রবিবার, ১৩ জুলাই ২০২৫, ০২:৫৭ পূর্বাহ্ন
শিরোনমঃ
এনসিপি ইনসাফের ভিত্তিতে দুর্নীতি ও বৈষম্যহীন রাষ্ট্র গড়তে চায় ময়মনসিংহে অবৈধ ব্যাটারি অটো তৈরির কারখানা, চুরির সংখ্যা বেড়েই চলেছে মিটফোর্ড এ  নৃশংসভাবে ইট দিয়ে হত্যার ঘটনায় ২ জন ও চট্টগ্রামে স্ত্রীকে নৃশংসভাবে হত্যা করে ১১ খন্ড করে গুম করার চেস্তার প্রধান আসামিকে গ্রেফতার সহ   সাংবাদিকদের সাথে র‍্যাবের মতবিনিময় আরাফাত রহমান কোকো স্পোর্টস একাডেমির উদ্দোগ্যে জোড়া খাসি প্রীতি ফুটবল টুর্নামেন্ট গাবতলীতে অনুষ্ঠিত *মুসলিম উম্মাহর ঐক্য ও সংহতি:* *অগ্রগতি ও অন্তরায়* *জুলাই-আগস্ট ২০২৪ বিপ্লব: আইন, নীতি, নৈতিকতা এবং মূল্যবোধের আলোকে মনস্তাত্তিক এবং ভৌগোলিক বিশ্লেষণ* দাখিল পরীক্ষার ফলাফলে শীর্ষ স্থানে কাগতিয়া মাদ্রাসা মিডফোর্ডে ব্যাবসায়ী হত্যার প্রতিবাদে ঢাকা -কুয়াকাটা মহাসড়ক অবরোধ করে ববি’র শিক্ষার্থীরা অভিযানে গৌরবময় অবদান রাখায় প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড টাগ ‘বিসিজিটি প্রমত্ত’ এবং এর ক্রুদেরকে ‘প্রশংসাপত্র’ প্রদান করলো ‘আন্তর্জাতিক মেরিটাইম অর্গানাইজেশন (IMO যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের ১৩৫৩ কর্মকর্তা ছাঁটাই সন্তান জন্ম দিতে এখনো আমেরিকায় আসছেন বাংলাদেশি দম্পতিরা গ্রিনকার্ডধারীদের যুক্তরাষ্ট্রে নিয়মিত থাকার প্রমাণ দেখাতে হবে জন্মসূত্রে নাগরিকত্ব নিয়ে ট্রাম্পের বিতর্কিত আদেশ স্থগিত শিকাগো ম্যারাথন ও আয়রনম্যান নিউইয়র্কে অংশগ্রহণের প্রস্তুতি নিচ্ছেন বাংলাদেশি মিশু চাঁদপুরে খুতবা পছন্দ না হওয়ায় ইমামকে কুপিয়ে হত্যার চেষ্টা ! রাজনীতি, সন্ত্রাস ও নৈতিক পতন: একটি ভয়াবহ বাস্তবতা যেই লাউ সেই কদু *”যোগ্য বিচার চাই – মানবতা যেন হার না যায়!”* এডভোকেট এম হেলাল উদ্দিনের সংক্ষিপ্ত সফর: মেহেন্দিগঞ্জের মানুষের পাশে মানবিক নেতার একদিন মিটফোর্ড খুন- খুব শীঘ্রই সন্ত্রাসীদের দ্রুত বিচার আইনে শাস্তি দিতে হবে, নয়তো স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টাকে প্রদত্যাগ করার, দাবিতে গণআন্দোলন গড়ে তুলবো

আমাদের জাতীয় ইতিহাসের পাদ-প্রদীপের সামনে জিয়াউর রহমানের আবির্ভাব বিস্ময়কর ঘটনা

মোঃ সারোয়ার হোসেন রুবেলঃ 
পাবলিশ: শুক্রবার, ১১ জুলাই, ২০২৫

মোঃ সারোয়ার হোসেন রুবেলঃ

আমাদের জাতীয় ইতিহাসের পাদ-প্রদীপের সামনে জিয়াউর রহমানের আবির্ভাব বিস্ময়কর ঘটনা। তিনি ছিলেন নিঃসন্দেহে এক ব্যতিক্রমী পুরুষ। শহীদ জিয়া ছিলেন গণতন্ত্রের প্রাণপুরুষ। আধুনিক বাংলাদেশের স্থপতি। তার ছিল সুদূরপ্রসারী দৃষ্টি। তিনি ছিলেন ভিশনারি, এক স্বপ্নদ্রষ্টা।

তিনিই জাতিকে একটি সত্যিকার গণতন্ত্রের শক্তভিত্তির ওপরে দাঁড় করাতে চেয়েছিলেন। আনতে চেয়েছিলেন অর্থনৈতিক মুক্তি। দিতে চেয়েছিলেন জাতিকে সম্মান আর গৌরব। শহীদ জিয়া বাংলাদেশের ইতিহাসে এক ক্ষণজন্মা রাষ্ট্রনায়ক। নানা কারণে তিনি বাংলাদেশের জাতীয় ইতিহাসের গুরুত্বপূর্ণ ও গৌরবোজ্জ্বল অধ্যায়ে স্থান করে নিয়েছেন।

তার সততা, নিষ্ঠা, গভীর দেশপ্রেম, পরিশ্রমপ্রিয়তা, নেতৃত্বের দৃঢ়তা প্রভৃতি গুণাবলী এ দেশের গণমানুষের হৃদয়কে স্পর্শ করেছিল। শহীদ জিয়া গণতান্ত্রিক অধিকার সম্বন্ধে সচেতন ছিলেন। তিনি বিশ্বাস করতেন দেশের জনগণ একবার যদি গণতান্ত্রিক অধিকার, মানবাধিকার ভোগ করে; তবে তা সারা জীবন জারি রাখতে হবে।

