ক্রীড়া ডেস্কঃ
আর মাত্র দুই বছর পরই (২০২৭) সালের ক্রিকেট বিশ্বকাপ। এই গুরুত্বপূর্ণ সময়ে এসে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল আবারও নেতৃত্ব পরিবর্তন করলো। ওয়ানডে ফরম্যাটের নতুন অধিনায়ক হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন তারকা অলরাউন্ডার মেহেদী হাসান মিরাজ।
যদিও তার এই অধিনায়কত্বের মেয়াদ বিশ্বকাপ পর্যন্ত বিস্তৃত নয়, বরং বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) তাকে প্রাথমিকভাবে এক বছরের জন্য এই গুরুদায়িত্ব দিয়েছে। তিনি এর আগে ওয়ানডে দলের নেতৃত্বে থাকা নাজমুল হোসেন শান্তর স্থলাভিষিক্ত হলেন।
অধিনায়কত্বের দায়িত্ব গ্রহণের পরদিনই, শুক্রবার ( ১৩ জুন) মিরাজ এক সংবাদ সম্মেলনে এসে তার পরিকল্পনা তুলে ধরেন। তার প্রধান লক্ষ্য হলো আগামী এক বছরের মধ্যেই ওয়ানডে দলটিকে সুসংগঠিত করে তোলা। মিরাজের অধীনে বাংলাদেশের প্রথম সিরিজ হবে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ।
আরও পড়ুনঃ বিএনপির এক কর্মীকে কুপিয়ে গুরুতর জখম করার অভিযোগ জামায়াতের বিরুদ্ধে
তিনি বলেন, “ক্যাপ্টেন ম্যাটার করে না। আমাদের টিম হয়ে খেলাটা ইম্পরর্ট্যান্ট। আমাদের এখন সময় এসেছে ওডিআই টিমটা দাঁড় করানোর। ১ বছরের ভেতর সবকিছু সেট করতে হবে।”
অধিনায়ক হিসেবে মিরাজের পূর্ব অভিজ্ঞতা রয়েছে। ২০১৬ সালে তার নেতৃত্বে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে খেলেছিল।
এছাড়া, জাতীয় দলেও বিভিন্ন সময়ে মূল অধিনায়কের অনুপস্থিতিতে তিনি চারটি ম্যাচে নেতৃত্ব দিয়েছেন। এই অভিজ্ঞতা থেকেই দলের শক্তি-সামর্থ্য নিয়ে মিরাজ দারুণ আশাবাদী।
তার মতে, বাংলাদেশ দলে প্রতিভার কোনো ঘাটতি নেই। তিনি বলেন, “আমি এই দলের ওপর পূর্ণ বিশ্বাস রাখি। আমাদের দলে প্রতিভার কোনো ঘাটতি নেই। আমরা সাহসী ক্রিকেট খেলতে চাই, আত্মবিশ্বাস নিয়ে খেলতে চাই। ইনশাআল্লাহ, আমরা দেশের জন্য সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করব।”
মিরাজের এই নিয়োগের ফলে বাংলাদেশ আবারও ‘তিন অধিনায়ক’ ফর্মুলায় ফিরে এলো। বর্তমানে বাংলাদেশের তিন ফরম্যাটে তিনজন ভিন্ন অধিনায়ক রয়েছেন: টেস্টে নাজমুল হোসেন শান্ত, ওয়ানডেতে মেহেদী হাসান মিরাজ, এবং টি-টোয়েন্টিতে লিটন দাস।
এর আগেও বাংলাদেশের ক্রিকেটে এমন পরিস্থিতি দেখা গেছে। ২০১৯ বিশ্বকাপের পর তামিম ইকবালকে ওয়ানডের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল, তখন টেস্টে মুমিনুল হক এবং টি-টোয়েন্টিতে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ অধিনায়ক ছিলেন।