বল্লমঝাড় ইউনিয়ন মাঠে পাড় সেচ পাম্প দখল ও জালিয়াতির অভিযোগে, আদালতে মামলা
মোঃ মিঠু মিয়া
গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধি:
গাইবান্ধা সদর ৫নং বল্লমঝাড় ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ড মাঠে পাড়,সেচ পাম্প দখল ও জালিয়াতির অভিযোগে আদালতে মামলা করেছেন স্থানীয় কৃষক মোঃ আব্দুল মালেক মৃধা (৩৮)। তিনি মৃত আঃ রহমান লাল মিয়ার পুত্র এবং পেশায় একজন কৃষিজীবী।
ফরিয়াদে উল্লেখ করা হয়, তিনি একজন সহজ-সরল কৃষক ও আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল নাগরিক। অপরদিকে আসামিরা এলাকায় প্রভাবশালী, সংঘবদ্ধ চাঁদাবাজ ও ভূমি দস্যু চক্রের সদস্য। তাদের বিরুদ্ধে পূর্বেও নানা অনিয়ম, প্রতারণা ও ভূমি দখলের অভিযোগ রয়েছে।
জোরপূর্বক স্বাক্ষর ও জাল অঙ্গীকারনামা তৈরির অভিযোগ
অভিযোগে বলা হয়, ফরিয়াদীর নামে অনুমোদিত তফসিলভুক্ত সেচ পাম্পের মাধ্যমে তিনি নিয়মিত পানি সেচ ও বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করে আসছিলেন। কিন্তু ১নং আসামী মোঃ মাসুদ রানা—যিনি আওয়ামী লীগ গাইবান্ধা জেলা শাখার উপ-দপ্তর সম্পাদক হিসেবে পরিচিত—তার প্রভাব খাটিয়ে জালিয়াতির মাধ্যমে সেচ পাম্প দখলের ষড়যন্ত্র করেন।
২০১৬ সালে আসামিরা প্রতারণার মাধ্যমে ফরিয়াদীকে তাদের খানকা শরীফের বাড়িতে ডেকে নিয়ে ছুরি দেখিয়ে ভয়ভীতি প্রদর্শন করে তিনটি নন-জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে জোরপূর্বক স্বাক্ষর ও ছবি তোলে। পরবর্তীতে ঐ স্ট্যাম্পগুলো জালিয়াতি করে মূল্যবান অঙ্গীকারনামা হিসেবে ব্যবহার করে সেচ পাম্পের মালিকানা দাবি করে নেয়।
জোরপূর্বক পাম্প দখল ও অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগ
এরপর সাক্ষীদের উপস্থিতিতে আসামিরা জোরপূর্বক সেচ পাম্প ও বিদ্যুৎ সংযোগ দখল করে নেয় এবং নিজেদের নিয়ন্ত্রণে অবৈধভাবে চালু রাখে। অভিযোগে আরও উল্লেখ করা হয়, বর্তমানে ২ ও ৩নং আসামির বাড়িতে অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগ চালু রয়েছে।
থানায় মামলা করতে গেলে পুলিশ মামলা না নিয়ে আদালতের পরামর্শ দেয়। পরে ফরিয়াদী আদালতের শরণাপন্ন হন।
ফরিয়াদী মোঃ আব্দুল মালেক মৃধা বলেন,
এ ঘটনায় আমার কৃষিকাজ মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আমি আইনের সঠিক বিচার প্রত্যাশা করছি।
তফসিল
থানা ও জেলা: গাইবান্ধা
মৌজা: বল্লমঝাড়
জে.এল নং: ১৯
সি.এস খতিয়ান: ৯০
দাগ নং: ২০৮৪
জমির পরিমাণ: ৪৯ শতক (এর মধ্যে ২৫ শতকে সেচ পাম্প স্থাপিত)
আসামিরা
১। মোঃ মাসুদ রানা (৪৮), পিতা মৃত মকলেছুর রহমান, সাং খানকা শরীফ, গাইবান্ধা পৌরসভা।
২। মোঃ জুয়েল মিয়া (৪৫), পিতা মৃত মকলেছুর রহমান।
৩। মোঃ মামুন মিয়া (৩৫), পিতা মৃত মকলেছুর রহমান।