আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ
লেবাননের দক্ষিণাঞ্চলে একটি ইসরাইলি গুপ্তচরযন্ত্র শনাক্ত ও জব্দ করা হয়েছে। একইসঙ্গে সীমান্ত এলাকায় ইসরাইলি সেনাবাহিনী কর্তৃক মাটি দিয়ে তৈরি দুটি বাঁধও অপসারণ করা হয়েছে।
লেবাননের সেনাবাহিনী শনিবার এক বিবৃতিতে এসব তথ্য জানিয়েছে। খবর বার্তা সংস্থা মেহের-এর।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, লেবানিজ সেনা কমান্ডের অধীনস্থ অরিয়েন্টেশন ডিরেক্টরেট-এর পক্ষ থেকে প্রকাশিত বিবৃতিতে বলা হয়, ‘দক্ষিণাঞ্চলে চলমান প্রকৌশলিক জরিপ অভিযানের সময়, একটি বিশেষায়িত সেনাদল দক্ষিণ-পূর্ব লেবাননের ব্লিদা-মারজায়উন গ্রামের উপকণ্ঠে একটি ক্যামেরা-সংবলিত গুপ্তচরযন্ত্র শনাক্ত করে। এটি খুবই দক্ষতার সঙ্গে সুক্ষ্মভাবে স্থাপন করা হয়েছিল। সেনাদলটি তা সফলভাবে অপসারণ ও নিষ্ক্রিয় করেছে’।
এতে আরও বলা হয়, ব্লিদা ও মায়স আল-জাবাল গ্রামের ভেতরে ইসরাইলি বাহিনীর নির্মিত দুটি মাটির বাঁধও সেনাবাহিনী অপসারণ করেছে।
লেবানিজ সেনাবাহিনী জানিয়েছে, তারা জাতিসংঘের অন্তর্র্বতী বাহিনী (টঘওঋওখ)-এর সঙ্গে সমন্বয় রেখে দক্ষিণ সীমান্তে ইসরাইলের চুক্তি লঙ্ঘনের বিরুদ্ধে নজরদারি অব্যাহত রেখেছে।
এদিকে লেবাননের জাতীয় বার্তা সংস্থা (এনএনএ) জানায়, শনিবার সকালে ইসরাইলি বাহিনীর একটি দল দুটি বুলডোজার নিয়ে লেবাননের মায়স আল-জাবালের আল-মারাজ আঙুরক্ষেত এলাকায় প্রবেশ করে। সেখানে তারা বেআইনিভাবে একটি মাটির বাঁধ নির্মাণ করে এবং লেবাননের প্রায় ১০০ মিটার এলাকা দখল করে নেয়, পরে তারা সেখান থেকে সরে যায়।
২০২৪ সালের ২৭ নভেম্বর যুক্তরাষ্ট্র ও ফ্রান্সের মধ্যস্থতায় ইসরাইল ও হিজবুল্লাহর মধ্যে একটি অস্ত্রবিরতি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। যা গাজায় যুদ্ধ শুরুর পর লেবানন সীমান্তে চলমান সংঘর্ষ বন্ধ করে দেয়। তবে অস্ত্রবিরতির মাঝেও যুদ্ধবাজ ইসরাইল মাঝে মাঝেই লেবাননে হামলা চালিয়ে যাচ্ছে।
এরমধ্যেই সাম্প্রতিক গুপ্তচরযন্ত্র উদ্ধারের ঘটনা ও সীমান্ত লঙ্ঘনের ঘটনা আবারও ইসরাইলি আগ্রাসন ও লেবাননের সার্বভৌমত্ব লঙ্ঘনের প্রশ্ন সামনে এনে দাঁড় করেছে।
পর্যবেক্ষকদের মতে, এ ধরনের ঘটনা অস্ত্রবিরতির ভবিষ্যৎকে আরও অনিশ্চিত করে তুলছে।