মোঃ সুমন, ফ্রান্স ঃ
বিগত সরকারের আমলে আওয়ামী লীগ এর মদদপুষ্ট কিছু ব্যবসায়িক গোষ্ঠী ক্ষমতার অপব্যবহারে লিপ্ত হয়েছিল, এটা এখন পুরোনো সংবাদ। ২০২৪, ৫ই আগস্ট এর পর সুদীর্ঘ ১০ মাস অতিক্রান্ত হবার পরও নতুন নতুন কাহিনী উদঘাটিত হচ্ছে। বিদ্যুৎ খাতে হরিলুট করা সামিট গ্রুপ কর্তৃক জ্বালানি তেলের দাম কৌশলে মিথ্যা বর্ণনা করে ০৫ আগষ্ট ২০২৪ পরবর্তীতেও দেশের বাইরে কোটি কোটি টাকা পাচার করেছে, অবশ্য তা ধামাচাপা দিয়ে রাখা সম্ভব হয়নি, বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ পুরো বিষয়টি নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে।
সামিট গ্রুপের বরিশাল ১১০ মে:ও:, গাজীপুর ১৫০ মে:ও: এবং গাজীপুর ৩০০ মে:ও: বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলো ২০১৬ সালের পর থেকে পরিচালিত হয়ে আসছে। বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য প্রয়োজনীয় ফার্নেস অয়েল সিঙ্গাপুর থেকে আমদানি করে সামিট। চুক্তি মোতাবেক সিঙ্গাপুরে প্রকাশিত ফার্নেস অয়েলের মূল্য তালিকায় বর্ণিত দাম অনুযায়ী বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (পিডিবি) কর্তৃক সামিটকে প্রতি মাসে ব্যবহৃত জ্বালানীর মূল্য পরিশোধ করা হয় আর এখানেই ঘটেছে শুভঙ্করের ফাঁকি।
আরও পড়ুনঃ কুড়িগ্রামে স্থানীয় অংশীদারদের সাথে সংলাপ এবং ইন্টারেক্টিভ সেশন সভা অনুষ্ঠিত
২০২৪ সালে এই তিন বিদ্যুৎকেন্দ্রের ফার্নেস অয়েল আমদানির সময় তালিকায় বর্ণিত দামের চেয়ে অতিরিক্ত মূল্য কৌশলে মিথ্যা বর্ণনা করে সামিট কর্তৃক বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের কাছে জ্বালানীর মূল্য পরিশোধের আবেদন করা হয়। তবে শেষ রক্ষা হয় নি। বিগত সরকারের পতনের পর বিদ্যুৎ উৎপাদন বোর্ড এবং বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশন এর চোখে পড়ে যায় দামের অসঙ্গতি (উদাহরণ: ২৫/০১/২০২৪ তারিখের চালানের জন্য বিপিসি অনুযায়ী সিঙ্গাপুরের তালিকাতে বর্ণিত মূল্য ৪৩৬ ডলার/মেট্রিক টন যেখানে সামিট কর্তৃক বর্ণিত মূল্য ৪৬৬ ডলার/মেট্রিক টন)।
উক্ত ৩টি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের জন্য ২০২৪ সালে ৩১টি চালানের মাধ্যমে ৬৬,০০০ টন এর বেশি ফার্নেস অয়েল আমদানি করেছে সামিট। টন প্রতি ২৯ মার্কিন ডলার অতিরিক্ত বিবেচনা করলে মাত্র ১২ মাসেই প্রায় ২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বা ২৪ কোটি টাকার বেশি পাচার করেছে সামিট গোষ্ঠী।