পর ভারতীয় ব্যাবসায়ীদের ফাকা চেক দিয়ে আসে । একটি মুসলিম রিয়াসাতে মুসলমানদেরকে চাকরি না দিয়ে হিন্দুদের চাকরিতে নিয়োগ দেয় । আবার মুসলিম অপেক্ষা হিন্দুদের বেতন কয়েক গুণ বেশি।
আরও পড়ুনঃ পাবনায় গোপালগঞ্জে এনসিপির উপর হামলার প্রতিবাদে জামায়াতে ইসলামীর বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ
পাঠক, আওয়ামী লীগ সব সময় চাচ্ছিল যে বাংলাদেশ যাতে আর্থিকভাবে ভারতের উপর নির্ভরশীল হয়ে থাকে । কারণ ভারতের ওপর নির্ভরশীল হয়ে থাকলে ভারত সব সময় তাদের এজেন্ডা বাস্তবায়নকারী এদেশের হিন্দুত্ববাদী শক্তি আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় রাখবে ।
তাই তারা সবসময় ভারতকে এবং ভারতীয় ব্যবসায়ীদেরকে বাংলাদেশের মুসলমানদের অপেক্ষা অধিক সুবিধা প্রদান করত । শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আসার পর অর্থনৈতিক যে কোন চুক্তি ভারতের সাথে অগ্রগন্যতার ভিত্তিতে করত , এই সব চুক্তিগুলো ছিল দেশের স্বার্থের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর।
আওয়ামী পররাষ্ট্র মন্ত্রী ভারতের গোলাম আব্দুল মোমিন বলেছিল যে, ভারত বাংলাদেশের সম্পর্ক হল স্বামী স্ত্রীর অনুরূপ। হাসিনা বলেছিল যে, ভারতকে যা দিয়েছি তা ভারত কখনো ভূলতে পারবে না। এই সব কথা বার্তা প্রমাণ করে এদেশের স্বার্থ ভারতের পদতলে জলাঞ্জলি দিয়েছে। এদেশের মুসলমানদের স্বার্থ রক্ষার্থে জুলাই বিপ্লব ছিল অপরিহার্য।
চলমান
মোঃ মোস্তফা জামাল ভূঁইয়া
চেয়ারম্যান
প্যান ইসলামিক মুভমেন্ট বাংলাদেশ