রবিবার, ১৩ জুলাই ২০২৫, ০৩:১২ পূর্বাহ্ন
শিরোনমঃ
এনসিপি ইনসাফের ভিত্তিতে দুর্নীতি ও বৈষম্যহীন রাষ্ট্র গড়তে চায় ময়মনসিংহে অবৈধ ব্যাটারি অটো তৈরির কারখানা, চুরির সংখ্যা বেড়েই চলেছে মিটফোর্ড এ  নৃশংসভাবে ইট দিয়ে হত্যার ঘটনায় ২ জন ও চট্টগ্রামে স্ত্রীকে নৃশংসভাবে হত্যা করে ১১ খন্ড করে গুম করার চেস্তার প্রধান আসামিকে গ্রেফতার সহ   সাংবাদিকদের সাথে র‍্যাবের মতবিনিময় আরাফাত রহমান কোকো স্পোর্টস একাডেমির উদ্দোগ্যে জোড়া খাসি প্রীতি ফুটবল টুর্নামেন্ট গাবতলীতে অনুষ্ঠিত *মুসলিম উম্মাহর ঐক্য ও সংহতি:* *অগ্রগতি ও অন্তরায়* *জুলাই-আগস্ট ২০২৪ বিপ্লব: আইন, নীতি, নৈতিকতা এবং মূল্যবোধের আলোকে মনস্তাত্তিক এবং ভৌগোলিক বিশ্লেষণ* দাখিল পরীক্ষার ফলাফলে শীর্ষ স্থানে কাগতিয়া মাদ্রাসা মিডফোর্ডে ব্যাবসায়ী হত্যার প্রতিবাদে ঢাকা -কুয়াকাটা মহাসড়ক অবরোধ করে ববি’র শিক্ষার্থীরা অভিযানে গৌরবময় অবদান রাখায় প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড টাগ ‘বিসিজিটি প্রমত্ত’ এবং এর ক্রুদেরকে ‘প্রশংসাপত্র’ প্রদান করলো ‘আন্তর্জাতিক মেরিটাইম অর্গানাইজেশন (IMO যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের ১৩৫৩ কর্মকর্তা ছাঁটাই সন্তান জন্ম দিতে এখনো আমেরিকায় আসছেন বাংলাদেশি দম্পতিরা গ্রিনকার্ডধারীদের যুক্তরাষ্ট্রে নিয়মিত থাকার প্রমাণ দেখাতে হবে জন্মসূত্রে নাগরিকত্ব নিয়ে ট্রাম্পের বিতর্কিত আদেশ স্থগিত শিকাগো ম্যারাথন ও আয়রনম্যান নিউইয়র্কে অংশগ্রহণের প্রস্তুতি নিচ্ছেন বাংলাদেশি মিশু চাঁদপুরে খুতবা পছন্দ না হওয়ায় ইমামকে কুপিয়ে হত্যার চেষ্টা ! রাজনীতি, সন্ত্রাস ও নৈতিক পতন: একটি ভয়াবহ বাস্তবতা যেই লাউ সেই কদু *”যোগ্য বিচার চাই – মানবতা যেন হার না যায়!”* এডভোকেট এম হেলাল উদ্দিনের সংক্ষিপ্ত সফর: মেহেন্দিগঞ্জের মানুষের পাশে মানবিক নেতার একদিন মিটফোর্ড খুন- খুব শীঘ্রই সন্ত্রাসীদের দ্রুত বিচার আইনে শাস্তি দিতে হবে, নয়তো স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টাকে প্রদত্যাগ করার, দাবিতে গণআন্দোলন গড়ে তুলবো

ক্লাইমেট-স্মার্ট প্রযুক্তির মাধ্যমে খুলনা কৃষি অঞ্চলের জলবায়ু পরিবর্তন অভিযোজন প্রকল্প

রিপোর্টার নাম
পাবলিশ: বৃহস্পতিবার, ২৬ জুন, ২০২৫
ক্লাইমেট-স্মার্ট প্রযুক্তির মাধ্যমে খুলনা কৃষি অঞ্চলের জলবায়ু পরিবর্তন অভিযোজন প্রকল্প

শেখ মাহতাব হোসেন ডুমুরিয়া খুলনা:

বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) সকাল ১১ টায় কৃষ সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের খুলনা অঞ্চল খুলনা অতিরিক্ত পরিচালক মোঃ রফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্যে দেন পরিচালক(অবঃ), প্রশাসন ও অর্থ উইং কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর খামারবাড়ি ঢাকার কাজী আব্দুল মান্নান, নোট স্পিকার একল্প পরিচালক, ক্লাইমেট-স্মার্ট প্রযুক্তির মাধ্যমে খুলনা কৃষি অঞ্চলের জলবায়ু পরিবর্তন অভিযোজন প্রকল্প,প্রকল্প পরিচালক ফজলুল হক মনি, প্রমুখ।

বক্তব্য বক্তরা বলেন জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব সাম্প্রতিক বছরগুলোতে খুলনা অঞ্চলের কৃষি ও কৃষিজীবী মানুষের জীবন জীবিকার ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে। সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধির ফলে জলাবদ্ধতা ও লবণাক্ততা বৃদ্ধি, দুর্বল পোল্ডার ব্যবস্থাপনা ও যোগাযোগ ব্যবস্থা, অপরিকল্পিত চিংড়ি চাষ, জলোচ্ছ্বাস ও উচ্চ জোয়ারের প্রভাবে বেড়িবাঁধ ভেঙে কৃষি জমিতে লবণাক্ত পানির প্রবেশ,

