মিরপুরে স্বাধীন বাংলা সুপার মার্কটে দুর্বৃত্তদের অতর্কিত হামলা দোকান ভাংচুর ও লুটপাটের চেষ্টা
নিজস্ব প্রতিবেদক:
রাজধানীর মিরপুরে স্বাধীন বাংলা সুপার মার্কটে এক সন্ত্রাসী চক্র প্রতিনিয়ত ভাবে হামলা চালিয়ে আসছে বলে জানায় দোকানিরা। অনুসন্ধানে বেরিয়ে আসে চাঞ্চল্যকর বেশ কিছু তথ্য। বিগত আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় থাকা কালিন স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা ইকবাল হোসেন তিতু ও আনোয়ার হোসেন লিটু সহ তাদের সন্ত্রাসী বাহিনী বিগত ১৭ বছর যাবত শমসের আলীর সম্পদ দলীয় ক্ষমতার দাপটে দখল করে সেখানে গড়ে তুলেন স্বাধীন বাংলা সুপার মার্কেট।
১৭ বছর জবর দখল করে গড়ে তুলেন শতাধিক দোকান সহ বিশাল মার্কেট । এই ১৭ বছরে সম্পত্তির মুল মালিক সামসাদ আরা সাথী। এতদিন তাদের নিজ সম্পত্তির কাছে আসতে পারেনি। এর কারণ জানতে চাইলে সম্পত্তির মুল মালিক শমসের আলীর মেয়ে সাথী বলেন ইকবাল হোসেন তিতু ও তার ছোট ভাই আনোয়ার হোসেন লিটু মিরপুরের চিহ্নিত সন্ত্রাসী বলে সকলেই চিনেন। তারা আমাদের হুমকি দিয়ে বলেছেন আমরা যদি এই সম্পত্তির ধারে কাছে আসি তাহলে আমাদের হত্যা করবেন,তাই আমরা এত দিন আমাদের সম্পত্তি থাকা শর্তেও আসতে পারি নাই। ৫ আগষ্টের গণঅভ্যুত্থানের মধ্যো দিয়ে পতন হয় ফ্যাসিবাদী আওয়ামী লীগের স্বৈরশাসন।
তার পর আমরা অবৈধ দখন দারদের বিরুদ্ধে মামলা করে অবশেষে আমাদের পক্ষে রায় পাই।
গত ১৫ অক্টোবর মার্কেটের প্রতিটি দোকান মালিকদের সন্ধ্যা ৬ টায় আলো চনার জন্য মার্কেটের অফিসে আসার জন্য নোটিশ দিয়েছি । তারপর রাত ১১.৩০ সময় এক দল সন্ত্রাসী বাহিনী মার্কেটে অতর্কিত ভাবে আবার ও হামলা চালায় এবং আমাদের হত্যার চেষ্টা করে। মার্কেটে এমন কিছু ঘটনা ঘটতে পারে বলে মিরপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এবং ডিসি সাহেব কে অবগত করা হয়। কিন্তু থানা থেকে কোন ধরনের সহযোগিতা করেননি থানা পুলিশ । সাথী আরোও বলেন আমাদের জান মালের কোন নিরাপত্তা দিচ্ছেন না পুলিশ।
মুল মালিক কে নিরাপত্তার জন্য কিছু ছাত্র ছোট ভাই, সাংবাদিকদের নিয়ে অফিসে বসে কথা বলছিলেন বিকেল ৩ টার দিকে। সেই মুহুর্তে অতর্কিত ভাবে তাদের উপর হামলা করে।
এর পর বি এন পির নেতা কর্মী এসে জড়ো হন এবং নিচে থেকে মিথ্যা অপপ্রচার চালানো শুরু করে আওয়ামী লীগের লোকজন গোপনে মিটিং করছে। পরে পুলিশ এসে সকলকে সরিয়ে দিয়ে ছাত্রদের বের করে দেন।
মিরপুর ১ নম্বর সেকশনের সনি সিনেমা হলের উল্টো পাশে বিশাল বিপণিবিতান ‘স্বাধীন বাংলা সুপার মার্কেট’। এর আয়তন ৬৬ দশমিক ৬৬ কাঠা জমির উপর গড়ে ওঠা এ মার্কেটে দোকান রয়েছে কমপক্ষে শতাধিক। আওয়ামী লীগ সরকার দলীয় লোকজন জমি দখল করে ২০০৯ সালে স্থানীয় প্রভাবশালী মহলের ইকবাল হোসেন তিতু ও আনোয়ার হোসেন লিটু এটি নির্মাণ করেন।
বিশাল আকারের এ ইমারত নির্মাণে কোনো ধরনের অনুমোদন না নিয়ে চারতলা মার্কেট নির্মাণ করেছে। এ বিপণিবিতানে একটি দোকান ভাড়া নিতে স্থানভেদে মাসিক ভাড়া গুনতে হয় ৫০ হাজার থেকে লাখ টাকা পর্যন্ত। আর জামানত দিতে হয় প্রতি দোকানে ১০ থেকে ৩০ লাখ টাকা পর্যন্ত। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, দীর্ঘ সময় দখলদারদের বিষয়ে নানা আইনি ব্যবস্থার উদ্যোগ নেওয়া হলেও তা বাস্তবায়ন হয়নি।
১৫০ থেকে ২০০ কোটি টাকার সম্পত্তি দখল করে শত শত কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন আওয়ামী লীগের নেতা ইকবাল হোসেন তিতু ও আনোয়ার হোসেন লিটু।