আরও পড়ুনঃ মোস্তফা গোলাম কুদ্দুস, নামটি শুধু একজন সফল ব্যবসায়ীর নয় বরং একজন চিন্তাশীল পথপ্রদর্শকের, যিনি তাঁর কর্ম, আদর্শ এবং উদার মানবিকতায় স্থান করে নিয়েছেন অসংখ্য মানুষের হৃদয়ে

কোনো কারণে সে অধিকার হতে তারা বঞ্চিত হলে গণঅসন্তোষ দেখা দেবে, মানুষ রাস্তায় বেরিয়ে আসবে, তাই তিনি সব অধিকারের বিষয়ে ছিলেন সজাগ-আস্থাবান। তিনি জানতেন রাজনৈতিক অধিকার ব্যতিরেকে অর্থনৈতিক উন্নয়ন অর্থহীন, অর্থনৈতিক মুক্তি অবাস্তব-তাই তার ১৯ দফা কর্মসূচিকে তিনি গণতান্ত্রিক কাঠামোর মধ্যে রেখে গণতান্ত্রিক পদ্ধতি বাস্তবায়িত করতে চেয়েছিলেন যাতে জনগণ গণতান্ত্রিক স্বাধীনতা ও অর্থনৈতিক উন্নয়নের সুবিধা একসঙ্গে ভোগ করতে পারে।

সামরিক শাসন থেকে গণতন্ত্রে উত্তরণের জন্য তিনি নিজে উদ্যোগ গ্রহণ করেছিলেন তার জন্য জনগণকে কোনো দাবি বা আন্দোলন করতে হয়নি। এই জন্য তিনি দেশের মানুষের কাছে চিরকাল শ্রদ্ধাভাজন হয়ে থাকবেন। দেশের বিরাজমান প্রেক্ষাপটে শহীদ জিয়া বড় বেশি প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠছেন। শহীদ জিয়া জীবিত থাকলে হয়তো বাংলাদেশের অবস্থা এরকম হতো না, হতে পারত না।

গণতান্ত্রিক অধিকারের প্রশ্ন যদি আসে তাহলে তো বলার অপেক্ষা রাখে না যে, বাংলাদেশে কার্যত শ্বাসরুদ্ধকর এক পরিস্থিতি বিরাজ করছে। অথচ স্বাধীনতা-পরবর্তী বাংলাদেশে যে বন্ধ্যাত্ব শুরু হয়েছিল শহীদ জিয়াই তা থেকে জাতিকে মুক্ত করে স্বাধীনভাবে আত্মনিয়ন্ত্রণ অধিকার প্রতিষ্ঠার পথ দেখাতে চেষ্টা করেছিলেন।

তিনিই প্রথম বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রবর্তন করেছিলেন। যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশের শাসকরা যেখানে জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করতে ব্যর্থ হয়েছিলেন, সেখানে শহীদ জিয়া উৎপাদনমুখী দেশপ্রেমিক জাতীয়তাবাদী রাজনীতির পতাকাতলে জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করেছিলেন।

প্রকৃত বিবেচনায় শহীদ জিয়ার সততা, স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা, সহনশীলতা এবং ধর্মীয় মূল্যবোধের চর্চা দেশ বিনির্মাণে যে পথের দিশা দেখিয়েছিল তা যদি অনুসরিত হতো বা হতে পারত অথবা তার ধারাবাহিকতা রক্ষা করা যেত তাহলে বিজয়ের ৫৪ বছরে মূলত হতাশার পরিবর্তে আশার কথাই বেশি শোনা যেত।

আরও পড়ুনঃ “আজ জন্মদিন আমার” ★★★ নূর মোশাররফ

শহীদ জিয়ার নেতৃত্বে ধর্মীয় মূল্যবোধ ও জাতীয়তাবাদ রাষ্ট্রীয় কাঠামোর মধ্যে প্রবলভাবে স্থান পেয়েছে, যা আমাদের সাম্প্রদায়িক ঐক্যকে আরো মজবুত করেছে। তার চিন্তা ও দর্শন আজও আমাদের হৃদয়ে জীবন্ত, আমাদের পথপ্রদর্শক-একটি গর্বিত ও স্বাধীন জাতির স্বপ্নের চেতনায়।

শহীদ জিয়ার বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদ কেবল রাজনৈতিক প্রক্রিয়া নয়, এটি একটি আন্দোলন, যা আজও আমাদের সামনে প্রেরণা জোগায়। শহীদ জিয়ার বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদের যে ভাবনা আমরা দেখতে পাই, যেখানে বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় দেশ থাকবে ঐক্যবদ্ধ, প্রত্যেক নাগরিকের থাকবে মর্যাদা এবং আইনের সুশাসন পাওয়ার অধিকার।

তার সেই আদর্শের জায়গায় যদি আমরা এক হয়ে দাঁড়িয়ে থাকতে পারতাম, তবে আজ আমাদের বৈষম্য দূর করার জন্য আন্দোলন করতে হতো না কারণ শহীদ জিয়ার আদর্শে বৈষম্যের কোনো স্থান ছিল না। তারই ধারাবাহিকতায় বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া নেতৃত্বে ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ঘোষিত রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের ৩১ দফা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে আমরা দেশ বিদেশে কাজ করে যাচ্ছি ।

হাটে গাঠে মাঠে সভা সেমিনার করে মানুষের মাঝে ৩১ দফার উপকারিতা তুলে ধরছি ।রাষ্ট্রের কাঠামোগত সংস্কারের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরে ‘গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।


এই বিভাগের আরও খবর