বিশেষ প্রতিনিধিঃ
জামায়াত কোন যুদ্ধাপরাধ করে নাই, সুতরাং ক্ষমার প্রশ্নই উঠেনা -এডভোকেট শিশির মনির । যেহেতু রাজনৈতিক স্বিদ্ধান্তে যুদ্ধে অংশগ্রহণ করে নি বা যুদ্ধ চায় নি, মনে করেছিলো এই যুদ্ধে ভারত ফায়দা নিতে চাচ্ছে সেই জন্য যুদ্ধটা একটা ফাঁদ, কিন্তু পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীদের বর্বরোচিত আচরনে জুলুমের শিকার হয় বাংলাদেশ।
যা তৎকালীন জামায়াতের স্বিদ্ধান্তকে ভুল বলে বিবেচিত করে। সেই জন্য জামায়াত একবার নয়, বার বার দুঃখ প্রকাশ করেছে।
ক্ষমা চাওয়ার বার বার দাবি বাংলাদেশের মানুষের কাছে জামায়াতের জনপ্রিয়তা দেখে বিরোধীদের কৌশল মাত্র।
তারা এই ক্ষমার মাধ্যমে জামায়াতকে চরমভাবে হীন করতে চায়।
শিশির মনির ভাই যাথার্থই বলেছেন, আমি ক্ষমা না চাইলে আপনার কি?
আমিও বলছি, আমাদের পূর্বপুরুষেরা কোন অপরাধ করেন নাই যে ক্ষমা চাইবেন।
তবে হে ভুল স্বিদ্ধান্তের জন্য উনাদের বার বার দুঃখ প্রকাশ খুবই প্রসংশনীয়।
আরও পড়ুনঃ আদম ব্যবসার নামে আঙ্গুল ফুলে কলা গাছ — বেকার আসাদুল ভিক্ষুর অঢেল সম্পদের গল্প
মির্জা ফখরুল ইসলামও তো জুলাই বিপ্লবের সময় বলেছিলেন আমরা এর সাথে সম্পৃক্ত নই। তার এই কথাটা ছিলো সম্পূর্ণ রাজনৈতিক চিন্তার উপর ভিত্তি করে। তাই বলে কি উনারা এখন বাংলাদেশে প্রতিদিন মাফ চাইতে হবে?
ক্ষমা মূল বিষয় নয়, মূল টার্গেট ইসলাম আর ইসলামী আন্দোলন। বাতিলের পরিকল্পনায় মাঝে মাঝে ইসলাম পন্থীরাও বিভ্রান্ত হয়ে যান বুঝে না বুঝে।
এদেশের জন্ম হয়েছিলো ১৯৪৭ সালে ইসলামী মূল্যবোধ আর মুসলমানদের অবস্থান নিয়ে। মুখের ভাষার স্বাধীনতা পেয়েছিলো ১৯৫২ সালে। মানচিত্র পেয়েছিলো ১৯৭১ সালে। আর স্বাধীনতা পেয়েছে ২০২৪ সালে।
সেই হিসেবে বাংলাদেশের জন্মের সময় ১৯৪৭। জামায়াতে ইসলামী প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯৪১ সালে, আওয়ামিলীগ ১৯৪৯ সালে এবং বিএনপি ১৯৭৮ সালে, শিশুদল NCP ২০২৫ সালে।
এতে দেখা যায় বাংলাদেশের প্রকৃত জন্মের সময় জামায়াতে ইসলামী ছাড়া আর কারো জন্মই হয় নাই।
তাই আসুন ইতিহাসের স্বীকৃতি দিতে শিখি। বাংলাদেশের জন্মের সাথে ওতপ্রোতভাবে জামায়াতে ইসলামী সম্পৃক্ত। মধ্যখানের ভুল স্বিদ্ধান্তে জামায়াতের ৪৭,৫২,২৪ এর অবস্থান অস্বীকার করা দেশের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা ছাড়া আর কিছুই না।
সত্যকে জানুন, সত্য হজম করা শিখুন।