শনিবার, ২২ নভেম্বর ২০২৫, ০৭:৪৪ পূর্বাহ্ন
Headline :
বাংলাদেশ জোট মুখপাত্র হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন বাংলাদেশ সর্বজনীন জোটের চেয়ারম্যান মোঃ আবুল হাসেম ন্যাশনাল ইউনিটি কাউন্সিল(এনইউসি) এর মহাসচিব বিদ্যুৎ চন্দ্র বর্মনের বাণী: মানবতার মূর্ত প্রতীক: *অধ্যাপক ড. আলহাজ্ব মোঃ শরীফ আব্দুল্লাহ হিস সাকী শিক্ষাবিদ ও মানবতাবাদী এক অনন্য সমন্বয়* -ড. এ আর জাফরী বাংলাদেশ সর্বজনীন জোটে মূল চিন্তাশক্তি হিসেবে আবির্ভূত প্রধান উপদেষ্টা ফরহাদ মাজহার বগুড়া গাবতলী স্টেশনের রেলওয়ে কর্মচারীকে মারপিট করে আহত করে ২২ বছর পর ভারতের বিপক্ষে ঐতিহাসিক জয় – দক্ষিণ এশিয়ার ফুটবলে নতুন সম্ভাবনার দিগন্তে বাংলাদেশ ময়মনসিংহে পলাতক আসামী গেপ্ততার করেছে র‍্যাব ১৪ যুক্তরাষ্ট্র ঐক্য পরিষদের বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত চাঁপাইনবাবগঞ্জ ৫৩ বিজিবির অভিযানে ইয়াবাসহ আটক ১ বগুড়ার গাবতলী উপজেলার বিএনপিরভারপ্রাপ্তচেয়ারম্যান তারেক রহমানের ৬১তম জন্মদিন উপলক্ষে বিশেষ দোয়া মাহফিল

রাজধানীর উত্তরাতে ১১ ও ১৩ নম্বর সেক্টরে রাজউকের ৩০টি প্লট বেদখল করে গড়ে তুলেছে অবৈধ স্থাপনা

Reporter Name / ৬ Time View
Update : বৃহস্পতিবার, ২৬ জুন, ২০২৫
রাজধানীর উত্তরা ১১ ও ১৩ নম্বর সেক্টরে রাজউকের ৩০টি প্লট বেদখল করে গড়ে তুলেছে অবৈধ স্থাপনা

বিশেষ প্রতিনিধিঃ

জমজম টাওয়ারের পাশেই গড়ে ওঠা টিনশেড মার্কেটে রয়েছে অন্তত ৩০০টি দোকান। স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, সরকারি দলের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ও রাজউকের কর্মকর্তাদের পকেটে যাচ্ছে এসব দোকানের মাসিক ভাড়া। রাজউক, স্থানীয় থানা পুলিশ ও অন্যান্য প্রশাসনের চোখে কাঠের চশমা।

শের ই গুল ঃ উত্তরায় বেদখলে রাজউকের ৩০ প্লট, চলছে রমরমা ব্যবসা। রাজধানীর উত্তরা ১১ ও ১৩ নম্বর সেক্টরে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) ৩০টি প্লট বেদখল করে গড়ে তোলা হয়েছে অবৈধ মার্কেট। জমজম টাওয়ারের পাশেই গড়ে ওঠা টিনশেড মার্কেটে রয়েছে অন্তত ৩০০টি দোকান।

স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, সরকারি দলের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ও রাজউকের কর্মকর্তাদের পকেটে যাচ্ছে এসব দোকানের মাসিক ভাড়া। জমজম টাওয়ারের পাশেই গড়ে ওঠা টিনশেড মার্কেটে রয়েছে অন্তত ৩০০টি দোকান। স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, সরকারি দলের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ও রাজউকের কর্মকর্তাদের পকেটে যাচ্ছে এসব দোকানের মাসিক ভাড়া।

দুর্নীতি দমন কমিশনের সহকারী পরিচালক সমন্বয়ে গঠিত এনফোর্সমেন্ট টিমের অভিযানে পাওয়া গেল এ ঘটনার সত্যতা। দুদকের সহকারী পরিচালক (জনসংযোগ) অভিযানের বিষয়টি প্রাণের বাংলাদেশকে নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, দুদক টিম প্লটগুলোর বর্তমান বরাদ্দ সংক্রান্ত তথ্য, বরাদ্দ গ্রহীতার নাম, মামলা সংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহ করে অভিযান পরিচালনা শেষে বিকেল চারটায় প্রধান কার্যালয় ফিরে আসে। তাদের প্রতিবেদন তৈরি কাজ চলমান রয়েছে।

দুদক জানায়, রাজধানীর উত্তরার সোনারগাঁও জনপথ সড়কের পাশে উত্তরা ১১ ও ১৩ নম্বর সেক্টরের আওতায় রাজউকের ৩২টি প্লটের বিভিন্ন অবৈধ দখল ও সরকারি জমিতে গড়ে তোলা মার্কেটের দোকান ভাড়া দিয়ে অবৈধ লেনদেনের অভিযোগে এনফোর্সমেন্ট টিম অভিযান পরিচালনা করে।

