লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধিঃ
লক্ষ্মীপুরে উপজেলা প্রশাসন ও ৪ নং চররুহিতা ইউনিয়ন পরিষদের যৌথ উদ্যেগে ৭টি প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ বিভিন্ন বিদ্যালয় ও মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের মাঝে শিক্ষা উপকরণ বিতরণ করা হয়েছে।
২৯মে (বৃহস্পতিবার) চররুহিতা ইউনিয়ন পরিষদ প্রাঙ্গণে শিক্ষার্থীদের মাঝে এ শিক্ষা উপকরণ বিতরণ করা হয়। এসময় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক রাজীব কুমার সরকার। শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ায় উদ্বুদ্ধ করা, একজন ভালো মানুষ হওয়ার জন্য পড়ালেখার প্রতি মনোযোগী হওয়া এবং তাদেরকে অনুপ্রাণিত করার জন্যই এই শিক্ষা উপকরণ বিতরণ করা হয়।
৪ নং চরুহিতা ইউনিয়নে এই ধরনের ব্যতিক্রমী উদ্যেগ এবারই প্রথম। জানাযায় সাম্প্রতি চররুহিতা ইউনিয়ন পরিষদে প্রশাসক হিসেবে দায়িত্ব নেন জেলা যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক সালেহ্ উদ্দিন। তিনি দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে চররুহিতা ইউনিয়নে ব্যতিক্রমধর্মী সমাজ সেবামূলক কাজ এবং মানবিক সেবা পাচ্ছে জনগণ। তারই অংশ হিসেবে অসহায় দরিদ্র মেধাবী শিক্ষার্থীদের মাঝে শিক্ষা উপকরণ বিতরণ করা হয়। তবে এক্ষেত্রে উপজেলা প্রশাসনের রয়েছে যথেষ্ট কৃতিত্ব।
অনুষ্ঠানে ৭টি প্রাথমিক বিদ্যালয় ২টি উচ্চ বিদ্যালয় ও ১টি দাখিল মাদ্রাসার মোট ২৫৫জন শিক্ষার্থীদের মাঝে ১টি করে স্কুল ব্যাগ, জ্যামিতি বক্স, টিফিন বক্স, ৪টি খাতা ও ৬টি কলম দেওয়া হয়। এছাড়া ১০টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ১টি করে ডাস্টবিন দেওয়া হয়েছে।
বিদ্যালয়গুলো হল চর রুহিতা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, দক্ষিণ চর রুহিতা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, পূর্ব চর রুহিতা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ক্যাম্পের হাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ১নং চর রুহিতা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ২নং চর রুহিতা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ৩নং চর রুহিতা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, নবীগঞ্জ দাখিল মাদ্রাসা, রসূলগঞ্জ বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় ও চর রুহিতা পাবলিক হাই স্কুল।
চররুহিতা ইউনিয়নের প্রশাসক সালেহ্ উদ্দিনের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার জামশেদ আলম রানা । এর আগে নবনির্মিত চররুহিতা ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টারের নামফলক উম্মোচন করেন জেলা প্রশাসক রাজীব কুমার সরকার। আরও উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, অভিভাবক, স্থানীয় রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, সামাজিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দসহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার লোকজন।
চররুহিতা ইউনিয়নের প্রশাসকের মতো প্রত্যেকটি ইউনিয়নের প্রশাসক বা জনপ্রতিনিধিরা যদি শিক্ষার্থীদের কল্যাণে এমন উদ্যেগ নেন তাহলে শিশুরা লেখাপড়ার প্রতি মনোযোগী হয়ে আগামী দিনের ভবিষ্যৎ হিসেবে বাংলাদেশকে একটি শিক্ষিত জাতিতে রূপান্তরিত করবেন এমনটাই মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।