গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধিঃ
গাইবান্ধা জেলার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার রাখালবুরুজ ইউনিয়নের মাদারদহ গ্রামের দুদু মিয়ার বেকার পুত্র আসাদুল ইসলাম ভিক্ষু বর্তমানে মানব পাচার ব্যবসার মাধ্যমে অঢেল টাকার মালিক বনে গেছেন। একসময়ের বেকার যুবক আসাদুল ইসলাম এখন এলাকায় আলিশান বাড়ি ও বিপুল সম্পদের অধিকারী।
সরেজমিনে জানা গেছে, আসাদুল ইসলাম ভিক্ষু রাজনৈতিক ও সামাজিক প্রভাব কাজে লাগিয়ে তার অবৈধ কার্যক্রম পরিচালনা করছে। গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও কামারদহ ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান শরিফুল ইসলাম রতনের পরিবারের সঙ্গে আত্মীয়তার সম্পর্ক তৈরি করে সে বিগত সরকারের সময় নানা সুবিধা ভোগ করেছে। স্থানীয়ভাবে প্রভাবশালী মহলের ছত্রছায়ায় থেকে সে তার নেটওয়ার্ককে শক্তিশালী করেছে।
বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, আসাদুল তার তিন ভাইকে বিদেশ পাঠিয়ে অর্থ উপার্জনের পথ সুগম করেছে। একইসঙ্গে সে নিজেও বিদেশে লোক পাঠানোর নামে প্রতারণার মাধ্যমে মোটা অঙ্কের অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছে। অভিযোগ রয়েছে, ষড়যন্ত্র করে মোস্তার ছেলে মানিক এবং রতনের বাড়ি উচ্ছেদ করে নামমাত্র দামে সেই জমি নিজের নামে লিখিয়ে নিয়েছে ভিক্ষু।
আরও পড়ুনঃ নিরাপদ খাদ্য উৎপাদন জরুরি ময়মনসিলহে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা
অভিযোগ আছে, বিদেশে লোক পাঠানোর নামে প্রতারণার শিকার অনেকেই নাজেহাল হলেও, তাদের পাশে দাঁড়ায়নি কেউ। বিভিন্ন সময় তার বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠলেও, বিচার সালিশের মাধ্যমে কিছু অর্থ ফেরত দেওয়ার নজির রয়েছে। তবুও বহাল তবিয়তেই রয়েছে আসাদুল ইসলাম ভিক্ষু এবং তার সাঙ্গপাঙ্গরা।
স্থানীয়দের দাবি, আসাদুল ভিক্ষুর এমন অপকর্মের পেছনে শক্তিশালী কোনো মহলের আশ্রয়-প্রশ্রয় রয়েছে, যার জোরে সে বছরের পর বছর ধরে অবৈধ ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। এ কারণে সাধারণ মানুষ নিঃস্ব হয়ে পড়ছে, অথচ এর কোনো সুষ্ঠু প্রতিকার দেখা যাচ্ছে না।