ডেস্ক রিপোর্টঃ
ঘূর্ণিঝড় ‘শক্তি’র সৃষ্ট লঘুচাপের প্রভাবে উপকূলজুড়ে সাগর ও নদী উত্তাল হয়ে ওঠেছে। এদিকে চট্টগ্রামের আনোয়ারায় বিভিন্ন ইউনিয়নে অরক্ষিত বেড়িবাঁধের কারণে আতঙ্কিত উপকূলবাসী।
উপজেলার রায়পুর, জুঁইদন্ডী ও বারশত ইউনিয়নে বিভিন্ন এলাকায় শঙ্খ নদ ও সাগরের বেড়িবাঁধ ভেঙে লোকালয়ে ঢুকছে জোয়ারের পানি। এতে জোয়ারের পানিতে তলিয়ে গেছে কৃষি জমি ও মাছের ঘের। জোয়ারের পানি বৃদ্ধি পেলে শত শত বসতবাড়ি ডুবে যাবে বলে আশংকা করছে স্থানীয়রা।
বৃহস্পতিবার (২৯ মে) সকালে শঙ্খ নদের জুঁইদন্ডী ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের শঙ্খ নদের নাপিত খাল এলাকায় বেড়িবাঁধ ৩০-৪০ ফুট ভেঙে যায়।
সরেজমিনে দেখা যায়, জুঁইদন্ডী ইউনিয়নের মাঝির ঘাট থেকে নাপিত খাল এলাকায় পানি জোয়ারের লোকালয়ে ঢুকছে। রায়পুর ইউনিয়নের বাঘ্যের ঘাট হইতে বাঁচা মিয়া ঘাট ও একই ইউনিয়নের ফকিরহাট হইতে ঘাটকুল নজুমিয়া ঘাট পর্যন্ত বেড়িবাঁধে ফাটল ধরেছে।
জুঁইদন্ডী ইউনিয়নের রব্বাত মিয়ার বাড়ি থেকে মৌলি বাজার পর্যন্ত ১ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ নদী ভাঙনে বিলীন হয়ে গেছে। ইতোমধ্যে জুঁইদন্ডী ইউনিয়নের শঙ্খ নদী এলাকায় ১৫০ কোটি টাকা ব্যয়ে ২.৪ কিলোমিটার টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণের কাজ শুরু করেছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। তবে ভাঙন এলাকায় জিও ব্যাগ ফেলা হলেও বেড়িবাঁধের কাজ না করায় নিম্নচাপের প্রভাবে বেড়িবাঁধ ভেঙে যায়। এতে লোকালয়ে জোয়ারের পানি ঢুকে কৃষি জমিতে সবজি চাষ ও মাছের ঘের তলিয়ে যায়।
জুইঁদন্ডী ইউপি সদস্য মো: নুরুন্নবী বলেন, ‘সকালে জোয়ারের প্রবল স্রোতে বেড়িবাঁধ ভেঙে লোকালয়ে পানি প্রবেশ করে। এসব এলাকায় কৃষি জমি ও মাছের ঘের ডুবে গেছে। দ্রুততম সময়ে বাঁধ দিতে না পাড়লে পুরো ইউনিয়নের শত শত ঘর-বাড়ি প্লাবিত হতে পারে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী শওকত ইবনে শাহীদ জানান, জুঁইদন্ডী ইউনিয়নের শঙ্খ নদের ভাঙন এলাকায় ইতোমধ্যে ১৫ কোটি টাকা ব্যয়ে টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণের কাজ শুরু হয়েছে। বেড়িবাঁধ ভেঙে জোয়ারের পানি প্রবেশের খবরটি জানার সাথে সাথে নিয়োগপ্রাপ্ত ঠিকাদারকে দ্রুত সময়ের মধ্যে বাঁধ সংস্কারের জন্য বলা হয়েছে।