অভিযানে গিয়ে দুদক টিম দেখতে পায়, উত্তরা আবাসিক এলাকার সোনারগাঁও জনপথ সড়কের উভয় পাশে ১৩ ও ১১ নম্বর সেক্টরে মোট ৩০টি প্লটের মধ্যে কয়েকটির কিস্তি পরিশোধের ব্যর্থতায় বরাদ্দ বাতিল হয়েছে। কয়েকটি বরাদ্দ দেওয়া হয়নি এবং কয়েকটির মালিকানা নিয়ে মামলা চলছে। কিছু প্লট খালি রয়েছে।

আরও পড়ুনঃ কালীগঞ্জে প্রয়াত রাষ্ট্রপতি শহীদ জিয়াউর রহমানের শাহাদাৎ বার্ষিকীর আলোচনা সভা ও চারা গাছ বিতরণ

এসব প্লটে অবৈধ রেস্টুরেন্ট, দোকানপাট, ট্রাকস্ট্যান্ড, কাভার্ডভ্যান স্ট্যান্ড, রেন্ট-এ-কারের দোকান, অবৈধ ফার্নিচার মার্কেট গড়ে উঠেছে। ২০১৮-১৯ সালে রাজউক উচ্ছেদ অভিযান চালালেও কিছুদিনের মধ্যেই পুনরায় তা দখল করেন অবৈধ দখলদাররা। এ বিষয়ে রাজউক উত্তরা আঞ্চলিক অফিসের উপ-পরিচালক (এস্টেট ও ভূমি-২) দুদক টিমকে জানান, রাজউকের সাধারণ সভায় এরূপ অবৈধ দখলকৃত প্লটসমূহ নিলাম বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিক্রয় করার জন্য নীতিগত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

এ সংক্রান্ত পরবর্তী কার্যক্রম রাজউক অফিসে চলমান রয়েছে। অভিযোগের বিষয়ে জানা যায়, রাজধানীর উত্তরার সোনারগাঁও জনপথ সড়কের পাশেই রাজউকের ৩১ থেকে ৩২টি প্লট। এসব প্লটের কাগজে-কলমে মালিকানা এখনো সরকারি সংস্থাটির। তবে সেখানে গড়ে উঠেছে মার্কেট।

উত্তরা সোনারগাঁ জনপথ সড়কের দুপাশ ১১ ও ১৩ নম্বর সেক্টরের আওতায়। জমজম টাওয়ারের পর থেকে দুই পাশেই ফুটপাত সংলগ্ন রাজউকের জায়গায় টিনশেড মার্কেট গড়ে উঠেছে। এ মার্কেটে রয়েছে প্রায় ৩০০টি দোকান। এরমধ্যে ২৬০টি ফার্নিচারের দোকান। বাকিগুলোর মধ্যে রয়েছে রেস্টুরেন্ট, গাড়ির গ্যারেজ, বেডিং তৈরির দোকানসহ কাঁচাবাজার। জমজম টাওয়ারের পাশ থেকে ময়লার মোড় পর্যন্ত প্রায় সাত-আটশ মিটার জায়গায় অবৈধভাবে এসব স্থাপনা নির্মাণ করা হয়েছে।

এসব দোকান থেকে থেকে মাসিক ভাড়া উঠছে প্রায় অর্ধকোটি টাকা। ভাগ-বাটোয়ারাও হয় একাধিক পর্যায়ে। স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, স্থানীয় রাজনৈতিক নেতাকর্মীরা ও রাজউকের কর্মকর্তা পাচ্ছেন এ টাকার ভাগ। মাস শেষ না হতেই ভাগের টাকা পৌঁছে যায় তাদের কাছে। সরকারি জমি নিজেদের কবজায় রাখতে কিছু প্লটের ক্ষেত্রে ঠুকে রাখা হয়েছে নানা মামলা। প্লট রাজউকের হলেও ভাড়ার চুক্তি করেন বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতারা। নিজেরাই বুঝিয়ে দেন দোকানদারদের।

রাজউকের প্লটের উপর স্থাপনা নির্মাণ, ভাড়া আদায় ও টাকার ভাগ-বাটোয়ারার বিষয়ে সমঝোতা চুক্তিপত্রও দেওয়া হয়েছে। গত কয়েক বছর আগে একবার রাজউক কর্তৃক উচ্ছেদের পর ৫ই আগস্টের পরবর্তী সময়ে নতুন করে মালিকানা বদল হয়ে অবৈধ ভাবে গড়ে উঠেছে আবার এই বিশাল অবৈধ ফার্নিচার মার্কেটের সাম্রাজ্য। স্থানীয় থানা পুলিশ ও অন্যান্য প্রশাসন এবং রাজউকের চোখে কাঠের চশমা। প্রতিদিন এই অবৈধ মার্কেটের সামনে দিয়ে এরা যাতায়াত করে। কিন্তু অদৃশ্য শক্তির ইশরায় তাদের নজরে পড়েনা অবৈধ স্থাপনা গুলো।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category