নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
রৌমারী-ঢাকা মহাসড়ক এখন যেন এক মৃত্যুপুরীতে পরিণত হয়েছে। ব্রহ্মপুত্র নদ দ্বারা কুড়িগ্রাম জেলা শহর থেকে বিচ্ছিন্ন দুটি উপজেলা-রৌমারী ও রাজীবপুর। জেলা শহর থেকে নদী দিয়ে আলাদা হলেও ঢাকার সঙ্গে এই দুই উপজেলার যোগাযোগের প্রধান মাধ্যম হচ্ছে সড়কপথ। যেখানে জেলা শহর থেকে ঢাকায় পৌঁছাতে সময় লাগে ১০-১২ ঘণ্টা, সেখানে রৌমারী ও রাজীবপুর থেকে সরাসরি সড়কপথে পৌঁছাতে সময় লাগে মাত্র সাড়ে ৪ থেকে ৫ ঘণ্টা।
তবে সম্প্রতি রৌমারী-ঢাকা মহাসড়কের বিভিন্ন স্থানে সৃষ্টি হয়েছে খানাখন্দ ও বেশ কয়েকটি বড় গর্ত, যা প্রতিনিয়ত ঘটাচ্ছে দুর্ঘটনা।
রাজীবপুর উপজেলার ধুবালিয়া গ্রামের বাসিন্দা মিন্টু মিয়া, নাজমুল ইসলাম ও সাজিদুল ইসলাম জানান, মহাসড়কের স্লুইসগেট এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে একটি বড় গর্ত রয়েছে। প্রতিদিনই সেখানে দুর্ঘটনা ঘটছে। কাভার্ড ভ্যান, ইজিবাইক, অটোরিকশাসহ বিভিন্ন যানবাহন উল্টে পড়ে। কিন্তু এতদিনেও জায়গাটি সংস্কার করা হয়নি।
একজন যাত্রী তাসলিমা আক্তার বলেন, “স্লুইসগেটের বড় গর্তে মাঝেমধ্যেই দুর্ঘটনা ঘটে। গাড়ি উল্টে যায়। আমাদের ঝুঁকি নিয়ে গন্তব্যে পৌঁছাতে হয়। এতো গুরুত্বপূর্ণ একটি সড়কের এমন অবস্থায় হতাশ না হয়ে পারি না। অধিক যানবাহনের চাপ থাকা সত্ত্বেও সড়কের এই বেহাল দশা দেখার যেন কেউ নেই। কর্মকর্তা চেয়ারে বসে আছেন শুধু সুবিধা ভোগ করার জন্য, কাজের জন্য নয়।”
এ বিষয়ে কুড়িগ্রাম সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী নজরুল ইসলাম বলেন, “রৌমারী-ঢাকা মহাসড়কের কুড়িগ্রাম অংশে বেশ কয়েকটি স্লুইসগেট নির্মাণের কাজ চলমান রয়েছে।
এ কারণে ওইসব এলাকায় সড়কে খানাখন্দ দেখা দিয়েছে। আমরা কাজ করছি এবং খুব শিগগিরই সমস্যাগুলো সমাধান হবে। আপাতত এসব খানাখন্দে রাবিশ বা ভাঙা ইট ফেলে চলাচলের উপযোগী করার ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান ।