বিশেষ প্রতিনিধিঃ
এক বৃদ্ধার দুইটি পাত্র ছিল, যা দিয়ে তিনি নদী থেকে পানি আনতেন। এর মধ্যে একটি পাত্রে ছোট্ট একটা ছিদ্র ছিল, কিন্তু অন্য পাত্রটি ছিল নিখুঁত। নদী থেকে পানি আনার পর একটি পাত্র পুরোপুরি পানিতে ভর্তি থাকত, অপরটি অর্ধেক খালি হয়ে যেত।
নিখুঁত পাত্রটি তার পূর্ণতার জন্য গর্বিত ছিল, কিন্তু বেচারা ছিদ্রওলা পাত্র নিজের অপূর্ণতার জন্য লজ্জিত ছিল।
আরও পড়ুনঃ নাঙ্গলকোটে সাপের দংশনে মাদরাসা ছাত্রের মর্মান্তিক মৃত্যু
একদিন খুঁতযুক্ত পাত্রটি বৃদ্ধার কাছে দুঃখ করে বলল, “আমি সত্যিই নিজের অক্ষমতার জন্য লজ্জিত। আমার যা করা উচিত আমি সেটা কখনোই করে উঠতে পারিনি। আমার ভেতরের ওই ছিদ্র আমাকে আমার কাজ করতে দেয় না।”
বৃদ্ধা মৃদু হেসে বললেন, “তুমি কি খেয়াল করেছ, তোমাকে যে রাস্তা দিয়ে নিয়ে আসা হয়, তার একপাশে কত ফুলগাছের সারি! আমি তোমার ত্রুটি জানি, সেজন্য যে স্থান দিয়ে তোমাকে আনা হয় সেখানে আমি কিছু ফুলের বীজ ছড়িয়ে দিয়েছিলাম। সেই বীজ থেকে গাছ হয়ে তাতে ফুল জন্মায়। পথের ধারের ওই ফুলগাছে নিজের অজান্তেই প্রতিদিন তুমি পানি দাও! আর আমি ওখান থেকে ফুলগুলো তুলে বিক্রি করি, যা আমাকে জীবন ধারণ করতে সাহায্য করে। তুমি যদি খুঁতহীন হতে তাহলে ওই ফুলগুলো ফুটত না, আর আমাকেও হয়ত না খেয়েই দিনযাপন করতে হতো!
শিক্ষা: আমাদের প্রত্যেকেরই কোনো না কোনো খুঁত থাকে। খুঁত থাকা কোনো দুর্বলতা নয়, বরং ঠিকমতো ব্যবহার করতে পারলে আপনার খুঁতগুলোই হতে পারে আপনার সবচেয়ে বড় শক্তির জায়গা।