বিশেষ প্রতিনিধিঃ
দশ বছরের চেনাজানা মেয়েকে নিজের ইমিটেশন স্বর্ণের দোকানে বিশ্বস্ত জেনে কর্মচারী হিসেবে শাহারিয়া ইসলাম শান্তা কে নিয়োগ দেয়া হয় গত ২৩ সালের ডিসেম্বরে। দোকান মালিক প্রবাসী হওয়ায় কর্মচারী শান্তা প্রায় সময় দোকানের পণ্য ও নগদ অর্থ হাতিয়ে নেয়।
২৪ সালের জুনে সিসি টি ভি ফুটেজে চুরি করার দৃশ্য ধরা পরলে তাকে পার্শ্ববর্তী ব্যবসায়ী দের সালিশে তিন লক্ষ পঞ্চাশ হাজার টাকা দিতে স্বীকার করে তাঁর মা মাহ মুদা বেগম । তবে ৪ জুন পঞ্চাশ হাজার টাকা দিবে, বাকি টাকা প্রতি মাসে ছয় হাজার করে দিবে বলে স্বীকার করে চলে যায়। তারপর আর দেখা পাওয়া যায় না।
আরও পড়ুনঃ নরসিংদীর মনোহরদীতে অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলনের দায়ে ১লক্ষ টাকা জরিমানা
থানায় জি ডি করা হয়। থানার আই ও বিভিন্ন তাল বাহানা শুরু করে । একটার পর একটা আই ও পরিবর্তন করে। এর মধ্যে জুলাই আন্দোলন শুরু হয়। আন্দোলনের পর থানায় জি ডি র বিষয়ে খোঁজ নিতে গেলে নতুন আই ও কালক্ষেপণ করতে থাকে। হঠাত করে ১১ মাস পর মিরপুর ১০ এর হোপের গলিতে চোরের মাকে ২৭ মে ২০২৫ দেখা পেয়ে লোকজন ধরে কাফরুল থানায় ওসির নিকট হাজির করা হয়।
ওসিকে পূর্বের ঘটনা জানানো হয়। হঠাত ওসির সম্মুখে বহিরাগত অজ্ঞ াত কিছু লোক সমন্বয়ক পরিচয় দিয়ে ওসির সামনে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও আক্রমণাত্মক আচরণ করে। ওসি আমাদেরকে চুপ থাকতে বলে। এমতাবস্থায় বহিরাগত লোকগুলো চোর শান্তা ও তাঁর মা মাহমুদা কে ওসির সামনে থেকে নিয়ে যায়।
আরও পড়ুনঃ বগুড়ায় সাংবাদিক জুয়েল হাসানকে হত্যার হুমকি
পরবর্তীতে আমরা যোগাযোগ করতে গেলে জানতে পারি মডেল থানায় তারা আমাদেরকে বিবাদী করে মিথ্যা হয়রানিমূলক মামলায় জড়াইয়া আমার দোকানে পুলিশ ও সমন্বয়ক পরিচয় দেওয়া তাহসিন ,এশা সহ অন্যান্য অজ্ঞাত ব্যক্তিরা বিভিন্ন হুমকি ধামকি দেয়। অন্যথায় আমাকে দেখিয়া নিবে বলিয়া চলে যায়।
পরবর্তীতে যোগাযোগ করলে তারা জানায় নগদ এক লক্ষ টাকা দিলে তোমার বিরুদ্ধে ঐ মামলা হতে মুক্তি দিবো বলিয়া প্রস্তাব করে। এমতাবস্থায় ভুক্তভোগী মিলটন মিয়াঁ নিজের ব্যাবসার ক্ষতিপূরণ পাইবার জন্য দুর্নীতি প্রতিরোধ ফাউন্ডেশন এর আইনি সহায়তা চেয়েছেন।