সেচ ও নিষ্কাশনের অপ্রতুলতা, মানসম্মত কৃষি উপকরণের অভাব, কৃষি শ্রমিকের অভাব, শুকনো মৌসুমে মাটি ও পানির লবণাক্ততার কারণে অনেক জমি পতিত থাকে। এই চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় এবং পতিত জমি চাষের আওতায় আনতে খুলনা কৃষি অঞ্চলে “ক্লাইমেট-স্মার্ট প্রযুক্তির মাধ্যমে খুলনা কৃষি অঞ্চলের জলবায়ু পরিবর্তন অভিযোজন প্রকল্প” গ্রহনের উদ্যোগ নেয়া হয়।

প্রকল্পটি ৩১/১০/২০২১ তারিখে ৪৯.৭১ কোটি টাকায় বাস্তবায়নে মাননীয় মন্ত্রী, পরিকল্পনা কমিশন কর্তৃক অনুমোদিত হয় এবং ২০২১-২২ অর্থ বছরে কার্যক্রম শুরু করে। প্রকল্পটি খুলনা অঞ্চলের ০৪ টি জেলার (নড়াইল, খুলনা, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট) ২৮টি উপজেলা ও ২টি মেট্রো অফিসে বাস্তবায়িত হচ্ছে। প্রকল্পটির কার্যক্রম ৩০ জুন ২০২৫ তারিখে সমাপ্ত হবে।

জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে রবি ও খরিপ মৌসুমে মোট চাষযোগ্য জমির এক-চতুর্থাংশ পতিত থাকে। এসব সমস্যা সমাধানে রিলে ফসল, মিশ্র ফসল, আন্তঃফসল, পলি-মালচ পদ্ধতি, সর্জন পদ্ধতি, ড্রিপ সেচ প্রযুক্তি প্রয়োগের মাধ্যমে কৃষি উৎপাদন এবং উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধিতে অবদান রাখছে।

আরও পড়ুনঃ মহররম: রক্তজবাদের প্রতিশ্রুতি ও নৈতিক বিপ্লবের বার্তা

প্রকল্পটি দক্ষ পানি ব্যবস্থাপনা, মাটির স্বাস্থ্য রক্ষা, ভুমির সর্বোত্তম ব্যবহার, ইফিসিয়েন্ট মেকানাইজেশনের, ক্লাইমেট রেজিলিয়েন্ট ফসল উৎপাদন এবং খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করার উপর কাজ করেছে যা উপকূলীয় অঞ্চলের ঝুঁকিপূর্ণ কৃষকদের স্মার্ট কৃষি প্রযুক্তিতে দক্ষ করে তুলেছে।

তারা বাজার বিশ্লেষণ, প্রাথমিক ফসল উৎপাদনের মাধ্যমে তাদের মুনাফার পরিমাণও বৃদ্ধি করেছে এবং উল্লেখযোগ্য উৎপাদনের মাধ্যমে উল্লেখযোগ্য খরচ সাশ্রয় করেছে। ফলস্বরূপ, প্রযুক্তির কল্যানে জলবায়ু পরিবর্তনের সাথে কৃষকগন খাপ খাওয়াতে সক্ষম হচ্ছে এবং বছরের পর বছর পতিত থাকা জমির পরিমাণ হ্রাস পেয়েছে, যা টেকসই খাদ্য নিরাপত্তা এবং বাংলাদেশের উপকূলীয় অঞ্চলের আর্থ-সামাজিক অবস্থার উন্নতি ঘটিয়েছে।

এছাড়াও সেচের মিষ্টি পানির উপযুক্ত পরিকল্পনার অভাবে অনেক সময় কৃষক জমি পতিত রাখত। প্রকল্পের মাধ্যমে মিনি পুকুর খনন, বরো পিট খননের ফলে এক ফসলি জমি দুই ফসলি জমিতে রুপান্তরিত হয়েছে। পাশাপাশি জলাবদ্ধতা দূরীভূত করে জমির জো অবস্থা আনয়নের মাধ্যমে ফসলি জমি বৃদ্ধিতে অগ্রনী ভুমিকা পালন করছে। সূর্যমূখী এক্সপেলার মেশিন সরবরাহের ফলে এ অঞ্চলে সূর্যমুখীর আবাদ বৃদ্ধি পাচ্ছে। কোকোনাট ক্লাইম্বারের মাধ্যমে নারিকেল গাছে আরোহণ ও পরিচর্যা সহজতর হয়েছে।

প্রকল্প এলাকায় অভিঘাত সহনশীল মাঠ ফসল সম্প্রসারণ, স্বল্প পানির চাহিদা সম্পন্ন ফসলের আবাদ বৃদ্ধি, ঘেরের পাড়ে আগাম উচ্চমূল্যের ফসল চাষ, অফ সিজন তরমুজ, সুর্যমূখী, গ্রীষ্মকালীন সীম, গ্রীষ্মকালীন টমেটো ইত্যাদির চাষাবাদ সম্প্রসারণ, স্থানীয় ফসলের জাতগুলোর উন্নত ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে ফলন বৃদ্ধি, মাটির স্বাস্থ্য রক্ষায় প্রায়োগিক কার্যক্রম গ্রহণ এবং সেচ ব্যবস্থার উন্নয়নের ফলে পতিত জমির সুষ্ঠু ব্যবহারসহ জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ঝুঁকি মোকাবিলায় অভিযোজন সক্ষম কৃষি প্রযুক্তিগুলো সুষ্ঠু বাস্তবায়নের মাধ্যমে প্রকল্প এলাকায় ফসলের নিবিড়তা বৃদ্ধি পাচ্ছে।


এই বিভাগের আরও খবর