মোঃ সুমন, ফ্রান্সঃ
সুইস ব্যাংকে বাংলাদেশীদের অর্থ জমার পরিমাণ বেড়েছে বহুগুণে, একটি প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে ২০২৪ সালের শেষে সুইস ব্যাংকগুলোতে বাংলাদেশিদের নামে মোট ৫৯ কোটি ৮২ লাখ সুইস ফ্রাঁ জমা রয়েছে। প্রতি ফ্রাঁ ১৫০ টাকা ধরে হিসাব করলে এই টাকার পরিমাণ ৮ হাজার ৯৭২ কোটি টাকা। অথচ এক বছর আগে, ২০২৩ সালের শেষে এই অঙ্ক ছিল মাত্র ২ কোটি ৬৪ লাখ ফ্রাঁ বা প্রায় ৩৯৬ কোটি টাকা।
তা আপনাদের কি মনে হইতেছে এই টাকা ইউনূস সরকারের উপদেষ্টারা, বর্তমানে হালে বাতাস পাওয়া আমলা, পলিটিশিয়ান আর ছাত্র নেতারা বিদেশে পাচার করেছে?
তারা পাচার করেছেন কি করে নাই, এই ধরনের বাহাসে আপাতত যাবোনা।
কিন্তু ৫ই আগষ্ট ২০২৪ এর পর, যে পুরো আওয়ামী পার্লামেন্ট গায়েব হয়ে গেলো, ১৫ বছরে তাদের অনেকেই যেসব সম্পদ কামিয়েছে সেসব কোথায় গেলো? সবাই নিশ্চই বিদেশে ৫০০/৬০০টা করে বাড়ি কিনেনি, অনেকেই তো বিভিন্ন দেশের ব্যাংকে টাকা পয়সাও রেখেছেন, কারো কাছে নগদ অর্থও ছিলো।
আরও পড়ুনঃ হিমালয় ফিলিং স্টেশন এলাকায় বারবার দুর্ঘটনা — এলাকাবাসীর উদ্বেগ চরমে
যেমন ধরেন সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, সংযুক্তি ১, এর কাগজটি তার বহু পোর্টফোলিওর একটি। ধারণা করেন, যদি আনিসুল, আগষ্ট ২০২৪ সরকার পতনের পর তার সিংগাপুর আর দুবাইর ব্যাংক একাউন্ট থেকে ২০/৩০ মিলিয়ন ডলার সুইস পোর্টফোলিওতে মুভ করে তাহলে কি তার ডিপোজিটের পরিমাণ বাড়বে না কমবে? এটা জাস্ট একটা আইডিয়া দিলাম আর কি। আপনি বলতে পারেন আমি কিভাবে জানলাম আনিসুল হকের বেশ কয়েকটা পোর্টফোলিও আছে?
তাহলে সংযুক্তি ২, এর কাগজটি লক্ষ্য করেন, সালমান এফ রহমান পুত্র শায়ান রহমান’কে প্রায় ২.৫ মিলিয়ন ব্রিটিশ পাউন্ড বা ৪০ কোটি টাকা, বাৎসরিক ৪% রেটে লোন দিচ্ছেন সাবেক এই আইনমন্ত্রী। বিষয়টা বেশ মজার না? নিজেদের মধ্যেই আবার ধার দেয়া-সুদ আদায় সবাই চলে!
এখন চিন্তা করেন, বিদেশে পাড়ি জমানো এবং দেশের ভেতরে ঘাপটি মেরে থাকা রাজনীতিবিদ, আমলা, ব্যবসায়ীরা পরিবর্তীত রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে বিভিন্ন দেশে রাখা কালো/সাদা টাকা নিরাপদে রাখার জন্যে যদি নিজ সুইস ব্যাংক একাউন্ট বা নতুন সুইস ব্যাংক একাউন্টে রাখে, তাহলে তো জমা অংক বৃদ্ধিই পাবে, তাইনা?
তাইবলে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা দুধেধোয়া তুলসী পাতা, আর ছাত্র নেতারা সাক্ষাৎ ফেরেশতা — এমনটাও আমি দাবি করছিনা।( রিপোর্ট :-আল জাজিরা )