নিজস্ব প্রতিবেদক:
বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের অজ্ঞতা ও অবিবেচনাপ্রসূত সিদ্ধান্তের কারণে দেশের সার্বিক পরিস্থিতি দিন দিন উদ্বেগজনক পর্যায়ে পৌঁছেছে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ সর্বজনীন দলের চেয়ারম্যান মোঃ আবুল হাসেম।
তিনি বলেন, “সরকারের বর্তমান কর্মকাণ্ডে মনে হচ্ছে তারা দেশের বাস্তব অবস্থা সম্পর্কে সম্পূর্ণ অজ্ঞ। জনগণের প্রত্যাশা ও রাষ্ট্রীয় প্রশাসনের ভারসাম্য রক্ষায় তারা ব্যর্থতার পরিচয় দিচ্ছে।”
চেয়ারম্যান আবুল হাসেম বিশেষভাবে সমালোচনা করেন মধ্যরাতে ১৫ জেলায় নতুন জেলা প্রশাসক (ডিসি) নিয়োগের সিদ্ধান্তকে। তিনি প্রশ্ন তোলেন, “যদি এই সিদ্ধান্তটি স্বচ্ছ ও প্রয়োজনীয় হয়, তাহলে সেটি রাতের অন্ধকারে কেন জারি করতে হবে? গণতান্ত্রিক দেশে এমন গোপন প্রজ্ঞাপন জনগণের কাছে সন্দেহজনক মনে হয়।”
তিনি আরও বলেন, “একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে প্রশাসনিক পরিবর্তন কিংবা নিয়োগ সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত জনগণের জানার অধিকারভুক্ত। অথচ বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার এমনভাবে পদক্ষেপ নিচ্ছে, যা জনগণের আস্থা হারানোর অন্যতম কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে।”
শিক্ষক আন্দোলনের বিষয়ে আবুল হাসেম গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, “শিক্ষক সমাজ একটি দেশের বিবেক। তাদের যৌক্তিক দাবি না শুনে, কোনো কারণ ব্যাখ্যা না করে তাদের ওপর হামলা চালানো শুধু মানবাধিকারের লঙ্ঘন নয়, বরং দেশের ভাবমূর্তি আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ক্ষুণ্ণ করছে।”
তিনি বলেন, “এইসব ঘটনাই প্রমাণ করে সরকার এখনো রাষ্ট্র পরিচালনায় প্রয়োজনীয় প্রজ্ঞা ও সংবেদনশীলতা অর্জন করতে পারেনি। দেশের সার্বিক স্বার্থে এখনই তাদের উচিত হবে সিদ্ধান্ত গ্রহণে বিচক্ষণতা, গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ ও জনগণের মতামতকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়া।”
শেষে তিনি আহ্বান জানান, “দেশের বর্তমান উত্তপ্ত পরিস্থিতি শান্ত ও স্থিতিশীল রাখতে সকল সিদ্ধান্তে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে। জনগণের পাশে থেকে, সংলাপের মাধ্যমে সমস্যার সমাধানই হতে পারে উত্তরণের একমাত্র পথ।”